Net neutrality is the founding principle of the internet. It guarantees that all data packets are treated equally. This principle guarantees that the internet will remain diverse, innovative, and free. Telecoms companies want to change that. They want to establish new business models based on discrimination and restrictions. We cannot give up the economic and social value of the internet just to help a handful of companies to make more money.
Act now to tell your representatives to protect our rights and freedoms. The best way to do this is by calling a Member of the European Parliament (MEP). But you can also send them a Fax, a letter or an E-Mail – we provide you with all the information and calling them is free of charge.
– Statement from ‘SaveTheInternet.EU’
আমাদের মতো দেশে ‘সংযোগ বিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করবেন সবাই। এই আমাকে। কথা ঠিক আপনার। বিনি পয়সায় দিলে ক্ষতি কি শুনি? নাই মামার থেকে কানা মামা তো ভালো, তাই না? সত্যি তাই। তবে, আসলে কি তাই? ‘জিরো ইন্টারনেট’ ব্যাপারটা বিভ্রান্তিকর। আমাদের বিশাল একটা শতাংশের মানুষ ভাবে, ফেসবুকই ইন্টারনেট। অথচ, ফেসবুকে সত্যের পাশাপাশি চলছে হাজারো গল্প। সত্যি কি সবই? হতাশ হই, বিশাল একটা জনগোষ্ঠী পড়ে আছে এই এক সাইটে। আমরা বড় হচ্ছি ফেসবূককে ‘ইন্টারনেট’ ভেবে। পুরো জনগোষ্ঠীর কতোটা সময় নষ্ট হচ্ছে একটা ফুলপ্রুফ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের অভাবে।
১৫.
কুপের মতো ব্যাপারটা। যা হয়তোবা আসল ইন্টারনেটের ‘শূন্য দশমিক’ কিছু শতাংশ হতে পারে। অথবা নামমাত্র আরো ২৮টা সাইট। বের হতে পারছে না ওই গন্ডি থেকে। সবার কথা একটাই, কয়েকটা সাইটকে এই ‘এক্সক্লুসিভ’ সুযোগ না দিয়ে সবাইকে দিন অ্যাক্সেস। আগের মতো। বরং চার্জ করুন একটা সহনীয় মাত্রায়। আমাদের মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা মাথায় রেখে। আজ যা ইন্টারনেট গ্রাহক, তা তৈরি হয়েছে এই ‘অসহনীয়’ চার্জের ভেতরে থেকেই। কমিয়ে দিলে সুবিধা হয় সবার। ‘চ্যারিটি’ করতে বলছে না কেউ।
১৬.
এই ফাঁকে ছোট্ট একটা গল্প পাড়ি, কি বলেন? ‘আসল ইন্টারনেট’ কিন্তু ভয়াবহ রকমের বড়। আমরা যা দেখি, মানে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন যেগুলোকে খুঁজে পেতে নিয়ে আসে সেটাও কিন্তু আসল ইন্টারনেটের একটা ছোট্ট ছোট্ট ভগ্নাংশ। ওর একটা নাম আছে। ডীপ ওয়েব। ‘ডীপনেট’ বলেন অনেকে। আমরা বলি ‘অদৃশ্য’ অথবা ‘লুকানো’ ইন্টারনেট। সার্চ ইঞ্জিনকে মাছ ধরার জাল হিসেবে তুলনা করে পৃথিবীর সব সমুদ্রকে যেভাবে ছেঁকে আনা সম্ভব নয়, সেভাবে হাজারো জিনিস থেকে যায় আমাদের দৃষ্টির বাইরে। সিকিউরিটি স্পেশ্যালিস্টের মাথা ব্যাথা শুরু ওখানেই।
১৭.
এডওয়ার্ড স্নোডেনের কাগজ ঘাটলে পরিষ্কার হবে আরো। সার্চ ইঞ্জিনের মাতবরী ওই ‘সারফেস’ ওয়েব পর্যন্ত। আইসবার্গের চূড়াটাই হাতের নাগালে তাদের। আচ্ছা, ডীপ ওয়েব মানে ডার্ক ওয়েব – যা তৈরি হাজারো বেনামী নেটওয়ার্ক নিয়ে (ধরুন টর নেটওয়ার্ক, টেইলস, আইটুপি – যেটা নেটওয়ার্কের ভেতরের নেটওয়ার্ক … বেহুস হয়ে যাবার যোগাড়) – কতো বড় হতে পারে আমাদের ‘সারফেস’ ইন্টারনেট থেকে? অনেক আগের একটা এষ্টিমেশন থেকে জানা যায় ‘ডীপ ওয়েব’ নিদেনপক্ষে ৪০০ থেকে ৫৫০ গুণ বড়। তাও সেটা অনেক বছর আগের হিসেব। এখন যোগ হয়েছে আরো অনেক কিছু। ভয় ধরানো পেশা নয় আমার। ফিরে আসি – সাধারণ ইন্টারনেটের ‘অস্তিত্বে’র গল্প নিয়ে।
[ক্রমশ:]