Feeds:
Posts
Comments

Posts Tagged ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’

Most good programmers do programming not because they expect to get paid or get adulation by the public, but because it is fun to program.

– Linus Torvalds

ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়।

বিশাল একটা দিন আজ। ১২ই সেপ্টেম্বর। প্রোগ্রামারস’ ডে।

আমাদের প্রতিটা মুহূর্তকে এগিয়ে নিতে এই প্রোগ্রামারদের অবদান আমরা জানি সবাই। সামান্য লিফটের বাটন থেকে শুরু করে প্রতিটা রিমোট কনট্রোল, হাতের মুঠোফোন থেকে টিভি, জীবনরক্ষাকারী সব মেডিকেল ইকুইপমেণ্টের পেছনে রয়েছে শত থেকে হাজার লাইনের কোড। আমাদের এই মুঠোফোনের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিষ্টেমেই আছে দেড় কোটি লাইনের কোড। আর সেকারণে যন্ত্রটা যেকোন মানুষ থেকে ভালো চেনে আমাদের। আমাদের ভালোমন্দ – পছন্দ অপছন্দ জানে অনেকটাই। জানবে আরো বেশি। সামনে। কারণ একটাই। জিনিসটা আমাদের সাহায্যকারী একটা অংশ।

সৃষ্টিকর্তা তার গুণগুলোকে অল্প অল্প করে দিয়েছেন মানুষকে। এর মধ্যে ‘জিনিস তৈরি’ করার ক্ষমতাটা অতুলনীয়। উদ্ভাবন করার ক্ষমতা। সেইগুণ দিয়ে অনেকটাই অজেয় হয়ে উঠছে মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে প্রোগ্রামিংয়ে কিছুটা এক্সপোজড থাকার কারণে ভবিষ্যত দেখার ‘ছোটখাট একটা উইনডো’ তৈরি হয় আমাদের সামনে। তাও সবসময় নয়, মাঝে মধ্যে। খেয়াল করলে দেখবেন, মানুষ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবার অনেক ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে যন্ত্রের হাতে। আমিও চাই তাই। কয়েকটা লিফটের মধ্যে কোনটা ‘কতো তলায় থাকার সময়’ কোন কলে আপনার কাছে আসবে সেটাতো ছাড়িনি লিফটম্যানের হাতে। ‘লিফটম্যান’ বলে অপমান করা হয়েছে মানুষকে। আমাদের অনেক ‘অনেক’ কাজ রয়েছে সামনে।

চেয়ে দেখুন, সামান্য ড্রাইভিং থেকে শুরু করে বড় বড় উড়ুক্কযান চলে গেছে অটো-পাইলটে। সামনে আরো যাবে। সোজা হিসেব। মানুষ দেখেছে, একটা সীমার মধ্যে বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্তের ভেতরে “কী প্রেক্ষিতে কে কী করবে” সেটা আগে থেকে ঠিক করে দিলে যন্ত্র কাজটা করে নির্ভুলভাবে। মানুষের মধ্যে অনেক ‘বায়াসিং’ বিভ্রান্ত করলেও যন্ত্র সেটা করে ঠিক করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় কিছু নয় কিন্তু। মানুষের ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’কে ওয়ার্কফ্লোতে ফেলে যন্ত্রকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়তি কিছু জিনিস। তেমনি এই মানুষেরই তৈরি ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ দিয়ে নিজের কাজের ফীডব্যাক নিয়ে শিখছে নতুন নতুন জিনিস। মানুষকে চিনতে। আরো ভালোভাবে।

মানুষ এখনো অসহায় – অনেক কিছুর কাছে। জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, আর হাজারো রোগ আসবে সামনে। এগুলো ঠেলেই এগুতে হবে – আরো অনেক। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জ্ঞান দিয়েছেন ‘এক্সপ্লোর’ করতে। জানতে। যেতে হবে লাইট ইয়ার্স দূরের নতুন নতুন গ্রহাণুপুঞ্জে। যদি জানতাম আমরা, সৃষ্টিকর্তা কী অভূতপূর্ব জিনিস ছড়িয়ে রেখেছেন নক্ষত্রপুঞ্জে। আর সেকারণেই অফলোড করতে হবে আরো অনেক সময়ক্ষেপণকারী ‘সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা’। আমাদের সহায়তাকারী যন্ত্রের কাছে। দরকার কোটি কোটি … কোটি লাইন লেখার ‘উদ্ভাবনাশক্তি’ সম্পন্ন প্রোগ্রামার। সামনের দিনগুলোতে। যন্ত্রকে শিখিয়ে দেবার জন্য। ওর পর, শিখিয়ে দেয়া হবে মানুষের ভেতরের ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ সিকোয়েন্স। যন্ত্রকে। যাতে, ও নিজে থেকেই লিখতে পারে কোড।

মানুষের কাজ অন্যকিছু। সেটা বের করবে এই মানুষই।

মোদ্দা কথা, যন্ত্রকে ভয় নেই। মানুষই মাত্রই ‘চিন্তা’ করতে পারে। যন্ত্র নয়। সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে তৈরি করেছেন ওই সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা দিয়ে। তাকে খুঁজতে। জানতে তাকে। আরো ভালোভাবে।

যেতে হবে বহুদূর।

ঈদ মুবারক।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »