প্রচুর ‘লিফটে’ চড়তে হয় আমাদের। দেশের ‘স্পেস ম্যানেজমেন্ট’ করতে হলে অনেক অনেক তলার বাড়ি তৈরি হবে সামনে। সিঙ্গাপুর আর বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য সামান্য। বহুতলে যেতে হবে আমাদেরও। যতো তাড়াতাড়ি, ততো ভালো। আমাদের ওই ‘লিফট’, অনেকের ভাষায় ‘এলিভেটর’ হবে আমাদের জীবনের সঙ্গী। মানুষ কিন্তু বহুদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছে এই জিনিসের দ্বায়িত্ব। ছেড়ে দিয়েছে যন্ত্রের ওপর। বলেছে, লিফটম্যানের দরকার নেই আর।
এক ফ্লোরে দশটা লিফট থাকলেও এক বাটনে চলে সবকিছু। কোনটা আগে আসবে সেটা নির্ভর করে যন্ত্রকে শেখানো লজিকের ওপর। কাছের লিফটটাই যে আসবে সেটা নয় কিন্তু। বরং কোনটাতে কতো বেশি রিকোয়েস্ট আছে তার ওপর। এটা কিন্তু জানে না আর লিফটের সামনের মানুষগুলো। জানে লিফট।
কি হতো আগে? দশটা লিফট। সবার বাটন আলাদা। আমাদের মতো মানুষ চাপ দিয়ে রাখতাম সবগুলোতে। যেটা আগে আসে। অথচঃ চিন্তা করি না, আমার জন্য ওই দশটা লিফট থামছে ওই ফ্লোরে। একটাতে উঠলেও বাকি নয়টা বেশ বড় একটা সময় নষ্ট করলো বাকি ফ্লোরের মানুষগুলোর। কতো বড় ইন-এফিসিয়েন্সি।
আবার, লিফটম্যান ছাড়া এই মানুষ চড়তো না লিফটে। আমি দেখেছি নিজে। প্রথম দিকে। ভয় পেতো – যদি আটকে যায় লিফটে? যদি দরজা না খোলে? যদি চলে যায় পাওয়ার? যদি পড়ে যায় নিচে? এটাই স্বাভাবিক। শুরুর দিকে। যন্ত্রকে বিশ্বাস বলে কথা। এখনো দেখি লিফটম্যান এই বাংলাদেশে। কষ্ট লাগে তখন। আপনি বলবেন – কিছু তো করে খেতে হবে তাকে। আমার কথা, আছে তো আরো অনেক কাজ। যেখানে দরকার ‘স্কিলসেট’। যেখানে দরকার মানুষকে। মাথা খাটানোয়। ওভাবে চলে আসে – তাদের কথা। রিকশা চালাচ্ছেন যারা। রিহাবিলেটেশন করা দরকার তাদের। অন্য স্কিলসেটে। মানুষের মতো কাজে।
[…]