Efficiency is doing things right; effectiveness is doing the right things.
– Peter Drucker
৫৮.
আমার সমস্যা দুটো। ভাসা ভাসা কাজ করতে পারি না মোটেই। আবার যেটাতে ঢুকবো সেটা শেষ না করলে ঘুমই আসবে না – দিনের পর দিন। পাবলিক সেক্টরে এটা আবার বড় সমস্যা। হাজারো কাজ, করতেই হবে ভাসা ভাসা – নাহলে বাকিগুলো করবেন কখন? আবার কোনো কাজের ভেতরে ঢুকতে হলে – ঢুকতে হবে নিজের সময়ে মানে মাঝরাতে না হয় শুক্রবারে। ইদানিং রাস্তার জ্যাম ভালোই কাজ দিচ্ছে। আড়াই ঘন্টা রাস্তায় প্রতিদিন, ধন্যবাদ অডিওবুক আর টেক্সট তো স্পীচ ইঞ্জিন!
৫৯.
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্যায় ভাসা ভাসা কাজের উপযোগিতা কম। ঢুকতে হবে ভেতরে, অনেক ভেতরে। ভবিষ্যত না দেখতে পারলে এ ব্যবস্যায় টিকে থাকা কঠিন। টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর জাহাবাজ লোকেরাও মাঝে মধ্যে অত ভেতরে ঢুকতে পারেন না। স্পেশালাইজেশন বলে কথা। সেখানেই আসে টেলিযোগাযোগ কনসাল্টিং কোম্পানিগুলো। ওদের কাজ একটাই, আর এন্ড ডি, সারাবছর ধরে। আবার সেই কনসাল্টিং ফার্ম একই ধরনের কাজ করে বেড়াচ্ছে সব টেলিযোগাযোগ কোম্পানির জন্য। স্পেশালাইজড না হয়ে যাবেই বা কোথায় তারা? আর সেই সল্যুশনের জন্য মিলিয়ন ডলারের নিচে কথা বলেন না কেউই। আর বলবেন নাই বা কেন? এধরনের আর এন্ড ডির জন্য কম কষ্ট করতে হয়না তাদেরকে। প্রচুর রিপোর্ট পড়েছি এই কনসাল্টিং ফার্মগুলোর। রিপোর্টতো নয় যেনো হাতের রেখা পড়ছেন। ভবিষ্যত দেখা যায় রীতিমত। মিলিয়ন ডলারের কনসাল্টিং বলে কথা। তাই বলে সব কনসাল্টিং ফার্ম এক নয়। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে কনসাল্টিং ফার্মের দোষ না দেখে যিনি কাজ দিয়ে বুঝে নেবার কথা – তার কম্পিটেন্সিতে ঘাটতি থাকলে রিপোর্ট খারাপ হতেই পারে। আমি কিনছি রিপোর্ট, না বুঝে কিনলে কনসাল্টিং ফার্মের দোষ দিয়ে লাভ কি? গরীবদেশগুলোতে প্রচুর কনসালটেন্সি হয় বটে, তবে সে দেশগুলো সেগুলো ঠিক মতো বুঝে নেবার সামর্থ বা জ্ঞান থাকে না বলেই ঝামেলা হয়। ডোনারদের টাকায় কনসাল্টেন্সি হলে সেটার অবস্থা হয় অন্য রকম। রিপোর্ট নিজের মনে করে বুঝে নিতে পারলে সেটার দাম মিলিয়ন ডলারের বেশি। সেটাও নিয়েছিলাম বেশ কয়েকটা।
৬০.
কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হলো বিশ্বখ্যাত অনেকগুলো টেলিযোগাযোগ কনসাল্টিং ফার্মের সাথে। এর সাথে যোগ হলো ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) আর কমনওয়েলথ টেলিকম্যুনিকেশন অর্গানাইজেশনের (সিটিও) আরো অনেক ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্ট। ধারণা পেলাম তাদের কাজের। পড়তে থাকলাম আরো হাজারো রিপোর্ট। দামী সব রিপোর্ট, তবে তার দাম কোনো কোনো দেশ বা এজেন্সি দিয়ে দিয়েছে আগেই। পরিচয় হলো ওভাম, অ্যাকসেন্চার, কেপিএমজি, পিডাব্লিউসি, নেরা আর এনালাইসিস ম্যাসনের মতো তুখোড় তুখোড় ফার্মের সাথে। আবার নিজের প্রতিষ্ঠানেরই কাজ করতে পরিচয় হলো মার্কিন ফার্ম টেলিকমিউনিকেশনস ম্যানেজমেন্ট গ্রূপ, ইনকর্পোরেশন (টিএমজি)র সাথে। তাদের ধরনটাই বুঝতে সময় লেগেছিলো বেশ। তলই পাচ্ছিলাম না প্রথমে। বিলিয়ন ডলারের কনসাল্টিং কোম্পানি বলে কথা। পরিচয় হলো অনেকের সাথে। বন্ধুত্ব হলো জেমস প্যাট্রিজের (পাল্টে দিলাম নামটা) মতো আরো কয়েকজনের সাথে। ওখান থেকে জেনেছিলাম এই নতুন হ্যান্ডবুকটার কথা, লিখছে ওরা। আসছেই শিগগির! ওয়ার্ল্ডব্যাঙ্ক আর ইনফোডেভ আসলো পুরানো বন্ধুত্ব থেকে [আইসিটি রেগুলেশন টুলকিট আর রেগুলেটরি হ্যান্ডবুক যাদের হাত ধরে আসা], পয়সা দিলো ইউকে এইড আর কোরিয়ান ট্রাস্ট ফান্ড। ব্রডব্যান্ডের ব্যাপারে ওদের থেকে জানে কে বেশি এই পৃথিবীতে? ভুলে গিয়েছিলাম বইটার নাম। আমার অফিসার সঞ্জীব মনে করিয়ে দিলো সেদিন। ধন্যবাদ তাকে।
৬১.
পাগল হয়ে থাকলাম সেই সপ্তাহটা। পাগল করবো আপনাকে? গুগল করুন ‘ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজিস হ্যান্ডবুক’, পাচ্ছেন একদম বিনামূল্যে! ডিজিটাল বাংলাদেশ এজেন্ডা, মানে বাংলাদেশকে সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পড়তে হবে এই হ্যান্ডবুক, লাইন-বাই-লাইন। ‘লিপফ্রগিং’ কাকে বলে এখানেই দেখবেন কিন্তু। অন্য দেশের হাজারো ভুল থেকে শিক্ষা পাবেন এখানেই। আমাদের ফল্টলাইনগুলোও কিন্তু চলে এসেছে এখানে। নীতিনির্ধারকদের জন্য আ মাস্ট, আর বাকিদের পড়তে হবে নীতিনির্ধারকদের শুধরানোর জন্য। বাংলাদেশ তো সবার, শুধু নীতিনির্ধারকদের নয়। উন্নতি করতে চাইলে পড়তে হবে সবারই। সরকার তো পড়বেই, আমরা পড়লেই পাল্টাবে দেশ!
বইটার ভেতরের গল্প নিয়ে আসছি সামনেই।
ভয়াবহ। আইসিটি রেগুলেশন টুলকিট আর ব্রডব্যান্ড টুলকিটের গল্প বলেছিলাম আগেই। আইটিইউ,
LikeLike
[…] ভয়াবহ। আইসিটি রেগুলেশন টুলকিট আর ব্রডব্যান্ড টুলকিটের গল্প বলেছিলাম আগেই। আইটিইউ, […]
LikeLike
nice post
LikeLike
Thank you.
LikeLike