It’s better to be at the bottom of the ladder you want to climb than at the top of the one you don’t.
– Stephen Kellogg
৬৫৩.
ব্রডব্যান্ডের সুফল দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে হলে আগে নির্ধারন করতে হবে জাতীয় ‘ফোকাল পয়েন্ট’। বুঝতেই পারছেন, হাজারো কাজ হবে এই ব্রডব্যান্ড নিয়ে। সরকারের কোন এজেন্সি যদি সেটাকে ঠিকমতো ‘মনিটর’ অর্থাত্ কাজগুলো ঠিক মতো হচ্ছে কিনা – কোন কাজটার সুফল আসছে আর কোনটার আসছে না সেটাকে চিহ্নিত করার দ্বায়িত্ব নিতে হবে সেই ফোকাল পয়েন্টকে। কাজটা হচ্ছে দেশের – সেখানে নন-গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশনের তো আর ‘লীড’ নেবে না। সরকারী আর বেসরকারি ‘শত’ এজেন্সি কাজ করবে এখানে, কাজ হবে বিশাল প্রজেক্ট আকারে। ফোকাল পয়েন্ট থাকবে ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ হিসেবে – এই বিশাল প্রজেক্টের। প্রজেক্টের কাজের সফলতা, অগ্রগতি আর একেকটা কাজের ‘ইন্টার-ডিপেনডেন্সি’ অথবা, কার জন্য আটকে আছে কাজটা – এধরনের ধারাবাহিকতা ‘মনিটর’ করার জন্য থাকতে হবে সরকার থেকে মনোনীত ‘ফোকাল পয়েন্ট’ একটা এজেন্সিকে। এটাকে ধরে নেব ‘পিএমও’ মানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিস হিসেবে।
৬৫৪॰
ফোকাল পয়েন্ট এজেন্সি হিসেবে থাকছেন যারা, তাদের ‘ক্যাপাসিটি’ তৈরি করা জরুরী। ব্রডব্যান্ড ডেভেলপেমেণ্ট প্রোগ্রাম তৈরি করতে তাদের জানতে হবে বিভিন্ন টুলস। পুরো পৃথিবীতে ব্যবহার হচ্ছে এই টূলগুলো। রকেট সায়েন্স নয় বলে এগুলো ব্যবহার করে ‘উন্নত’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশগুলো সুফল পাচ্ছে সরাসরি। বইটার তৃতীয় অধ্যায়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে এই টুলগুলো নিয়ে। এই কাজগুলো অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সাথে কিভাবে সম্পৃক্ত সেটা জানতে হবে আগে। আর সেকারণে বেশ কিছু অর্থনীতিবিদ থাকতে হবে সেই ফোকাল পয়েন্ট এজেন্সিতে। রেগুলেটরী এজেন্সি থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় এবং ব্রডব্যান্ড প্রোমোশন এজেন্সি (যদি থাকে) সবাইকে জানতে হবে জিনিসগুলো। ব্যাপারগুলো না জানলে অপারেটর, ইনভেস্টর আর ইনডাস্ট্রির কাছ থেকে নেয়া যেতে পারে ধারণাগুলো – ‘পাবলিক কন্সাল্টেশন’ হিসেবে। সবদেশের অপারেটরদের কর্পোরেট হেডকোয়ার্টারে জ্ঞানগুলো জমা রাখা হয় বিভিন্ন দেশের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। বলতে বাঁধা নেই, তাদের ‘জ্ঞান ব্যবস্থাপনা’ অনেক উঁচুমানের। হবে না কেন? এক কোম্পানী যখন ‘অপারেট’ করে অনেক দেশে, তাদের জানতে হয় অনেক কিছু। ব্যবসার খাতিরেই।
[ক্রমশ:]