Feeds:
Posts
Comments

Archive for the ‘Musics’ Category

‘গেটিং ওভার’ ইউ, ব্যাপারটা বড় চ্যালেঞ্জিং যখন কাউকে ভোলা যায় না। ‘টাইম ইজ দ্যা হিলার’, বলে সবাই – আসলে কি তাই? সেটার একটা আঁচ পেলাম এই গানটাতে। আমরা আসলেই কি ‘মুভ অন’ করতে পারি এতো সহজে?

অনেক গল্প দিলাম। এখন আসি কেন ব্যাপারটা ঘুরছে মাথার ভেতরে? ৩:৩০ মিনিটের এই গানটাই বলে দেবে সব। আমি এফেক্টেড কিনা? স্বাতী আমাকে বলতো “সি রাইট থ্রু”, ওই ব্যাপারটাও আছে এখানে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, হোয়াট ইফ আই নেভার গেট ওভার ইউ?

ভিডিওটাও অসাধারণ!

Read Full Post »

আশির দশকের একটা বড় সময় আমার কেটেছে এলিফ্যান্ট রোডের কয়েকটা দোকানে। সিডির যুগ শুরু হয়নি তখনও। একসারি ধরে ‘রেইনবো’ ‘রিদম’ এবং ‘সুর বিচিত্রা’ থেকে ভাইনল রেকর্ড থেকে কপি করে নিয়ে আসতাম আমাদের ক্যাসেটগুলোতে। খানিকটা বৃষ্টির মত শব্দ তবুও কম কি? সেটাই অমৃত ছিল তখন। 

ফাস্ট ফরওয়ার্ড, এখন বাসায় হাতে বানানো ‘এন্ড টু এন্ড’ ‘অডিওফাইল’ সেটআপ। তবুও কি সেই অনুভূতি পাই এখন? আমার মনে হয় – এটা একটা ব্যালেন্স। যখন কিছুই ছিলনা তখন যাই শুনতাম তাই লাগতো ভালো। এখন যেমন ভাল লাগছে কার্লি পিয়ার্স এই গানটাকে। মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেক পুরানো কথা। এই মেয়েটার গত অ্যালবামটা সুমধুর ছিল। নতুন অ্যালবামটা এখনো না আসলেও স্পটিফাইতে এই গানটা শুনে খারাপ লাগেনি। 

আমাদের লাইফ টাইমে অনেক মানুষের সাথে আমাদের দেখা হয়, হয়তোবা খুব অল্পজনই পারে আমাদেরকে টানতে। তাই বলে কি আমরা ভুলে যাই সেই মানুষগুলোকে? না বোধহয়। আমরা আশা করি – তারা যাতে ভালো থাকে। আর জীবনকে নিয়ে এগোনো একটু কষ্টের হলেও আমাদেরকে সেটা পারতে হয়।

Read Full Post »

যেহেতু প্রচুর ‘ক্রসওভার’ শোনা হয়, সেই হিসেবে এই নতুন গানটা এক কথায় অসাধারণ। ব্লেক শেলডন, আমার পছন্দের গায়ক বটে, পাশাপাশি তার রেকর্ডিং স্টুডিওর রেকর্ডিং কোয়ালিটি অনেকটাই ‘অডিওফাইল’ গ্রেডে পড়ে। এটা ঠিক – তার অনেকগুলো অ্যালবাম আমার টপ লিস্টে আছে। আমি যেহেতু অ্যালবাম ধরে গান শুনি, সে কারণে আমার কাছে গত অ্যালবামটার কাজ বেশ ভালো মনে হয়েছে।

গোয়েন স্তেফানিকে তার ড্রেসআপের জন্য সেরকম পছন্দ না করলেও তার দুটো গান বেশ ভালো মানের। আমি যেহেতু ইদানিং খুব একটা ‘পপ’ শুনি না, সেজন্য তার গান নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা ছিল না। কিন্তু ব্লেক শেলটন এর সাথে সম্পর্কের পর এই গানটাতে তাকে অন্য লেভেলের মনে হয়েছে। হয়তোবা বয়সের সাথে তার ধারণার ভারিক্কি বেড়েছে। ম্যাচুরিটি ম্যাটার্স। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে তার আর আমার বয়স এখন হাফ সেঞ্চুরি। আমরা ‘ডট কানেক্ট’ পারছি হয়তোবা। 

ম্যাচুরিটি এসেছে গানে

গানটার শুরুতে সাধারণ মনে হলেও এক মিনিট পর থেকেই শুরু হয়েছে অসাধারণ সব কথা। গান তো গানই, তবে এই গানটা ‘রিপিট ফরএভার’ মোডে চলছে আমার ‘অডিওফাইল’ স্ট্রিমিং সিস্টেমে। ‘ন্যাস’ থেকে। বাচ্চাদের কমন কমপ্লেইন, যে গানটা আমার পছন্দ, সেটা চলতেই থাকে রিপিট ফরএভার মোডে। তবে, এই গানটার ব্যাপারে এখনও তারা কমপ্লেইন শুরু করেনি। রিদমটা পছন্দ, হয়তোবা ঝামেলা শুরু করবে আরো কয়েকদিন পরে।

“কান্ট্রি” জনরাই শোনা হতো বেশি, তবে এর সাথে ‘পপ’যোগ হয়ে নতুন একটা ‘ফিউশন’ এসেছে যাকে ‘ক্রসওভার কান্ট্রি’ বলি আমরা। আমার পছন্দের বটে!

Read Full Post »

গান শোনেন যারা, মানে বর্তমান জমানার, তাদের কাছে প্রস্তর যুগের মানুষ আমি। মিথ্যা বলিনি। আসলেই তাই। আশির দশকের গান ‘শোনেআলা’কে বলবেই বা কি এখনকার মিলেনিয়ালসরা? ‘আউটডেটেড’ হয়ে গিয়েছি বহু আগে। সত্যি বলছি। মেশিন লার্নিংয়ে রেকোমেন্ডার সিস্টেম আমার মেজাজের অ্যালবাম বাছাই করে ভালো। নতুন গায়ক গায়িকারাও মাঝে মধ্যে অবাক করে এই ‘আউটডেটেড’ আমাকে।

Then I’ll run to him, big hug, jump in
And I cry for her out the window
Some mamas and daddies are loving in a straight line
Take forever to hearten and take a long sweet ride
But some mamas and daddies
Let their heartstrings tear and tangle
And some of us get stuck in a love triangle

বাবা মার সম্পর্ক নিয়ে তটস্থ থাকে বাচ্চারা। বোঝেও আগে তারা। সবার আগে। এটাও ঠিক – খারাপ জিনিসটার প্রভাব সবার আগে পড়ে সন্তানদের ওপর। বড়রা বোঝেন না অথবা বুঝতে চান না ওই সময়টাতে। দুপাশের ওই টানাপোড়েনের গান দিয়ে বিদেয় হই আমি। গানটার কথার সাথে ভিডিওটা আমাকে কাঁদিয়েছে কিছুটা সময়। ধন্যবাদ রেয়লিনকে। একটা চমৎকার পার্সপেক্টিভ দেবার জন্য।

#audio_rhassan

Read Full Post »

মিসলিডিং হেডলাইন? আমি জানি এটা বলবেন আপনি। তবে, উত্তরে – হ্যাঁ অথবা না। আবার, এটা ঠিক ব্যাপারটা হতে পারে দুটোই। ব্যাপারটা এমন, ধরুন – কিনতে চাইছেন আপনি ‘বিএমডাব্লিউ’। আমরা তো সবাই চাই বেস্ট জিনিস, এখন পরতায় না পেলে কি করা? ধরুন, মনে চাচ্ছে এই ‘বিএমডাব্লিউ’ই। তবে পয়সা আছে সুজুকি’র। ভুল বুঝবেন না। সুজুকি কিন্তু একমাত্র ব্র্যান্ড যারা গাড়িকে নিয়ে এসেছেন সবার পর্যায়ে। পয়সা আছেন কিন্তু পাচ্ছেন টয়োটা প্রিমিও’র লেটেস্ট মডেল। কেমন হয় জিনিসটা? বিশ্বাস হচ্ছে না? জানি, বিশ্বাস হওয়ার কথা না।

মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম একটা কাজে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে রাতে চলে যেতাম কিছু ‘স্পেশালাইজড’ স্টোরে। এটা ঠিক, অনেককিছু ‘অনলাইন’ হয়ে যাওয়াতে চাপ কমেছে বাজারগুলোতে। তাই বলে, স্টোরফ্রন্টের আবেদন থাকবে না – এটা হয় কখনো? একটা জিনিস দেখেশুনে, ‘সাক্ষাত’ হাতে ধরে সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেলার মজাটা কিন্তু অন্যরকম। অনেকের তো বাতিকই আছে জিনিস দেখে শুনে কেনার। কয়েকটা দেখে একটা কেনার অভ্যাস আছে আমাদের অনেকের। খারাপ নয় ব্যাপারটা।

এখন আসি ‘স্পেশালাইজড’ গল্পে। যে দোকানে একটা দুটো আইটেমের হাজারো ভ্যারিয়েশন থাকে সেটাই ‘স্পেশালাইজড’ দোকান। তাই বলে শুধুমাত্র হেডফোনের জন্য দোকান? সত্যিই তাই। আর এই হেডফোনকে ঘিরেই রয়েছে বিশাল বড় একটা ইকোসিস্টেম। ‘ক্লিন’, ‘প্রিস্টিন’ আর মিনারেল ওয়াটারের অ্যাডের ওই ক্রিস্টালের মতো ‘স্বচ্ছ’ পানির কাছাকাছি শব্দের খোঁজে পাগলপারা এখনকার মানুষ। বর্তমান প্রযুক্তির উত্কর্ষের মাত্রা শব্দের ‘রিপ্রোডিউস’ করার যন্ত্রকে নিয়ে গেছে শিল্পের পর্যায়ে। ‘মিনিয়েচারাইজেশন’ মানে এক চিপে বিলিয়ন ট্রানজিস্টর চলে আসায় সবকিছু চলে এসেছে হাতের মুঠোয়।

আর তাই মোবাইল ফোনে চোখ পড়েছে পুরো ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ ইন্ডাস্ট্রির। অডিও ভিডিও, ইন্টারনেট, হাজারো সেন্সর, কি নেই এতে? আরো আছে কোটি অ্যাপ। কথা বলা বাদ দিয়েই। সব ভালো, তবে সবকিছুর অল্প অল্প জিনিস দিতে গিয়ে ‘উত্কর্ষ’ নামের জিনিসটা হারিয়েছে আমাদের হাতের মোবাইলটা। তাই বলে পার্সোনাল অডিওর ‘ইকোসিস্টেমে’ থাকবে না আমাদের হাতের মোবাইল যন্ত্রটা? বলেন কি? থাকবে অবশ্যই। তবে বাইপাস করবো ওটার ইন্টারনাল অডিও সিস্টেমকে। কারণ, মোবাইলের ‘স্টক’ মানে সঙ্গে দেয়া অডিও সিস্টেমটা বড্ড সেকেলে। এদিকে আমাদের ল্যাপটপের ইন্টারনাল সাউন্ডটাও কিন্তু সেভাবে পঁচা।

মনে আছে আমাদের পিসির শুরুর যুগটার কথা? পিসি মানে খালি মাদারবোর্ড। নো অনবোর্ড সাউন্ড, অথবা ইথারনেট কার্ড। তখন সাউন্ড কার্ড কিনতে হতো আলাদা করে। আর সাউন্ডের মূল খেলাটা দেখেছি আমরা। অডিওকে আলাদা করে প্রসেস করার জন্য দেয়া হতো আলাদা আলাদা প্রসেসর। শব্দও আসতো ওই রকম। এখন? এটা সত্যি প্রসেসরের গতি বেড়েছে বহুগুন। খরচ কমাতে সব চাপ দেয়া হয় ওই একটা দুটো প্রসেসরের ওপর। ফলাফল? সব কাজের কাজি, একক দক্ষতায় আনাড়ি।

ফিরে আসি ওই মালয়েশিয়ার গল্পে। বলছিলাম হেডফোনের ‘ইকোসিস্টেম’ নিয়ে। হেডফোন যদি শেষ আউটপুট ডিভাইস হয়, তাহলে মোবাইল হচ্ছে তার উত্পত্তি যন্ত্র। ধরুন, আপনাকে দেয়া হলো ষ্টুডিও ম্যাটেরিয়াল শব্দের ফাইল। চার মিনিটের একটা গান। কয়েক গিগাবাইটের। সিডি কোয়ালিটি নয়। বুঝতে হবে ফারাকটা। আপনি যখন ছবি তোলেন তখন তোলেন কিন্তু সবচেয়ে হাই-রেজোল্যুশনে। কারণ এডিটিংয়ের জন্য দরকার কিছু ‘হেডরুম’। মানে যেভাবেই এডিট করেন না কেন ওই পর্যাপ্ত পিক্সেল আপনাকে দিচ্ছে অনেক অনেক ইচ্ছেমতো ‘হাতড়ানো’র সুবিধা।

ষ্টুডিও কোয়ালিটি গানও একই জিনিস। ধরুন, আপনি একটা অর্কেস্ট্রা শুনছেন। হেডফোনে। আমার বাসাটা শহর থেকে দুরে হওয়ায় বাসার ভেতরের ‘অ্যামবিয়েন্ট’ শব্দ মাত্রা হচ্ছে ৩৫-৪০ ডিবি। মানে, সাধারণ সিডি’র ডাইনামিক রেঞ্জ (৯৬ ডিবি) শুনতেও হেডরুম থাকছে অনেক বেশি। অথচ, ওই একই অর্কেস্ট্রা যদি শুনতে চান গুলিস্তানে? আসেপাশের শব্দেই নয়েজ ফ্লোর চলে যাচ্ছে ৮০ ডিবিতে। বাকিটা শুনবেন কি করে? সাতরাতে নামলেন পানিতে। নেমেই বুঝলেন হাঁটু পানি। সাতরাবেন আপনি?

এর মানে হচ্ছে আপনার গানের নয়েজ ফ্লোর যতো নিচে, উপলব্দির মাত্রা ততো বেশি। মানে, গায়ের রোম দাড়াবে বেশি বেশি। সাদার ওপর কালো ফুটবে যতোটা, খয়েরি রঙের ওপর ওই কালোই কিন্তু ফুটবে না অতোটা। জীবনটাই ‘কনট্রাস্টে’র খেলা, গানই বা বাদ যাবে কেন? গানের এই কনট্রাস্ট বাড়াতে দরকার আলাদা একটা যন্ত্র। এই মোবাইল বা ল্যাপটপের ‘স্টক’ সাউন্ড ডিভাইস ‘বাইপাস’ করে লাগাবো ছোট্ট একটা যন্ত্র। সত্যি কথা বলতে এটা নিজেই একটা সাউন্ডকার্ড। মোবাইলের এক্সটার্নাল সাউন্ড কার্ড। চলে কম্পিউটারের সাথেও। দক্ষতার সাথে।

ধারণা বলে, প্রতিটা ‘কনভারশন’ মানে ডিজিটাল টু এনালগে সিগন্যাল ‘লস’ হয় কমবেশি। তবে যতো কম লস, ততো উপলব্দির মাত্রা বেশি। আর সেজন্যই দরকার এই ‘ডিজিটাল টু এনালগ’ কনভার্টার। সংক্ষেপে ‘ড্যাক’। আমাদের ফোন মানে, সোর্সের পরেই থাকে ‘ড্যাক’। আর ‘ক্লিন’ কারেন্ট দিয়ে সবচেয়ে কম ‘ডিস্টরশন’ আর ‘ইন্টারফেয়ারেন্স’ দিয়ে সিগন্যালকে মজবুত করে আমাদের হেডফোন অ্যাম্প। ঠিক ধরেছেন! ড্যাকের পর থাকে এই অ্যাম্প। একটা ‘রুল অফ থাম্ব’ আছে এর ব্যাপারে। বিশেষ করে অ্যাম্পের আউটপুট ইম্পিডেন্সে। যতো কম হবে আউটপুট ইম্পিডেন্স, ততো বেশি কন্ট্রোল করতে পারবে হেডফোনকে। হেডফোনের ইম্পিডেন্সের আটের এক ভাগেরও কম হতে হবে অ্যাম্পের ইম্পিডেন্স। না হলে শব্দ যাবে বিগড়ে।

আগে মোবাইলে লাগাতাম হেডফোন। সরাসরি। এখন মোবাইলে লাগাবো ‘ড্যাক’। তারপর ‘হেডফোন অ্যাম্প’। তারপরই জুড়ব আমাদের হেডফোন। সস্তা ‘রেফারেন্স’ জাতীয় কিছু একটা। ধরুন, অডিও টেকনিকা’র একটা মনিটরিং হেডফোন। এম৫০ গোত্রের। এরপর স্বচ্ছ পানির মতো কল কল করে আসবে গানের শব্দ। ধারণা করছি, মোবাইলের ‘প্লে’ বাটন চাপার সাথে সাথে পড়ে যাবেন আপনি। চেয়ার থেকে। প্রথমদিকে দাড়িয়ে শোনাটাই শ্রেয়। তবে রেকর্ডিং ষ্টুডিও আপনাকে যেভাবে শোনাতে চেয়েছেন সেটার ধাক্কাটা নিতে পারেন না অনেকেই। বিশেষ করে, প্রথম দিকে। ভেজাল খেয়ে খেয়ে পেট সয়ে গেলে আসল খাবারে যে সমস্যা হয় এটাও ওই ধরনের সমস্যা। এটা থেকে বের হতে আমার নিজেরই লেগেছে বড় একটা সময়। তবে, আপনাদের লাগবে কম। কারণটা বলছি পরে।

আমার একটা ধারণা ছিলো – কিসের ড্যাক – কিসের কি? সব কেনানোর ধান্ধা। কেনই বা দরকার হেডফোন অ্যাম্প? ভালো হেডফোন কিনলেই তো চলে। ইনভেস্টমেন্ট করলে সেটা আসবে ‘এন্ড প্রোডাক্টে’। মানে, হেডফোনে। ধারণাটা ভাঙ্গলো একটা হেডফোন অ্যাম্প দিয়ে শুনে। সাধারণত: গান শুনি কম ভলিউমে। খুব বেশি হলে ৩০ শতাংশে। তাহলে কেন দরকার অ্যাম্প? গানের যন্ত্রগুলোর সাউন্ড সেপারেশন, আর ‘সাউন্ডস্টেজ’ শুনেই পড়ে গেলাম চেয়ার থেকে। ইনস্ট্রুমেন্টগুলো এতদিন ছিলো মাথার মাঝখানে। এখন দেখি সেগুলো আসছে সবদিক থেকে। ভীষণ ভয় পেলাম প্রথমে। ধাতস্থ হবার আগেই পড়ে গেলাম নিচে। ভাগ্যিস, হাত দিয়ে ধরেছিলাম বলে রক্ষা।

তো ভলিউম বাড়াতে কিন্তু এই অ্যাম্প নয়। বরং পুরো হেডফোনকে ঠিকমতো দাবড়াতে লাগে এই অ্যাম্প। সেটার জন্য দরকার ওই ‘ক্লিন’ ‘ডিস্টরশন ফ্রি’ কিছু বেশি কারেন্ট। বেশি কারেন্ট মানে ভলিউম বেশি নয়, বরং পুরো ড্রাইভারটাকে প্রয়োজন মতো চালানোর জন্য দরকারী কারেন্ট। আবার বেশি ইম্পিডেন্সের হেডফোন চালাতে গেলে দরকার বেশি কারেন্ট। দেখা গেছে, ভালো হেডফোনগুলো সাধারণতঃ বেশি ইম্পিডেন্সের হয়।

জার্মানীর বেয়ারডাইনামিকের ডিটি ৯৯০ আমার প্রিয় হেডফোনের একটা। এটার আবার ভার্সন আছে তিনটা। মোবাইল ডিভাইসের আউটপুট পাওয়ার কম বলে সেটার জন্য আছে ৩২ ওহমসের একটা ভার্সন। এছাড়াও আছে ২৫০ আর ৬০০ ওহমসের দুটো এডিশন। হেডফোনের ইম্পিডেন্স নির্ভর করে ওটার ভয়েস কয়েলের ওপর। বিজ্ঞান বলে যতো প্যাঁচ, ততো চৌম্বক ক্ষেত্র। বেশি প্যাঁচ দিতে লাগবে ততো সুক্ষ তার। যতো সুক্ষ, ততো বাতাস কম ওই প্যাঁচগুলোর ভেতর। আর তাই কম ডিস্টরশন। ফলে, ততো ‘স্মুদ’ আওয়াজ। আর এই ৬০০ ওহমসের হেডফোনকে চালাতে লাগবে হেডফোন অ্যাম্প। আরেকটা কথা, অনেকের বাসায় তো আছে ৩০০০ ওয়াটের সাউন্ড সিস্টেম। তবে ‘পাসল্যাব’য়ের ৩০ ওয়াটের অ্যাম্পের কাছে কেন মুখ লুকোয় ওই ৩০০০ ওয়াটের সাউন্ড সিস্টেম?

‘ড্যাক’ আর ‘অ্যাম্প’ কেন দরকার সেটা নিয়ে কোন কনফিউশন নেই তো আর? প্রশ্ন করলাম নিজেকেই। ‘ড্যাক’ দরকার মিনারেল ওয়াটারের মতো ষ্টুডিওর ‘ক্লিন’ ‘প্রিস্টিন’ শব্দের জন্য। যেভাবে ‘গায়ক’ আসলেই চেয়েছেন আপনাকে শুনতে। আর ‘অ্যাম্প’ দরকার হেডফোনকে দাবড়ানোর জন্য, সেটার পুরো ক্ষমতায়। যথেস্ট পাওয়ার দিতে পারছে কিনা সেটার জন্য। ভলিউমের জন্য নয়। ‘ম্যাড়ম্যাড়ে’ শব্দ নয়, ‘পাঞ্চি’ বলে কথা। এছাড়াও কিছু গল্প আছে ‘পারফেক্শনিস্ট’দের জন্য।

মনে আছে স্পিকার ডিজাইনের কথা? শব্দের ওপর পুরো স্পিকার সাব-সিস্টেমের প্রভাব? ধরুন কিনলেন বিশ্বের এক নম্বর ড্রাইভার। প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত এই টুইটার আর উফার। মার্কেটিংয়ের ধারায় নয়। তবে, এক নম্বর ড্রাইভার কিনেও লাভ হয় না বেশিরভাগ সময়ে। যদি না সেটাকে ‘ইমপ্লিমেন্ট’ করা হয় ঠিকমতো। যদি না স্পিকার সাব-সিস্টেমের ডিজাইন করা হয় নিয়মমাফিক। ব্যাপারটা এমন, এলিডি প্যানেল নিলেন স্যামস্যাংয়ের, ফিড দিলেন ভিজিএ, কাজ হবে বলুন?

আমার একটা ফেভারিট পাসটাইম হচ্ছে নতুন সব ইলেকট্রনিকসের জিনিস খোলা। ছোটবেলার অভ্যাস। ফোনও আছে এর মধ্যে। কম পোড়াইনি ভেতরের বোর্ড। সমস্যা হয় না খুব একটা। আলিএক্সপ্রেস আছে কি করতে? বোর্ড পোড়াই একেকটা, সেই পার্টসটা নিয়ে আসি ওখান থেকে। আর সে কারণে আমার হাতের দুটো ফোনের প্রায় ৬০ শতাংশ কোন না কোন পুরোনো ফোন/আলি-এক্সপ্রেস থেকে নেয়া। মাঝখানে কষ্টে থাকে ফোনের কাস্টম রমগুলো। ফ্ল্যাসের ঝক্কি নিতে পারাও ফোনগুলোর একটা বড় ফিচার।

ফোন খোলার পেছনে কারণ কয়েকটা। বোঝা যায় ইন্ডাস্ট্রি যাচ্ছে কোন দিকে। কে ব্যবহার করছে কোন চিপসেট? আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার ‘কেন’? কার ‘অডিও ইমপ্লিমেন্টেশন’ নিচ্ছে তারা? আসল যুদ্ধের মতো মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোর যুদ্ধ দেখার মতো। সামরিক বিদ্যার দৌড়ে বেশ ভালো করেই বোঝা যায় কার ‘ট্যাকটিকস’ কেমন। কে কখন কি ‘স্ট্রাটেজি’ নিচ্ছে সেটাও বোঝা যায় ওই ঘটনার পর। সত্যি বলছি। চেখে দেখতে পারেন সান জু’র ‘আর্ট অফ ওয়ার’ বইটা। ঠিক বলেছেন, আড়াই হাজার বছর আগের লেখা।

ভালো হার্ডওয়্যার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একেকটা কোম্পানি। তবে যে যাই দিক, যে করতে পারছে স্মার্ট ‘ইমপ্লিমেন্টেশন’, সেই যাচ্ছে এগিয়ে। স্মার্ট ‘ইমপ্লিমেন্টেশন’ মানে সফটওয়্যার আর হার্ডওয়্যারের অনন্য সমন্বয়। দেখুন ‘ওয়ানপ্লাস’, ‘শাওমি’ করছে কি এখন? কেন বিপদে পড়লো ‘নোকিয়া’? তার মানে কি শেষ ‘নোকিয়া’? আমার মন বলছে ঘুরে দাড়াবে কোম্পানিটা। শেষ কামড়ের জন্য। আমার জানা মতে, হার্ডওয়্যার ইমপ্লিমেন্টে সেরা ছিলো ওরা। মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিলো ওদের ‘রক সলিড’ হার্ডওয়্যার ইমপ্লিমেন্টে। এদিকে অ্যান্ড্রয়েডের সস্তা সল্যুশন (বাজে হার্ডওয়্যার) নিয়ে বিরক্ত মানুষ। নষ্ট হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। আমার রিডিং তাই বলে। অ্যান্ড্রয়েড তুখোড় সিস্টেম। তবে বাজে হার্ডওয়্যার বিরক্ত করছে মানুষকে। অন্ততঃ আমাদের দেশে। আর তাই গড়ে উঠেছে ফোন রিপেয়ার শপ। গলিতে গলিতে। সাপ্লাই আর ডিমান্ডের খেলা।

ব্র্যান্ডের ব্যাপারে আমার উপলব্দি কিছুটা ভিন্ন। ফোনগুলো ‘পাওয়ারফুল’ হচ্ছে অনেক অনেক বেশি। প্রতিটা নতুন নতুন মডেলে যোগ হচ্ছে অনেক দামী দামী অডিও ‘ড্যাক’। বিশেষ করে – দামী ফোনগুলোতে। কোয়ালকমের ‘স্ন্যাপড্রাগন’ প্রসেসরও ইমপ্লিমেন্ট করছে দারুন অডিও ফিচার। প্রতিদিন। এলজি, স্যামস্যাং, অ্যাপল নিজে থেকেই ‘ড্যাক’ নিচ্ছে ‘উলফসন’, ‘স্যাবর’ আর ‘সাইরাস লজিক’ থেকে। বলে রাখা ভালো এই কোম্পানিগুলোর ‘ড্যাক’ ইমপ্লিমেন্টশন চলছে দুনিয়া জুড়ে। ‘টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস’ই বা বাদ যাবে কেন? মোবাইলে হয়তোবা আসছে মোবাইলের ‘লো পাওয়ারড অডিও ইমপ্লিমেন্টেশন’, সেটাও অনেক ভালো।

আমার কথা অন্যখানে। স্মার্টফোন অডিও হচ্ছে ‘নিশ’ মার্কেট প্রোডাক্ট। ‘নিশ’ মার্কেট হচ্ছে এজন্যই, অডিওফাইলদের কেউ গান শোনার জন্য কেনে না স্মার্টফোন। অন্ততঃ আমি না। ‘কট্টর’ অডিওফাইল নই আমি। আবার অডিওফাইলরাও ব্যবহার করছেন ফোন দরকারে। তাহলে হলো কি? হাতের কাছে ফোন থাকে বলে ‘অডিও বাইপাস’ করছেন ওই ফোন থেকেই। তারপর সেটাকে পাঠাচ্ছেন ডেডিকেটেড ‘ড্যাক’ আর ‘অ্যাম্পে’। মানে ফোনে কি ‘ড্যাক’ আছে কি নেই সেটা নিয়ে মাথা ঘামান না অডিওফাইলরা। আর সেটা ভালো করে জানেন ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো। সত্যি বলছি! আর জানেন বলে লাখ টাকার ফোনে দেন ‘শ’ টাকার হেডফোন। ফোনের ‘ড্যাক’ ৮০ শতাংশ ‘পরিশুদ্ধ’ অডিও পাঠালেও সেটার অর্ধেকটাও নিতে পারে না আমাদের সাথে দেয়া ‘স্টক’ হেডফোন।

‘ড্যাক’ চিপসেট নিয়েও আছে গল্প। আমাদের সিডি প্লেয়ার থেকে শুরু করে ডেডিকেটেড ড্যাক/অ্যাম্প বোর্ডে যে চিপসেট থাকে সেগুলোর সাউন্ড সিগনেচার একেক রকমের। আসলেই তাই! বিশ্বাস করতাম না আগে। এমনকি এক কোম্পানির দুই ধরনের চিপসেট ইমপ্লিমেন্টেশনের সিগনেচার অনেকটাই আলাদা। যাবো কই?

তবে এটা সত্যি – ড্যাক/অ্যাম্প বোর্ডে ড্যাক চিপসেট নিয়ে মাথা ঘামাতাম না আগে। দেখতাম, শব্দের ‘মিষ্টি’ভাব অথবা ‘ওয়ার্ম’নেস অনেকটাই নির্ভর করতো অ্যাম্পের ওপর। তাই অ্যাম্প ইমপ্লিমেন্টেশনে মনোযোগ ছিল বেশি। স্পেসিফিকেশন দেখে ভালো লাগতো যে ড্যাক, দেখা গেলো সপ্তাহ শেষে ভালো লাগছে না আর। কাহিনী কি? মন খারাপ হবার কথা। জ্যাকসন ব্রাউনের ‘ইনাফ অফ দ্য নাইট’টাও আবেদন হারালো শেষে। যে ‘স্যাবর’ চিপসেটকে বলা হয় বিশ্বসেরা, তার অ্যানালাইটিক্যাল শব্দ শুনে মন টেকে না আর। দেখা গেলো ‘টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টে’র সস্তা ড্যাক চিপই টানছে মন। বার ব্রাউনও খারাপ নয়। একদিকে ‘উলফসন’ আর ‘সাইরাস লজিক’ ওদিকে ‘স্যাবর’ আর ‘একে’ চিপসেট। ‘এনালগ ডিভাইসেস’ না ‘ফিলিপস’? বেশি ক্লিনিক্যাল বলে ভালো লাগছে না আর। এশিয়ান বলে এই অবস্থা?

[…]

Read Full Post »

God gave me you for the ups and downs
God gave me you for the days of doubt
And for when I think I lost my way
There are no words here left to say, it’s true
God gave me you

– Blake Shelton

ব্লেক শেলটনকে ভালো লাগার শুরুটা অনেক আগে থেকেই। প্রথম অ্যালবামটা অতটা না টানলেও পরেরগুলো মন ভালো করে দিচ্ছিলো আস্তে আস্তে। গলা সুন্দর। ভরাট। যুক্তরাষ্ট্রের সাদার্ন সাইডে থাকার বড় সুবিধা ছিলো একটাই। শত শত কান্ট্রি স্টেশন। রেডিও এয়ারপ্লে মানেই ‘কান্ট্রি ওয়েস্টার্ন’ আর ‘ক্রস-ওভার’। ক্লাসিক কান্ট্রি নয়। সময়ের সাথে মনও গেছে পাল্টে। ক্লাসিক টানে না আর।

‘ক্রস-ওভার’ হচ্ছে পপ আর কান্ট্রি’র মিশ্রণ। অন্যদের কেমন লাগে সেটা অতটা না জানলেও নিজের ভালো লাগে বলে সই। ব্লেকের সাথে পুরোনো রোমান্স ফিরে এলো ওর ২০১১এর অ্যালবামটা শুনতে গিয়ে। নামটাও অদ্ভুত। তবে সুন্দর। রেড রিভার ব্লূ। মজার কথা হচ্ছে আমার ছেলের পছন্দ কেমন করে জানি মিলে গেছে একটা গানে। আমার সাথে।

সুন্দর গান একটা। না শুনলে বোঝাতে পারবো না কী মিস করছেন আপনারা। ‘গড গেভ মি ইউ’ গানটার পেছনের গল্পটা আরো সুন্দর। যতদূর মনে পড়ে, এটা লিখেছিলেন ডেভ বার্নস বলে আরেকজন ‘ক্রিশ্চিয়ান’ ঘরানার গায়ক। ঠিক তাই। ডেভ বার্নস। গানটা লিখেছিলেন তার স্ত্রী’র কথা মনে করে। নতুন গায়ক হিসেবে জীবনের উঁচু নিচু রাস্তায় চলতে গিয়ে স্ত্রী’র পুরো সময়ের সাপোর্ট তাকে ভাবাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। শেষে একদিন লণ্ডনের রাস্তায় চলতে চলতে মনে এলো এর লাইনগুলো। সত্যিই তাই। গানের প্রতিটা পরতে পরতে ফুটে উঠেছে কৃতজ্ঞতা।

তবে, আর্টিস্টদের স্ত্রী’রা দজ্জাল হয় বেশি। সেটার আবার বেশীরভাগ হয় ওই মানুষটার কারণে। ভক্তদের ছোঁক ছোঁক করার কারণে হয়তোবা। ট্রেন্ড দেখলে বোঝা যায় ব্যাপারটা। ফিরে আসি হাঁটার প্রসঙ্গে। যতো লেখক আছেন, তাদের মাথায় সব আইডিয়া ঢোকে হাঁটতে হাঁটতে। কেউ হাঁটে রাস্তায়। কেউবা পার্কে। সব কিন্তু বাইরেই। বিশ্বাস হচ্ছে না? বড় বড় লেখকদের তাদের লেখা নিয়ে জানতে চাইলে হাঁটার কথাই বলেন।

বার্নসের গানটা প্রভাবিত করে শেলটনকে। গানটার কারণেই মিরাণ্ডা ল্যামবার্টকে প্রস্তাব দেন এই গায়ক। গার্লফ্রেণ্ড ল্যামবার্টকে চিনবেন সবাই। কান্ট্রি’র আরেক উজ্জল ‘নক্ষত্র’ গায়িকা। পিস্তল অ্যানিজ’এর তিনজনের একজন। তাদের বিয়ের আগের রাতের ফুটেজটা জুড়ে দেয়া আছে সেলটনের এই মিউজিক ভিডিওতে। মিরান্ডাকে এই বিয়েটাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী হবার কথা শোনা গিয়েছিলো অনেকগুলো ‘গসিপ’ ম্যাগাজিনে। শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেনি তারা। একসাথে।

Read Full Post »

০১.

সত্যি বলতে – পছন্দ হয়নি প্রথম দেখাতে। মানে টিভিতে। পরে রোলিং স্টোনের সাইটে। ব্লণ্ডদের নিয়ে অনেক জোকস আছে, মনে হলো ওটাতেও পড়ে না সে। বেশবাসে বেশ খোলামেলা। চোখ সরিয়ে নিতে হয় মাঝে মধ্যে। বুঝি, কালচারাল ইস্যু। আগে দেখতাম প্রচুর মিউজিক ভিডিও। কমিয়ে দিয়েছি সেটা। এখন গানটা ভালো লাগলেই দেখি ভিডিওটা। ‘প্রোভাইডেড’, যদি থাকে।

০২.

পরের দেখাটা হলো অস্টিন সিটি লিমিটসের একটা প্রোগ্রামে। সত্যিকারের মিউজিক দেখা যায় ওখানে। লাইভে। আর কিছু না হলেও এই প্রোগ্রামটা দেখি নিয়ম করে। বাংলাদেশে থাকলেও মিস হয়না খুব একটা। এইচডি স্ট্রীমিং আছে কী করতে? সময়টা বেকায়দা হলেও সমস্যা হয়না খুব একটা। রেকর্ডে চলে যায় লাইভ প্রোগ্রামটা। লিনাক্স স্ক্রিপ্টিং আছে কী করতে?

০৩.

ওই অস্টিন সিটি লিমিটসে এসেছিলেন ‘ডন হেনলি’। নতুন অ্যালবামের সাথে পুরোনো কয়েকটা গান গেয়ে মাত করে ফেললেন ভেন্যুটা। এর মধ্যেই তিনি ডেকে আনলেন আরো কয়েকজন গানের গুরুকে। ট্রিশা ইয়ারউড, মার্টিনা ম্যাকব্রাইড। এরপর এলো সে। আগের মতোই কিছুটা খোলামেলা। ডুয়েটের গানটা কিছুটা ‘ব্লু-গ্র্যাস’ হলেও ভালোই মনে হলো আমার। তবে মন কাড়েনি অতোটা।

০৪.

প্রচুর গান শুনেছি একসময়। বিয়ের আগে। ধরুন, গড়ে ছয় ঘণ্টা দিনে। কাজ করছি, পেছনে চলছে কিছু একটা। লো ভলিউমে। সবাই যখন কিনলো টিভি, আপগ্রেড করলাম পুরানো অ্যাম্পটাকে। ওই ব্যাচেলর সময়টাতে। এখন শুনি সিলেক্টিভ কিছুটা। গড়ে দু-তিন ঘণ্টা করে হয়তোবা। যেটাই করি না কেন, একটা অভ্যাস পাল্টেনি এখনো। যখন শুনি, শুনি একটা অ্যালবাম ধরে। একটা অ্যালবামই চড়ানো থাকে মাস ধরে।

০৫.

যেমন এখন আছে ‘দ্য ব্লেড’টা। মনে হলো অনেকদিন ধরেই শুনিনি এরকম কিছু। মজার কথা, অর্ধেক গানই রেডিও ফ্রেণ্ডলী। মন টানতে বাধ্য। মনে হয় আকাশে উড়ছি। হ্যান্ড গ্লাইডারের মতো পাতলা কিছুতে। চোখ বন্ধ হয়ে আসে এমনিতেই। গানের কম্পোজিশনে ‘মেলানকোলি’র আভাস বেশ গাঢ়। বাবাকে মিস করছে বোধহয়। উনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার তেরোতে।

০৬.

আরেক মজার কথা হচ্ছে এটার প্রোডিউসার হচ্ছেন মহারথী ‘ভিন্স গিল’। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ওই ‘ভালো না’ লাগাটা কেটে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। প্রথম দেখার সেই ইম্প্রেশনটাও উবে যাচ্ছে মনের অজান্তে। মাথার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে মেয়েটা। কিভাবে জানি। এখন মনে হচ্ছে ‘ইফ লাভ ওয়াজ ফেয়ার’ গানটা দিয়ে।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

Where words leave off, music begins.

― Heinrich Heine

০৬.

পেট চলে যোগাযোগ দিয়ে। যুদ্ধের মাঠে সবাই যাতে ঠিকমতো তার দরকারী তথ্য পায় সেটা দেখার দ্বায়িত্ব আমার। তথ্য পাঠানোর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মানুষের কথাবার্তা। এই কথাকে এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় পাঠাতে দরকার ‘ফ্রীকোয়েন্সি ক্যারিয়ার’। আকাশ, ফাইবার আর তার যেখান দিয়ে পাঠাইনা কেন – সবখানেই ওই গলার শব্দকে চড়াতে হয় দরকার মতো ক্যারিয়ারে। এদিকে ডিজিটালের যুগ এখন। অবিকৃত শব্দ ওপারে পাঠাতে ‘স্যাম্পলিং’য়ের জুড়ি নেই। ক্যারিয়ারে ওঠানোর আগ পর্যন্ত এর চলাফেরা। আর তার রিফাইনড ভার্সন হচ্ছে এই ‘অ্যাকুস্টিক’ মানে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। নিজে গান শুনি অনেক। অনেক মানে অনেক! জীবিকার সাথে মেলেও খানিকটা। আর ভালো শব্দের জন্য বহুদূর যেতে রাজি। ‘পার্ফেকশনিষ্ট’ না হলেও ব্যাপারটা কষ্ট দেয় আমাকে।

০৭.

গান হচ্ছে অ্যানালগ, আর তার আধার হচ্ছে ডিজিটাল। অ্যানালগ আধারে রাখলে রিপ্রোডাকশনে সমস্যা। অ্যানালগ হচ্ছে নদীর ঢেউয়ের মতো। হারিয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে। আর ডিজিটাল হচ্ছে ইটের মতো। কাঠখোট্টা। বাঁকা ত্যাড়ার কিছু নেই। হিসেব রাখা সহজ। তার মানে – এখন গান মানে হচ্ছে শূন্য আর একের গল্প। কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে এটা বলতে পারি যে – স্টুডিওর বাইরে ধারণ করা ওই সিগন্যালকে আবার একদম ঠিকমতো তৈরি মানে ‘রি-কন্সট্রাক্ট’ করা যাবে যদি স্যাম্পলিং ফ্রিকোয়েন্সিটা ওই সিগন্যালের সর্বোচ্চের দ্বিগুণ হয়। বেশি গল্প দিয়ে ফেললাম নাকি? গল্প আমার না। হ্যারি নাইকুয়িস্ট বলেছিলেন সেই উনিশশো চব্বিশে।

০৮.

তাহলে গল্পটা দাড়ালো কোথায়? গানকে যদি কোন আধারে ঠিকমতো ধরতে হয়, তাহলে সেটার স্যাম্পলিং হতে হবে নিদেনপক্ষে ৪০ কিলোহার্টজ। ভালো কথা। আগেই বলেছিলাম মানুষের কান শুনতে পায় ২০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত। আমাদের গানের ডিস্ট্রিবিউটররা গানগুলো যে সিডিতে ছাড়ছেন সেটা আসছে ৪৪.১ কিলোহার্টজ স্যাম্পলিং আর ১৬ বিট ট্রান্সফার রেট নিয়ে। হিসেব অনুযায়ী, মানুষের কানের জন্য সিডি কোয়ালিটি শব্দ ঠিক থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে ১৯৬ কিলোহার্টজ স্যাম্পলিংয়ের গান কি যেন কিছু একটা দিচ্ছে যা মাথা খারাপ করে দিচ্ছে আমাদের। আগে শুনিনি সেই শব্দও শুনতে পারছি ইদানিং। গল্প দিচ্ছি? এখন ভেগে গেলে কষ্ট পাবো কিন্তু! কথা দিচ্ছি দ্বিতীয় পর্বের পর অংক কম থাকবে সামনে।

[ক্রমশ:]


শুনছি এখন: দ্য লাস্ট ওর্থলেস ইভনিং – ডন হেনলি
অ্যালবাম: দ্য এন্ড অফ দ্য ইনোসেন্স

Read Full Post »

Where words fail, music speaks.

– Hans Christian Andersen

০১.

গান না শুনে বড় হয়েছেন কে? আমার মনে হয় খুব কম মানুষই। যতোদূর মনে পড়ে – বিয়ের আগে আমার বেতনের একটা বড় অংশ চলে যেতো এই গানের পেছনে। আগে দৌড়াতাম রেইনবো, রিদম আর সুর-বিচিত্রাতে। ছয়মাস বসে থাকতাম একেকটা ক্যাসেটের পেছনে। ক্যাডেট কলেজের এক ছুটিতে অর্ডার দিয়ে আরেক ছুটিতে পাওয়া আর কি! তাও ভালো। নিজে আয় দিয়ে ‘ভাইনল’ (যাকে আমরা সচরাচর বলে থাকি ভিনাইল) – পরের দিকে নতুন নতুন সিডি কেনা, আর নতুন পুরানো অডিও হার্ডওয়্যারের সংগ্রহ বাড়ানোই ছিলো আমার লিস্টের ওপরের দিকে। ওই সময়ে হাজার ‘পাঁচ’ ডলারের নিচে পাওয়াও যেতো না কোন ভালো অডিও হার্ডওয়্যার। এই হাই-ফিডেলিটি (হাই-ফাই) সাউন্ড নিয়ে যারা অতিমাত্রায় সচেতন, তাদের নামও আছে একটা। জানেন নিশ্চয়ই।

০২.

অডিওফাইল। হ্যাঁ। স্টুডিও কোয়ালিটি সাউন্ডকে নিজের বাসায় আনার প্রানান্তকর চেষ্টা করতে গিয়ে যা যা করা দরকার সেটা করে তারা। স্বাতী বিয়ের পর আমার রুমে এসে অবাক। না আছে টিভি, না আছে একটা ভালো পর্দা, না মটর সাইকেল। না একটা কার্পেট। পুরো রুম ধরে একটা কম্পোনেণ্ট সিষ্টেম। আর হাজার খানেক অরিজিনাল সিডি, ভাইনল। বই তো আছেই। আমি ওই ‘অডিওফাইল’ ব্যান্ডে না পড়লেও অডিওফাইল স্পেকট্রামের ওপরের দিকেই থাকবো বলে ধারনা করি। ছুটিতে আসার সময় মেয়ের জন্য একটা হেডফোন নিয়ে আসাতে ও অবাক হয়ে তাকিয়েছিলো আমার দিকে। কি ভেবেছিল সে? পাগল বাবা? মেয়েদের কাছে সব বাবাই ‘পাগল’।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

Everybody has their own level of doing their music. … Mine just happened to resonate over the years, in one way and another, with a significant enough number of people so that I could do it professionally.

—Linda Ronstadt

দ্য ভেরি বেস্ট অফ লিণ্ডা রন্সট্যাড, অ্যালবাম কাভারটাও তুখোড়!

দ্য ভেরি বেস্ট অফ লিণ্ডা রন্সট্যাড, অ্যালবাম কাভারটাও তুখোড়! ভুল বলেছি?

৮৮॰

শুরু হয় গান শোনা – ‘অ্যাবা’ দিয়ে। আহ, কি আনন্দের দিন ছিলো সেগুলো! বড় প্লেয়ার ছিলো না বাসায়। গান বাজনার প্রচলন ছিলো না বলে যন্ত্রটা কেনেন নি বাবা মা। পরে আমাকে একটা ওয়াকম্যান কেনার টাকা দিলেন মা। অনেক দৌড়াদৌড়ি করে কেন হলো একটা ওয়াকম্যান। সস্তার মধ্যেই। ফরওয়ার্ড করা যেতো খালি। রিওয়াইন্ড মানে ওল্টাও ক্যাসেট, ‘প্রেস ফরওয়ার্ড’। ওল্টাও আবার। ‘প্রেস প্লে’! গান ঠিকমতো না পড়লে – ‘রিপিট ফুল সিকোয়েন্স’। কিনলাম সেটাই – পাওয়ার অ্যাডাপ্টার সহ। এতো ব্যাটারি কিনবে কে শুনি? আর ওয়াকম্যানের ‘হেড’ পরিষ্কার? সেটার জন্যও যোগাড় করলাম কিছু স্পিরিট। অল সেট। ক্যাসেট কিনলামও দুটো। ‘সুপার ট্রুপার’ আর ‘ডিপারচার’। বুঝতেই পারছেন প্রথমটা ‘অ্যাবা’র। পরেরটা জার্নি’র। আস্তে আস্তে চলে গেলাম হার্ড রকের দিকে। কিছুটা বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে।

৮৯.

আজকের লেখা ‘ডুয়েট’ নিয়ে। ডুয়েটগুলোকে সবসময় মনে হতো ‘মেলো’ ‘মেলো’। মানে পছন্দ ছিলো না আমার। ছেলেদের তো এই ধারার গান পছন্দ হবার কথা না। কেমন যেন ঠান্ডা ঠান্ডা। বয়সের সাথে পাল্টাতে থাকলো থাকলো গানের পছন্দের লিস্ট। আজ আর উল্টাবো না লিস্টটা। কাউন্টডাউন নয়। কবে আবার এই ‘ডুয়েট’ নিয়ে লিখবো তার আছে নাকি ঠিক! মনে আছে ‘লিণ্ডা রন্সট্যাডে’র কথা? সব মিলিয়ে তার অ্যালবাম আছে খুব বেশি না, মাত্র ১২০টা। বিক্রি হয়েছে ১০ কোটির বেশি কপি। বিক্রির দিক দিয়ে পৃথিবীর উপরের দিকের একজন শিল্পী। অপেরা, মুভি সব কিছুতেই আছে সে। তার বায়োগ্রাফীও ছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার লিস্টে। গানটা নিয়েছি ওর ‘দ্য ভেরি বেস্ট অফ লিণ্ডা রন্সট্যাড’ থেকে। শেষের আগেরটাই এটা। আমার পছন্দের ‘কম্পাইলেশন’ হলেও ‘দ্য বেস্ট অফ’ সাধারণত: কিনি না আমি। গানের ‘সিনার্জি’ নষ্ট হয় ওতে। ভুল বলেছি?

৯০.

বলতে হবে অ্যারন নেভিলের কথা? মানে, যার গলা শুনে মুর্ছা যায় মানুষ। মাল্টি প্ল্যাটিনাম সার্টিফায়েড আরেক গায়ক। যার সাথেই ডুয়েট গায়, সেই হয়ে যায় হিট। আমি জানি – আপনার পছন্দ ‘ডোন্ট নো মাচ’ ডুয়েটটা। আচ্ছা, পৃথিবীর সবাই এক দিকে গেলে আমাকেও যেতে হবে নাকি? তবে, এই গানটা শুনলে মনে পড়ে স্বাতী’র কথা। আমাকে ছাড়াই দিব্যি চালিয়ে নিচ্ছে সংসার, চাকরি। বাচ্চাগুলোর একাধারে ‘বাবা মা’ সে। আর, আমি থাকি বাইরে বাইরে। মনে হচ্ছে – আর নয় বেশিদিন এই বাইরে বাইরে থাকা। করে ফেলতে হবে কিছু। তো, রেডি? এক নম্বরে – মানে ডুয়েটে, ‘অল মাই লাইফ’। ওই দুজনের। গান, তাল আর লয় ভালো না লাগলে ফেরত্‍ কথা আমার! সত্যি! হাই-ডেফিনেশন কোয়ালিটির জন্য বেছে নিয়েছি ভিডিওটা। শুনলেই হবে গানটা। ভিডিও নয়। শুভরাত্রি!

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

Older Posts »