Constant kindness can accomplish much. As the sun makes ice melt, kindness causes misunderstanding, mistrust and hostility to evaporate.
— Albert Schweitzer
এটা ঠিক যে ট্রান্সপোর্টেশন ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে লাগাচ্ছে কাজে, সফলতা চলে এসেছে তাদের হাতের মুঠোয়। প্রায় পুরোপুরি। তবে ভেতরের কাহিনী কিছুটা ভিন্ন। প্রযুক্তি এগিয়েছে যতোখানি – মানসিকতা আগায়নি ততোটা। কথা বলছিলাম আমাদের মানসিকতা নিয়ে। মানুষের। ধরা যাক এই আমাকেই।
মাস কয়েক আগের কথা। সান-ফ্রান্সিসকোর এক রাস্তা। চালাচ্ছিলো আমার বন্ধু। হঠাৎ চোখে পড়লো পাশের গাড়ির ওপর। একটা সেলফ ড্রাইভিং কার। বসে আছেন মহিলা একজন। ড্রাইভিং সিটে। হাত তুলে সিগন্যাল দিলেন আমাদের। বোঝাতে। ওই ভিডিওটার মতো। ‘লুক মা, নো হ্যান্ডস!’ স্টিয়ারিং হুইল ঘুরছে নিজে নিজে। ভয় পেলাম বরং। দুটো গাড়ির গতি তখন বেশ বেশি। যা হয় ইন্টারস্টেটের রাস্তায়। চিন্তা হলো – যদি বাড়ি দেয় গাড়িটা? বন্ধুকে বললাম পিছিয়ে পড়তে। সেফটির চিন্তায়। হাসলো বন্ধু। এক্সেলেটর ছেড়ে দিলো কিছুটা। মানে হচ্ছে, সেলফ ড্রাইভিং কার প্রজেক্টে একটা বড় টাকা খরচ হবে মাইন্ডসেট পাল্টাতে। এই পুরোনো আমাদের।
যন্ত্রকে বিশ্বাস করা যাবে কিনা সেটা নিয়েই চলবে গল্প। বহুদিন ধরে। কিছুটা ‘ইগো’র ব্যাপার আছে এখানে। আমাদের মানুষের। যন্ত্রের ‘মোরাল ভ্যালু’ নিয়ে উঠবে কথা। ধরুন, গাড়িতে আছেন আপনি। চলছে গাড়ি। হঠাৎ করেই চলে এলো একজন মানুষ। গাড়ির সামনে। ক্রসিংয়ের লাল বাতি জ্বলার আগেই। ওই মানুষটাকে কাটাতে হলে আপনাকে টার্ন করতে হবে বাঁয়ে। অথচঃ বাঁয়েই আছে আরেকটা লরি। ওখানে লাগলে আপনার বিপদ। এখন কি করবে যন্ত্র?
আমার উত্তর – যেভাবে ওকে ট্রেনিং করাবেন মডেলের ডাটা দিয়ে। সেখানে মোরাল ভ্যালুর একটা কনস্ট্যান্ট থাকবে আগে থেকে। ওই ‘ফাইন লাইন’ থেকে কতোটুকু বিচ্যুতি নেবেন সেটা থাকবে মানুষের কাছে। আমার ধারণা, মানুষকে এই যন্ত্রকে বিশ্বাস করানোর জন্য বিশাল ক্যাম্পেইন চলবে অনেকদিন ধরে। সেখানে এখন আছে ইন্ডাস্ট্রি। ট্রান্সপোর্টেশন, অ্যাভিয়েশন, হাই-টেক সবাই মিলে। সরকার আসবে কিছু পরে। সরকার তো কিছু নয়, এর পেছনে আছে কিছু মানুষ।
ভয় কাটবে একসময়। মানুষ আর যন্ত্রের চালানোর হিসেব নিয়ে বসবে মানুষ। কার ক্ষয়ক্ষতি কেমন। স্বাভাবিকভাবেই চলে আসবে যন্ত্রের আধিপত্য। ভয় পাবার কিছু নেই এখানে। এটা হবেই। আমার কথা একটাই। যেখানে যার কাজ করার কথা, সেখানে কাজ করবে সেই। ‘ড্রাইভিং ট্রাইভিং’ যন্ত্রের কাজ। অনেক শহরের পাবলিক ট্রানজিট সিস্টেম চালায় মেশিন লার্নিং। শুরু হয়েছে ছোট ছোট মডেল দিয়ে। বড় বড় অ্যাভিয়েশন হাব চলছে ওই যন্ত্রের ওপর। লম্বা ফ্লাইটগুলো চলে গেছে অটো পাইলটে। সবাই জানে – মানুষের কাজ অন্য।
[…]
Leave a comment