The hungrier one becomes, the clearer one’s mind works— also the more sensitive one becomes to the odors of food.
― George S. Clason, The Richest Man in Babylon
ইন্টারনেট নিয়ে আমার কৌতুহল ওই অফলাইন ইন্টারনেট থেকে। নব্বইয়ের সেই “ওয়াইল্ডক্যাট” বুলেটিন বোর্ড সার্ভিস টানে এখনো। অফলাইন পুশ-পুল এফটিপি, এনএনটিপি পোর্ট দিয়ে নিউজ সার্ভিস – দৃক, প্রদেষ্টা, কাইফনেট সব অনেক অনেক আগের জিনিস। একটা কমোডোর ১২৮ নিয়ে খোঁচাখুচির ফল যা হয় আরকি! একটা জিনিস খেয়াল করতাম, ইউইউসিপি (ইউনিক্স টু ইউনিক্স) প্রটোকল দিয়েও সবাই কানেক্ট করতো কাছাকাছি প্রোভাইডারদেরকে। এরপর এলো আসল ইন্টারনেট, আমাদের সব ডাটা যেতো গোটা পৃথিবী জুড়ে। মানে – যুক্তরাষ্ট্র হয়ে!
সেটাও অনেক অনেক দিন। এরপর ঘুরতো সিঙ্গাপুর হয়ে। এখন?
স্যানোগ-৪ ই হবে হয়তোবা, ২০০৫ এর কথা। সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলাম কিছু ডকুমেন্ট। যেটা বেশি টেনেছিলো – ‘আই-এক্স’, ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ নামের একটা গল্প। তখন কী জানতাম বিটিআরসিতে পোস্টিং হবে ওর দুবছর পর? “আই-আই-জি”, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে লাইসেন্সে অনেকটা মারামারি করে করে ঢুকিয়েছিলাম ‘এক্সচেঞ্জ’ ব্যাপারটা। সুমন ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে।
সেটা কাগজে ঢুকলেও বাস্তবে আনতে কষ্ট হচ্ছিলো অনেক। মানে, আই-আই-জি’রা সবাই ডাটা পিয়ারিং করবে দেশের ভেতর। একটা ব্যাপার ঠিক। এটা কিছুটা ব্যবসায়িক স্বার্থেই চলে। জোরাজুরির কিছু নেই। লাইসেন্সিং দরকার নেই। ‘বিডিআইএক্স’ হলো। আইএসপিদের কল্যাণে। মোবাইল অপারেটররা কানেক্ট করছিলো না। নন-লাইসেন্সিং এনটিটিতে কানেক্ট করে কী না কী হয়? এক সময় সেটারও লাইসেন্স এলো।
এখন দেশের ভেতরেই থাকছে প্রচুর ডাটা। বড় বড় ডাউনলোড সার্ভারগুলো ‘ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ’ হয়ে যাচ্ছে একেকটা আইএসপিতে। লাভ অনেক। আইএসপিদের বিদেশী ‘আইপি ট্রানজিট’ কিনতে হচ্ছে কম। আসল কথা হচ্ছে দেশে হোস্টিং বেশি হলে একসময় অন্যদেশ ‘আইপি ট্রানজিট’ কিনবে আমাদের থেকে। ওটা অনেক পরে হলেও একসময় করতে হবে। ব্যালান্স করতে হবে না ট্রাফিক? ধরুন, বিদেশ থেকে কিনলেন ৩০ জিবিপিএস। ওরা যদি সমপরিমাণ নেয় আমাদের থেকে – তাহলে সেটা হবে “সেটলমেন্ট ফ্রী”। কেউ কাউকে পয়সা দেবে না। মানেও হয় না।
অনেক অনেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটা গ্রামে থাকার সময় ব্যবহার করতাম ‘ডিএসএল’ সার্ভিস। বেসিক ফোনের সাথে এসেছিলো ওটা। একবার ফোনে সমস্যা হলো, কিন্তু ‘ডিএসএল’ ডাউন হয়নি কখনোই! এখন তো ফোনের ওই কপারলাইন দিয়ে গিগাবিট ইথারনেটও চলছে অনেক জায়গায়। সেটা আরেকদিন!
বিটিসিএলএর ডিএসএল সার্ভিস নিলাম কয়েকদিন আগে। ওর আগে পাড়ার আইএসপি ছিলো বাসায়। পাড়ার আইএসপি’র সার্ভিস ছিলো রকেটের মতো। ‘গুগল ক্যাশে’ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে ডাউনলোড সার্ভার, কী নেই তাদের! অনেকের বাসা পর্যন্ত ফাইবার টেনেছে তারা। বিদ্যুত্ চমকালেও যাবে না রাউটার। নতুন ‘ডিএসএল’ নেবার পরও ডাউনলোড ম্যানেজারে পুরানো আইএসপি’র একটা লিংক রয়ে গিয়েছিলো কোনো একটা কারণে। পিসি চালু করতেই লিংকটা মুছতে গিয়ে দেখলাম ঢাকা থেকে ঢাকার ওই দুই কিলোমিটার দূরত্বের ট্রাফিক ঘুরে আসছে ওই বিদেশ থেকে। মানে, এখনো যেতে হবে অনেকদূর!
আমার বাসা থেকে দুই আইএসপি’র ট্রাফিকের রাউটিং। এর থেকেও অনেক অনেক কমপ্লেক্স রাউটিং আছে অনেক জায়গায়। আমার কথা একটাই। দেশের ট্রাফিক বিদেশী ডলারের কেনা “আইপি ট্রানজিট” দিয়ে গেলে দাম বাড়বে বৈকি। ইন্টারনেটের।
[এটা একটা উদাহরণ, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়, আমরাও শিখছি প্রতিদিন]
1 5 ms 3 ms 2 ms Routing.Home.Inside [192.168.x.x]
2 1615 ms 1675 ms 2003 ms 123.49.x.x
3 1920 ms 1534 ms 1852 ms 123.49.13.x
4 931 ms 995 ms 892 ms 44.44.44.2 [এটা যাচ্ছে স্যান-দিয়াগো, অ্যামেচার রেডিও]
5 1399 ms 1458 ms 1571 ms 123.49.13.82
6 1400 ms 701 ms 729 ms 123.49.1.14 [বিটিসিএলের মধ্যেই অনেকগুলো হপ]
7 1062 ms 1115 ms 1189 ms 121-1-130-114.mango.com.bd [114.130.1.121]
8 1562 ms 1555 ms 1466 ms aes-static-133.195.22.125.airtel.in [125.22.195.133]
9 1456 ms 1536 ms 1591 ms 182.79.222.249 [ভারতে যেয়ে ঘুরে আসছে ট্রাফিক]
10 1878 ms * 1009 ms aes-static-118.1.22.125.airtel.in [125.22.1.118]
11 1479 ms 1605 ms 1444 ms 103-9-112-1.aamratechnologies.com [103.9.112.54]
12 1007 ms 1611 ms 1727 ms 103-9-112-1.aamratechnologies.com [103.9.113.130]
13 1619 ms 1596 ms 1810 ms 103.x.x.x
14 1774 ms 1058 ms 1222 ms x.x.82.x
15 1373 ms 1423 ms 1410 ms site1.myoldisp.com [x.x.28.x]
[ক্রমশ:]