Feeds:
Posts
Comments

Archive for August, 2014

In a bold move, the Pakistan Telecom Authority, the telecom Regulator has made it mandatory that all bases stations being set up with support from the USF should be ‘Green Sites’ or renewable energy powered, especially solar and wind as the case may be. The reason being that there is currently, a huge shortage of electricity in rural Pakistan.

– The Hindu, Business Line print edition, May 7, 2010

৫৭৩.

টেলিযোগাযোগের জন্য ওই সার্বজনীন সেবা মানে ‘ইউনিভার্সাল সার্ভিস’ নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তা করেছে এই দুহাজার নয়ে। নাম দেয়া হয়েছিলো আমাদের মতো করে। ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল’। শহরে ভালো ব্যবসা করলেও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার জন্য এই ছাড়। মানে সবার জন্য ফোন বা কিছু একটা। সুলভ বা বিনামূল্যে সংযোগ। ধরুন, প্রথম কয়েক বছরের জন্য। আমার রিসার্চ বলে, সংযোগের কারণে এর মধ্যেই বের হয়ে আসবে মানুষটি তার বর্তমান ‘সুবিধাবঞ্চিত’ অবস্থান থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছিলাম এখানে। পাশের দেশ ভারত আর পাকিস্তানে ব্যাপারটা নিয়ে রয়েছে আলাদা আলাদা অফিস।

৫৭৪.

ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে ছিলাম আমিও। সেটাকে টেলিযোগাযোগ নীতিমালাতে ঢোকাতে কিছুটা সময় লেগেছে হয়তোবা। সুবিধাবঞ্চিতদের যেকোনো ধরনের সংযোগ বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে দেবার জন্য তৈরী করা হয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল। শুরু হয়েছে মোবাইল অপারেটরদের দিয়ে। তাদের রেভিনিউয়ের এক শতাংশ জমা হচ্ছে ওই ইউনিভার্সাল অবলিগেশন ফান্ডে। শর্তটা ঢোকানো হয়েছে লাইসেন্স নবায়নের সময়। এই দুহাজার দশে। ওই টাকা খরচ হবে সুবিধাবঞ্চিতদের সংযোগ দেবার জন্য।

৫৭৫.

পর্যায়ক্রমে নীতিমালাটা ঢোকানোর কথা সব লাইসেন্সে। ডাব্লিউটিও চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোকে নিজেদের মতো করে চালানোর পরামর্শ দিয়েছে এই ইউনিভার্সাল অবলিগেশন ফান্ড। তবে সেটার ‘এন্টি কম্পিটিটিভ’ ব্যবহার ব্যহত করতে পারে বাজারকে। ফান্ড ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা না থাকলে অধিকার হারাবে গ্রাহকেরা। অপারেটররাও প্রতারিত মনে করতে পারে নিজেদেরকে। চাঁদা দেবে যারা – তাদের কাছে এটা বোঝা হিসেবে না দাড়ায় – সেটা দেখতে হবে দেশগুলোকে। অনেক দেশে এই চাঁদার পরিমাণ পাঁচ শতাংশের অধিক হলেও বাংলাদেশে সেটা করা হয়েছে মাত্র এক শতাংশ।

৫৭৬॰

অনেক দেশ চাঁদা তোলা আর ফান্ড ডিজবার্সমেন্ট মানে টাকা খরচ করার আলাদা এজেন্সী করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বচ্ছতা আনার জন্য। যে টাকা তোলে আর সেই যদি টাকা বরাদ্দ করে, সেখানে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। দেখা গেছে এই সমস্যার কারণে অনেক দেশে টাকাগুলো ব্যবহার করা যায়নি বহু বছর। এতে শহরের মানুষের কিছু এসে না গেলেও বঞ্চিত হবে স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর অধিকার। এই ইউনিভার্সাল সার্ভিস ফান্ড নিয়ে অনেকগুলো কোর্স করেছিলাম নিজে নিজে। আলাদা বই লিখলে কেমন হয়?

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

The most common way people give up their power is by thinking they don’t have any.

– Alice Walker

৫৭০.

ইন্টারকানেকশন না হলে কি হয় সেটা দেখেছেন বছর কয়েক আগে। এই বাংলাদেশেই। ফোন আপনার। টেলিযোগাযোগের নীতি অনুযায়ী আপনার ফোন থেকে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় হ্যালো বলতে পারার কথা। টাকা একটু বেশি লাগবে – এই যা। তাই বলে কলই যাবে না – এটা হয় কখনো? এধরনের আধাআধি সার্ভিস দেবার কথা নয় আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারের। তো রেগুলেটর আছে কি কারণে? ‘জিপি টু জিপি’ বা ‘একটেল টু একটেল’ প্যাকেজ? গ্রাহকের অধিকার খর্ব হয় এখানে। দরকারের সময় মাথা কুটে হাজার টাকা ভরলেও ফোন যেতো না আরেকজনের কাছে। তবে, রেগুলেটর কিছু করার আগেই ব্যাপারটা ঠিক করে ফেলে বাজার। তবে, পিছিয়ে পড়ে গ্রাহকস্বার্থ।

৫৭১॰

একারণে অপারেটর থেকে অপারেটরের মধ্যে ইন্টারকানেকশনকে বিশেষ প্রায়োরিটি দিয়েছে ডাব্লিউটিও। বাজারে নতুন অপারেটর আসলে তার সুবিধামতো জায়গায় কতো দিনের মধ্যে ওই সংযোগটা দিতে হবে সেটার একটা ভালো আলাপ আছে ওর মধ্যে। বড় অপারেটর আন্তসংযোগ না দিয়ে যাবে কোথায়? আবার, ইন্টারকানেকশনের চুক্তি জানবে সবাই। সংযোগ পাবার রেট হবে কস্ট বেসড, প্রোডাকশন কষ্টের কাছাকাছি। সেটার দাম নির্ধারণ করতে কস্ট মডেলিং করতে মানা করছে না কেউ। অতিরিক্ত মুনাফা নয়। দুবছরের এই এক্সারসাইজ কাকে বলে আমাকে জিজ্ঞাসা করুন। লিখেছি আগেও। আবার, অপারেটরদের অদক্ষতার কারণে কলের দাম বাড়লে সেটাও দেখবে রেগুলেটর। ওই দেশে আন্ত:সংযোগ রেট কতো হবে সেটা দেখে দেবে তারাই। পাশাপাশি সংযোগের টাকা পয়সার ক্যাচাল মানে ‘ডিসপিউট রেজল্যুশন’ মেটানোর গল্প দেয়া না থাকলে গ্রাহকের ক্ষতি।

৫৭২.

‘ইউনিভার্সাল সার্ভিস’টা বড় জিনিস হিসেবে এসেছে ডাব্লিউটিও’র এই রেফারেন্স পেপারে। রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থাকে তাদের জনগনের প্রতি। যেমন – সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা অথবা বিদ্যুৎ – সবার জন্য। প্রতিটা মানুষের জন্য হতে হবে এক সেবা। ইউনিভার্সাল। প্রতিটা মানুষের জন্য বাসা দেয়া হতে পারে একটা ইউনিভার্সাল সার্ভিস। ধারণাটা শুরু হয় আঠারো সাইত্রিশ সালে। ব্রিটেনে। আপনার বাসা যতো দুরে বা জঙ্গলে হোক না কেন ওই এক রেটে চিঠি পাঠাবার সুবিধা নিয়ে আসলো এই ইউনিভার্সাল পোস্টাল সার্ভিস। ব্যাপারটা কাজ করে লিগাল ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে। প্রতিটা জনগনের জন্য ফোন সংযোগ কিন্তু একটা ইউনিভার্সাল সার্ভিস। আছে নীতিমালায়। নেই প্রয়োগ। জানেও না জনগণ। জানলেও, চাইতে পারছে না কেন জানি।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

If there weren’t such massive prejudice against Madonna’s display of her sexuality ‘Live to Tell’ would have probably been considered the greatest song ever written.

– Collected.

৩২.

ম্যাডোনার গান শুনতাম না বললে ভুল হবে। মিথ্যা বলা হবে বরং! আমার প্লে-লিস্টিতে ম্যাডোনার কয়েকটা গান থাকাতে বন্ধুদের অনেকে ‘মেয়েলি’ পছন্দ ঠাউরালেও ফেলতে পারিনি অ্যালবামটাকে। সত্যি বলতে – ম্যাডোনার এই অ্যালবামটাই আমার অনেক পছন্দের। বাকিগুলো কেন জানি টানেনি মনটাকে। শুরু হয়েছিলো কিন্তু টাইটেল ট্র্যাকটা দিয়ে। চমত্কার টেমপো, আহামরি ধরনের মিউজিক ভিডিও না হলেও দেখতে লাগতো ভালোই। ফিল্মফেয়ার আর রোজভ্যালি থেকে বন্ধুরা মিলে ভিএইচএস টেপ ভাড়া করে আনতাম সপ্তাহের জন্য। পছন্দের গানগুলো আবার ভিসিআরে রেকর্ড করে রাখতো বন্ধুরা। ছোটবেলার ‘ট্যাবু’র ধারণায় ‘লাইক আ ভার্জিন’ কিনিনি বাসায় আনতে পারবো না এই ভয়ে। অ্যালবাম কাভার বলে কথা। বর্ডারলাইনের ‘ইনট্রো’টা অন্য ধরনের হওয়াতে গানটা ছিলো পছন্দের মধ্যে। ওই ছোটবেলায়।

৩৩.

ওই বয়সে ‘পাপা ডোন্ট প্রিচে’র মতো মিউজিক ভিডিওটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় বলে লুকিয়ে দেখতে হতো না ওই অ্যালবামটার আরো কিছু গান। ‘ওপেন ইয়োর হার্ট’ গানটা পছন্দের হলেও ভিডিওটার জন্য ছিলো ওটা ‘নো নো’ লিস্টে। মানে দেখতে পারতাম না সবাই মিলে। তবে একটা গান শুনেছি হাজার বার, ওয়াকম্যানে টেনে টেনে। ছোটবেলার ওই প্রথম ওয়াকম্যানটাতে প্লে’র পাশাপাশি ছিল শুধুমাত্র ‘ফরওয়ার্ড’ অপশন। বুঝুন তাহলে! অ্যালবামটাও কেনা এই গানটার জন্য। আবার, মিউজিক ভিডিওটার জন্য সিনেমাটা দেখতে হয়েছে পরে। মুভিটার সাথে গানটা মিলেছিলো ভালো। তবে এই ব্যালাডটার জন্য যেই ভোকাল রেঞ্জ দরকার সেটা তৈরি হতে সময় লেগেছিল ম্যাডোনার। ওই সময়ে ম্যাডোনার গলায় এই গান – বিশ্বাস হচ্ছিলো না প্রথমে। ভিশন কোয়েস্ট মুভিতে ‘ক্রেজি ফর ইউ’ গানটা শোনার পর ভুল ভাঙতে থাকে আস্তে আস্তে।

৩৪.

আশির দশকে গান শুনেছেন অথচ স্যান পেদ্রো’র নাম শোনেননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর হবে বোধহয়। ধারনাটা ভুল কি? ‘লা ইসলা বনিতা’ শুরুই হয় এই জায়গার নামটা দিয়ে। স্বপ্নে যেখানে যাওয়া যায় যেই জায়গায় – সেটাই হচ্ছে স্যান পেদ্রো। স্প্যানিশ অর্থে দ্বীপের কথা বললেও এটা কোথায় সেটা বলেন নি কিন্তু ম্যাডোনাও। আইভরি কোস্টে আসার পর ম্যাপ নিয়ে বসতে গিয়ে পেলাম সাগর পাড়ের এই জায়গাটা। ওমা, একি! স্যান পেদ্রো দেখি এখানে। বেনিনের সহকর্মীর প্রশ্রয়ের হাসি। আইভরি কোস্টের প্রথম রাজধানী ছিলো এটা। ইবোলা ভাইরাসের জন্য মন খুলে মিশতে পারছি না মানুষের সাথে। তবে একটা জায়গায় যাবার সময় স্যান পেদ্রো’র ওপর দিয়ে যাবো জেনে মনটা ভালো হয়ে গেলো তখনি। শহরটার সাগরপাড়ে যেতেই মনে পড়লো গানটার কথা। হোয়াইট স্যান্ড বীচ। স্বপ্নের জায়গা বটে। আর স্বর্গের আবহাওয়ায় ভুলে গিয়েছিলাম কাজের কথা।

বাড়ি কিনবে নাকি এখানে?

সম্বিত ফিরলো স্হানীয় সহকর্মীর প্রশ্নে।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

I attribute my success to this: I never gave or took any excuse.

– Florence Nightingale

৫৬৬.

মজার কথা হচ্ছে ওই একশো আটটার মধ্যে নিরানব্বইটা দেশ বেসরকারি প্রতিযোগিতা আনতে চাইলো এই টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে। ফিক্সড, মোবাইল আর ইন্টারন্যাশনাল লঙ-ডিসটেন্স সার্ভিস – প্রায় সবকিছুতেই। এরমধ্যে বিরাশিটা দেশ হচ্ছে আরো বুদ্ধিমান। তারা সেক্টরটাকে আরো বাড়ানোর জন্য মেনে নিলো একটা ব্লুপ্রিন্ট। ‘রেগুলেটরি প্রিন্সিপালস’ বলে টেলিযোগাযোগ রেগুলেশনের ওপর একটা রেফারেন্স পেপার তৈরী করলো তারা। ওটা পড়লে মাথা খারাপ হয়ে যাবে আপনার। আজকের নয়, বিশ বছর আগের চিন্তা কিন্তু!

৫৬৭.

ওই উনিশশো ছিয়ানব্বইতে ‘বেসিক টেলিকমিউনিকেশনস’ নিয়ে একটা ‘রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে’ কি কি থাকা উচিত – সেটা লেখা হলো নেগোশিয়েশন টেবিলে। মাথা নাড়লো মানে ‘নড’ দিল ওই বিরাশিটা দেশ। কিছু সঙ্গা আর তার জন্য দরকারী ধারা ছিলো ওখানে। সঙ্গায়িত না করলে কি হয় সেটা আমার থেকে ভালো জানবে কে আর? সঙ্গায়িত না করলে পরে যে যার মতো নেয় ভেবে। এটার পরিনতি হয় ভয়াবহ। ওই সময়ে যে বিষয়গুলো দেশগুলো মেনে নিয়েছিলো সেটা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম প্রথমে। কারণ, এখনো মানেনি অনেক দেশ।

৫৬৮.

তবে, যারা মেনেছিল – তারা আজ দাড়িয়েছে টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে একেকটা নক্ষত্র হিসেবে। ওই দেশগুলোর কোম্পানিগুলো চালাচ্ছে পৃথিবীকে। ওই ‘রেফারেন্স পেপারে’ টেলিযোগাযোগের ব্যবহারকারী হিসেবে আমার আপনার মতো গ্রাহকদের নেয়নি শুধু, সার্ভিস দিচ্ছে যারা তাদেরকেও শামিল করেছে সঙ্গার মধ্যে। কোন সার্ভিস যদি একটা বা গুটিকয়েক কোম্পানি দেয় আর – সেই সার্ভিসটার বিকল্প তৈরী করার প্রয়োজন না পড়ে – সেটাকে তারা বলতে চাচ্ছে ‘এসেনসিয়াল সার্ভিস’। যেটা ছাড়া দেশ অচল। দেশের লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে ওই সার্ভিসগুলো।

৫৬৯.

উদাহরণ নিয়ে আসি, কী বলেন? যেমন, বিটিসিএলের কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডউইডথ আনার জন্য দুই একটা সার্কিটের বেশি প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের। এখানে বেশি সার্কিট তৈরী করলেই বরং খরচ পড়বে বেশি। আর সেটা পড়বে গিয়ে গ্রাহকদের ঘাড়ে। এদিক দিয়ে না হলে অন্যদিক দিয়ে। মানে ‘এসেনসিয়াল সার্ভিস’ আনা নেয়া করতে গিয়ে প্রযুক্তিগতভাবে একে ‘রেপ্লিকেট’ করা গেলেও টাকাতে নাও কুলাতে পারে দেশগুলোর জন্য। তবে ‘এসেনসিয়াল সার্ভিস’টাকে কে নিয়ন্ত্রণ করছে আর তার ওই সম্পর্কিত বাজারে পজিশন কেমন সেটা দেখবে রেগুলেটর। ওই সার্ভিসটার দাম হবে কস্ট বেসড – মানে লাভ করে নয়। মোদ্দা কথা, ব্যবসা করবে না এখানে সরকারী কোম্পানী। 

[ক্রমশ:]

Read Full Post »