৫৪.
দুহাজার দশের কথা। বিটিআরসিতে তখন আমি। বিদেশি একটা ইউনিভার্সিটি এলো কথা বলতে। দক্ষিণাঞ্চলের সাগরের তান্ডব তাদের রিসার্চের টপিক। কাহিনী কি? সাগরের সুনামিতে বিপদে পড়ে মানুষ। হারায় সবকিছু। ভাগ্যকে পুঁজি করে চলে আসে শহরে। শেষমেষ, জায়গা হয় বস্তিতে।
৫৫.
এখানে ঝামেলা হয় কয়েকটা। এক. সরকার জানতে পারে না কোথায় গিয়েছে তারা। তখন মার খায় পুনর্বাসনের ব্যাপারটা। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার তাগিদ থাকে না কারোই। শেষে, চাপ তৈরি হয় শহরগুলোতে। দুই. মানুষটাকে কি ধরনের সহযোগিতা দিতে হবে সেটাও জানে না এইড এজেন্সীগুলো। তিন. মানুষগুলো কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়ছে সেটার হিসেব থাকে না কারো কাছে। যদি কোন মহামারী হয় ওই এলাকা থেকে – সেটা ছড়াচ্ছে কোথায় কোথায় – সেটাও জানা দুস্কর।
৫৬.
কি দরকার আপনাদের? জিজ্ঞাসা করলাম তাদের। দরকার ‘এক্সেস’। মোবাইল কোম্পানির ডাটাতে। রিসার্চ টিমের দরকার কিছু ‘অ্যানোমাইজড’ মেটা ডাটা যা বের করে দেবে সবকিছু। প্রজ্ঞা হিসেবে। সরকারের কাজে।
৫৭.
দেখা গেছে মোবাইল ফোনের লগ মেটাডাটায় রয়ে যায় মানুষের স্বভাবজনিত প্রচুর ডিজিটাল ট্রেস। মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের বিলিংয়ের কাজে তৈরি করে ‘কল ডিটেল রেকর্ড’। এই ‘সিডিআর’ একটা নির্দোষ ফরম্যাট। তবে, মিলিয়ন ডাটার সাথে একে ‘অ্যানালাইজ’ করলে মানুষকে প্রজ্ঞা দেয় অন্য লেভেলে।
[…]
Leave a Reply