Do you know what my favorite renewable fuel is? An ecosystem for innovation.
– Thomas Friedman
৬১৩.
ছোটবেলায় ইকোসিষ্টেম নিয়ে ভাবলেই মনে আসতো মানুষ, গরু, ছাগল, ঘাসপাতা, গাছের ছবি। ওগুলো ছিলো ডাঙার অংশে। বাতাস সূর্য আর পানি ছিলো ‘জীবনহীন’ কম্পোনেণ্ট। পানির অংশে তাকাতেই ভয় লাগতো আমার। কুমির, তিমি – ছবির আকারে বেশ বড়ই ছিলো আঁকাগুলো। আসল কথা হচ্ছে সবাই মিলে একটা ইকোসিষ্টেম। লাগবে সবাইকে। মানে ওই ব্যাকটেরিয়াটাকেও। কোন একটা কম্পোনেট বাদ পড়লেই বিপদ। ‘ফীডব্যাক লূপে’ হবে সমস্যা। খাদ্য চেইনেও একই সমস্যা। কেউ উত্পাদক – কেউ ভোক্তা। ঘাস ছাড়া চলে না গরুর। আবার গরু ছাড়া চলে না মানুষের। এই ‘ইন্টার-ডিপেনডেন্সি’ চিরকালের। ব্রডব্যান্ডের ইকোসিষ্টেম তো আরো ভয়াবহ। প্রতিটা কম্পোনেণ্ট শুধু একটা আরেকটার ওপর শুধু ‘ডিপেনডেন্ট’ না, একটা আরেকটার প্রবৃদ্ধির সহায়ক। বইয়ের ভাষায় বলে ফেললাম মনে হচ্ছে।
৬১৪.
ব্রডব্যান্ড ইকোসিষ্টেমে আছে কি? শুরুতেই নিয়ে আসি হাই-স্পীড নেটওয়ার্ককে। আমাদের নীতিনির্ধারকরা এটা বোঝেন ভালো। ইন্টারনেট ছড়াতে এটার পেছনেই খরচ করছেন কোটি কোটি টাকা। তাও আবার দিচ্ছেন বিটিসিএলকে। এই ইকোসিষ্টেমের ‘ইনভেস্টমেন্ট’ আসবে কিভাবে? ওই ‘পাজল’টা মেলাতে লেখা হয়েছে আরেকটা চ্যাপ্টার। পাইপ তো হলো, ভেতর দিয়ে আসা যাওয়ার জিনিস কোথায়? সেটা হচ্ছে সার্ভিস, যা তৈরি করতে আমরা আসলেই দুর্বল। কোটি টাকা দিয়ে বানালাম স্কুল, বই ছাড়া। অথচ এই ‘সেবা’র জন্যই সবকিছু। এই সার্ভিস হচ্ছে আমাদের ব্রডব্যান্ড ইকোসিষ্টেমের দ্বিতীয় কম্পোনেণ্ট। আবার সার্ভিসগুলো কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক। অ্যাপ্লিকেশন প্রোভাইডাররা বসবেন কোথায়? ভুল বুঝবেন না, এই কম্পোনেণ্টটাই বাঁচিয়ে রেখেছে নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারকে। অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া ইন্টারনেট কেন, আপনার স্মার্টফোনই তো অচল। এই বিলিয়ন ডলারের অ্যাপ্লিকেশন (নাকি অ্যাপ) হচ্ছে তিন নম্বর কম্পোনেণ্ট। টেলকো’রা প্রায় অভিযোগ করেন – কমছে তাদের আয়। টেলকো’র ব্যবসা আগে ছিলো ‘ওয়ালড গার্ডেন’ ধাঁচের। নিজ নিজ অ্যাপ্লিকেশন শুধুমাত্র নিজ গ্রাহকের জন্য। ইন্টারনেট ভেঙে ফেলেছে ওই ‘ওয়ালড গার্ডেন’য়ের ব্যবসা, থমাস ফ্রীডম্যানের ভাষায়, ওয়ার্ল্ড হ্যাজ বিকাম ফ্ল্যাট! একেবারে ফ্ল্যাট! ভিসা লাগে না আয় করতে। পাশাপাশি আয় বাড়ছে টেলকো’র হু হু করে। আর যতো বাড়ছে অ্যাপ্লিকেশন, ততো মোটা হচ্ছে পাইপ। মানে ব্যবসা হচ্ছে পাইপেরও। আর যাই করেন – মিটার লাগানো আছে তো পাইপে। তবে ‘নেট নিউট্রালিটি’র একটা ধকল যাবে সামনে। ওটা আরেকদিন!
৬১৫.
চার নম্বর কম্পোনেণ্টের কথা ভুলে যায় সবাই। আমরা মানে ‘ব্যবহারকারীরা’। গ্রাহক। ফেসবুকের ভাষায় ‘আম জনতা’। যে যাই বলুক – ভোক্তা ছাড়া ব্রডব্যান্ড ইকোসিষ্টেমের পুরোটাই অচল। দিচ্ছে কে পয়সাটা – দিনের শেষে? ভোক্তা। আমার ভাষায় ‘প্রাইস সেনসেটিভ’ ভোক্তা। ব্রডব্যান্ড ইকোসিস্টেমের সবচেয়ে নামী দামী কম্পোনেণ্টকে নিয়ে ভাবেন কম – নীতিনির্ধারণীতে বসা মানুষেরা। আমি নিজেই ওখানে ছিলাম বলেই বলছি ব্যাপারটা। বিশ্বাস করুন, সার্ভিসের দাম আর তার সহজলভ্যতাকে ঠিকমতো ‘টুইকিং’ করতে পারলে এটাই মোড় ঘুড়িয়ে দেবে পুরো ইকোসিস্টেমের। গ্রাহকের সাথে অ্যাপ্লিকেশনের সম্পর্ককে বাদ দিলে চলবে না কিন্তু। ইন্দোনেশিয়ায় যে ধরনের অ্যাপ্লিকেশন চলে বেশি সেটা আমাদের দেশে যে চলবে সেটার গ্যারান্টি দেবে কে? বাড়বে গ্রাহক একসময়। বাড়বে গ্রাহকের চাহিদা, বাড়বে ‘সফিস্টিকেশন’, আর সেটাই বাড়াবে ডিমান্ড। ডিমান্ড বাড়লে আসবে ‘ইনভেস্টমেন্ট’ নেটওয়ার্কে। তখন, পয়সা আসবে উড়ে উড়ে। মানে ঘুরতে থাকবে ইকোসিস্টেমের বৃত্তটা। একেকটা ‘কম্পোনেণ্ট’ ঠেলে ওপরে ওঠাবে তার পরের কম্পোনেণ্টটাকে। প্রতিটা কম্পোনেণ্টকে ঠিকমতো দেখভাল করলে আর তাকাতে হবে না পেছনে।
[ক্রমশ:]
When we talk about access to information for all and prioritize connectivity, why we only aim for a short term gain through high priced spectrum or VAT? Isn’t it counter productive? Well that should not even asked! It is given. I quote Shashi Tharoor, then Indian Minister for external affairs, “The transformation in telecommunications has accomplished what our socialist policies couldn’t — empower the less fortunate”.
My point is who are we taxing? Today I have a thought thats bothering me a lot – would one day the value of money would turn zero and would be move into a time of barter?
LikeLiked by 1 person