That’s life. What can I tell you?
– Meet Joe Black
৮৪.
হার্ট অ্যাটাকের পর অ্যান্থনি হপকিন্স ধারনা করছিলেন কিছু একটা। দর্শক হিসেবে আমরা ধারনা করছিলাম – সময় শেষ হয়ে আসছে তার। এটা ঠিক, যখন বুঝতে পারে সময় শেষ হয়ে আসছে মানুষটার, আকড়ে ধরতে চায় তার প্রিয়জনকে। আশেপাশের সবকিছুকে। গল্পটা অদ্ভুদ বলেই এই লম্বা মুভিটা দেখেছি বারকয়েক। তবে যতটা না দেখেছি মুভিটার গল্পের জন্য – তার থেকে বেশি দেখেছি মুভির অসাধারণ স্কোরগুলোর জন্য। সত্যি! সংগ্রহ করে রাখার মতো সাউন্ডট্র্যাক। স্কোরগুলোও লম্বা লম্বা। হা-পিত্যেষ করতে হয়না শেষের দিকে। ও হ্যা, সব সাউন্ডট্র্যাকের স্কোরগুলো শুনতে হবে মাঝরাতে। পৃথিবী ঘুমিয়ে যায় যখন। দরকার পিনপতন নিস্তব্ধতা। তা না হলে অর্কেস্ট্রার ট্রোমবন, সেলো অথবা ভায়োলার শব্দ শোনা দুষ্কর বটে। বেশি জ্ঞান দিয়ে ফেলছি নাকি আজ?
৮৫.
বাবা আর মেয়ে, এই চমত্কার ব্যাপারটা নিয়ে এগিয়েছে মুভিটা। ওর সাথে যোগ দিয়েছে ‘মৃত্যু’। মানে ‘মৃত্যু’ও একটা ক্যারেক্টার এখানে। ছোটবেলায় পড়া ওই ‘কুশল আর মৃত্যুবুড়ো’র মতো খানিকটা। মেয়ে হচ্ছে ‘ক্লেয়ার ফারলোনি’। ব্রিটিশ অ্যাক্সেন্ট তার। আমারও ভালো লাগে তাকে। মেয়ের মতো মেয়ে বটে। এদিকে কোটিপতি বাবা মেয়ের ভালোবাসার ভবিষ্যত নিয়ে বেশ চিন্তিত। ‘ড্রু’ স্মার্ট ছেলে। পছন্দ করবে সব বাবাই। তবুও বাবার মন বলছে অন্য কথা। মেয়েকে কাছে পেয়ে বলেও ফেললেন অ্যান্থনি। কি বললেন জানতে চাচ্ছেন তো? অনেক কষ্টে বাংলায় করলাম ওটাকে। কিন্তু, মনমতো হচ্ছে না যে? মনে হচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে কিছু জিনিস। হয়তোবা এর ‘প্রেমিস’টাই ভিন্ন বলে হচ্ছে এমনটা। সেটার জন্য ছবির ওই অংশটাও দেখলে মন্দ হবে না।
I know it’s a cornball thing, but love is passion, obsession, someone you can’t live without. If you don’t start with that, what are you going to end up with? I say fall head over heels. Find someone you love like crazy and who’ll love you the same way back. And how do you find him? Forget your head and listen to your heart…
Run the risk, if you get hurt, you’ll come back. Because the truth is, there is no sense living your life without this. To make the journey and not fall deeply in love –well, you haven’t lived a life at all. You have to try. Because if you haven’t tried, you haven’t lived…
Stay open. Who knows? Lightning could strike.
৮৬.
কফি শপে দেখা হয়েছিল আরেকটা ছেলের সাথে। আমাদের মেয়ে ক্লেয়ারের। ছেলেটা বলছিলো অদ্ভুদ অদ্ভুদ সব কথা। কিছুটা মিলেও যাচ্ছিলো বাবার ওই কথার সাথে। যে যাই বলুক, ওটা বোঝার জন্য দেখতে হবে মুভির ‘ওই’ অংশটা। মুভিটার এই ‘কফি শপে’র অংশটাই চুম্বকের মতো টানে আমাকে। এখনো। মুভির ভাষায় ‘লাইটনিং স্ট্রাইক’ হয় তাদের মধ্যে। তারা পছন্দ করা শুরু করে একে অপরকে – ভেতরে ভেতরে। একসময় বিদায় নেয় দুজন। সেটাও মজার। তবে, পরে ছেলেটা মারা যায় গাড়ি দুর্ঘটনায়।
৮৭.
একসময় ‘মৃত্যু’ দেখা করতে আসে তার বাবার সাথে, উনাকে নিয়ে যাবার খবর নিয়ে। তবে, ‘মৃত্যু’ দেখা করে ওই ছেলেটার দেহ নিয়ে। ঘটনা মোড় নেয় ভিন্ন দিকে যখন মেয়ের সাথে দেখা হয় ওই ‘মৃত্যু’র। বলছি না আর। তবে, বাবাকে নিয়ে যাবার সময় বেশ কিছু কথা হয় তাদের মধ্যে। মানে বাবা আর ‘মৃত্যু’র ভেতরে। অসাধারণ কিছু কথা। নতুন পার্সপেক্টিভ পাবেন ওখানে। বাবা ‘মৃত্যু’কে যখন বলেন, “দ্যাটস লাইফ, হোয়াট ক্যান আই টেল ইউ?”, ঠিক সেই সময় থমাস নিউম্যানের ‘দ্য নেক্সট প্লেস’ স্কোরের ‘হাই-পিচ’ গলিয়ে দেয় মন। চোখে কিছু একটা পড়ে তখন। হ্যা, আমার।
[ক্রমশ:]
এটা নিয়ে বছর পাঁচেক আগে লিখেছিলাম একবার।