It is sometimes implied that the aim of regulation in the radio industry should be to minimize interference. But this would be wrong. The aim should be to maximize output. All property rights interfere with the ability of people to use resources. What has to be insured is that the gain from interference more than offsets the harm it produces. There is no reason to suppose that the optimum situation is one in which there is no interference.
– Ronald Coase, “The Federal Communications Commission,” Journal of Law and Economics, Vol. 2 (1959)
৪৯৩.
ছোট ছোট কোম্পানীগুলোকে এই অসম প্রতিযোগিতা থেকে আর গ্রাহকস্বার্থ রক্ষা করতে সরকার তৈরী করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সী। বাজারে প্রতিযোগিতাকে চাঙ্গা করার জন্য নিয়ন্ত্রণ কমিশন নিয়ে আসে অনেকগুলো বিধিমালা। প্রথম ধাক্কায় প্রাইভেটাইজেশনের প্রসিডিউরে ফেলে দেয় সরকারী টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোকে। ব্যবস্যাবান্ধব পরিবেশ আনার জন্য বুদ্ধিমান ‘এনলাইটেনড’ দেশগুলো তাদের ওই বড় বড় কোম্পানীগুলোকে এমন ভাবে টুকরা টুকরা করে দিল যাতে ছোট ছোট নতুন প্রাইভেট কোম্পানীগুলো প্রতিযোগিতায় তাদের সাথে পেরে উঠতে পারে। পরে কিছু পয়সাপাতি হলে সরকারী কোম্পানিকে কিনতে পারে তারা। ‘মার্জার আর একুইজিশন’ নামের গল্পগুলো শিখলাম ওদের কাছ থেকে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের এটিএন্ডটির কথাই ধরুন না। আমাদের বিটিটিবির মতো একটা সরকারী কোম্পানি ছিলো ওটা। ও এত বড় যে ছোট ছোট প্রাইভেট কোম্পানি পাত্তাই পাচ্ছিলো না ওর কাছে। ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস মামলা করে দিলো ওদের বিরুদ্ধে।
৪৯৪.
প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ, লোকাল আর লঙ-ডিসটেন্স কলের মধ্যে কিছুটা দক্ষতা আনার জন্যই এ ব্যবস্থা। কলের দাম কেমন হবে সেটা নিয়েও চলছিলো সমস্যা। দক্ষতার সাথে কোম্পানিটা চলছে কিনা সেটাও ছিলো ভাববার বিষয়। আর যার হোক টাকাতো যাচ্ছে সরকারের। জনগনের টাকায় চলছে কোম্পানিগুলো। যতই কোম্পানি হোক সরকারের, মাফ নেই অদক্ষতার। বিশালকার এটিএন্ডটিকেও ভেঙ্গে ফেলা হলো আট ভাগে। উনিশশো বিরাশির ঘটনা। একটা লঙ-ডিসটেন্স কোম্পানি, আমাদের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ)র মতো – আর তার সাথে সাত সাতটা লোকাল ফোন কোম্পানি। ছোট হওয়াতে খরচপাতি স্বচ্ছ হয়ে এলো অনেকখানি। বন্ধ হয়ে গেলো ক্রস-সাবসিডাইজেশন। ব্যবস্যা কর, ভালো কথা। আলাদা আলাদা লাইসেন্স নাও অন্যদের মতো। অন্যায় আবদার করো না সরকারের কাছে। অন্য একটা বেসরকারী কোম্পানি আর তোমার মধ্যে পার্থক্য নেই কোন।
৪৯৫.
গুগল করে দেখতে পারেন ‘মা বেল’ আর ‘বেবি বেল’গুলো নিয়ে। হাজারো গল্প। এর পরেও সরকারী কোম্পানিগুলোর সাথে নতুন কোম্পানীগুলোর আন্তঃসংযোগ পাওয়া খুবই দূরহ ছিল। মানে, একজন আরেকজনের কল নিতে চাইতো না। ওই সময়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বড় কাজ ছিল বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করা। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে যেয়ে সবচেয়ে প্রথমে রাশ টানলো সরকারী ‘লোকাল বেবি বেল’ কোম্পানীগুলোর। প্রতিযোগীতামূলক ব্যবস্থার বিভিন্ন ইনডিকেটর থেকে তারা অনেকগুলো ‘এন্টি-ট্রাস্ট’ নীতিমালা তৈরি করলো যা ছোট ছোট কোম্পানীকে তাদের প্রয়োজন মত সার্ভিস দেবার ব্যাপারে অনেক সুবিধা করে দিলো। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের বেল সিস্টেম্সকে ছোট ছোট টুকরো করার ফলে অন্যান্য ছোট ছোট কোম্পানীগুলো কাজ করার সুযোগ পেলো। পাশাপাশি। ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে নতুন কোম্পানীগুলো বেল্ সিস্টেমসের ইনফ্রাকটাকচার ব্যবহার করার সুযোগ নিলো সুলভমূল্যে। আন্ত:সংযোগ না দিয়ে যাবে কোথায় সরকারী কোম্পানি? গুগল করুন ‘ন্যাচারাল মনোপলি’ আর ‘আনবান্ডলিং।’
৪৯৬.
আচ্ছা, দেশটা কার? জনগনের। গ্রাহকস্বার্থ দেখবে কে? ‘জনগনের মনোনীত রেগুলেটরি এজেন্সি।’ আপনার জবাব। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সাইটে যাই মাঝে মধ্যে। ধারণা নিতে। ‘প্রটেক্টিং আমেরিকা’স কনজিউমারস’ ট্যাগলাইন নিয়ে চলছে শত বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠানটা। অস্ট্রেলিয়ার কম্পিটিশন আর কনজিউমার কমিশনের সাইটের গেলে মাথা খারাপ হবে আপনার। কি নেই ওখানে? প্রথমেই জিজ্ঞাসা করে – তুমি কি জানো তোমার কনজিউমার রাইট?
জনগনের ক্ষমতায়ন করে কিন্তু সরকারই।
[ক্রমশঃ]