Feeds:
Posts
Comments

Archive for September, 2016

Most good programmers do programming not because they expect to get paid or get adulation by the public, but because it is fun to program.

– Linus Torvalds

ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়।

বিশাল একটা দিন আজ। ১২ই সেপ্টেম্বর। প্রোগ্রামারস’ ডে।

আমাদের প্রতিটা মুহূর্তকে এগিয়ে নিতে এই প্রোগ্রামারদের অবদান আমরা জানি সবাই। সামান্য লিফটের বাটন থেকে শুরু করে প্রতিটা রিমোট কনট্রোল, হাতের মুঠোফোন থেকে টিভি, জীবনরক্ষাকারী সব মেডিকেল ইকুইপমেণ্টের পেছনে রয়েছে শত থেকে হাজার লাইনের কোড। আমাদের এই মুঠোফোনের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিষ্টেমেই আছে দেড় কোটি লাইনের কোড। আর সেকারণে যন্ত্রটা যেকোন মানুষ থেকে ভালো চেনে আমাদের। আমাদের ভালোমন্দ – পছন্দ অপছন্দ জানে অনেকটাই। জানবে আরো বেশি। সামনে। কারণ একটাই। জিনিসটা আমাদের সাহায্যকারী একটা অংশ।

সৃষ্টিকর্তা তার গুণগুলোকে অল্প অল্প করে দিয়েছেন মানুষকে। এর মধ্যে ‘জিনিস তৈরি’ করার ক্ষমতাটা অতুলনীয়। উদ্ভাবন করার ক্ষমতা। সেইগুণ দিয়ে অনেকটাই অজেয় হয়ে উঠছে মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে প্রোগ্রামিংয়ে কিছুটা এক্সপোজড থাকার কারণে ভবিষ্যত দেখার ‘ছোটখাট একটা উইনডো’ তৈরি হয় আমাদের সামনে। তাও সবসময় নয়, মাঝে মধ্যে। খেয়াল করলে দেখবেন, মানুষ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবার অনেক ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে যন্ত্রের হাতে। আমিও চাই তাই। কয়েকটা লিফটের মধ্যে কোনটা ‘কতো তলায় থাকার সময়’ কোন কলে আপনার কাছে আসবে সেটাতো ছাড়িনি লিফটম্যানের হাতে। ‘লিফটম্যান’ বলে অপমান করা হয়েছে মানুষকে। আমাদের অনেক ‘অনেক’ কাজ রয়েছে সামনে।

চেয়ে দেখুন, সামান্য ড্রাইভিং থেকে শুরু করে বড় বড় উড়ুক্কযান চলে গেছে অটো-পাইলটে। সামনে আরো যাবে। সোজা হিসেব। মানুষ দেখেছে, একটা সীমার মধ্যে বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্তের ভেতরে “কী প্রেক্ষিতে কে কী করবে” সেটা আগে থেকে ঠিক করে দিলে যন্ত্র কাজটা করে নির্ভুলভাবে। মানুষের মধ্যে অনেক ‘বায়াসিং’ বিভ্রান্ত করলেও যন্ত্র সেটা করে ঠিক করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় কিছু নয় কিন্তু। মানুষের ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’কে ওয়ার্কফ্লোতে ফেলে যন্ত্রকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়তি কিছু জিনিস। তেমনি এই মানুষেরই তৈরি ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ দিয়ে নিজের কাজের ফীডব্যাক নিয়ে শিখছে নতুন নতুন জিনিস। মানুষকে চিনতে। আরো ভালোভাবে।

মানুষ এখনো অসহায় – অনেক কিছুর কাছে। জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, আর হাজারো রোগ আসবে সামনে। এগুলো ঠেলেই এগুতে হবে – আরো অনেক। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জ্ঞান দিয়েছেন ‘এক্সপ্লোর’ করতে। জানতে। যেতে হবে লাইট ইয়ার্স দূরের নতুন নতুন গ্রহাণুপুঞ্জে। যদি জানতাম আমরা, সৃষ্টিকর্তা কী অভূতপূর্ব জিনিস ছড়িয়ে রেখেছেন নক্ষত্রপুঞ্জে। আর সেকারণেই অফলোড করতে হবে আরো অনেক সময়ক্ষেপণকারী ‘সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা’। আমাদের সহায়তাকারী যন্ত্রের কাছে। দরকার কোটি কোটি … কোটি লাইন লেখার ‘উদ্ভাবনাশক্তি’ সম্পন্ন প্রোগ্রামার। সামনের দিনগুলোতে। যন্ত্রকে শিখিয়ে দেবার জন্য। ওর পর, শিখিয়ে দেয়া হবে মানুষের ভেতরের ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ সিকোয়েন্স। যন্ত্রকে। যাতে, ও নিজে থেকেই লিখতে পারে কোড।

মানুষের কাজ অন্যকিছু। সেটা বের করবে এই মানুষই।

মোদ্দা কথা, যন্ত্রকে ভয় নেই। মানুষই মাত্রই ‘চিন্তা’ করতে পারে। যন্ত্র নয়। সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে তৈরি করেছেন ওই সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা দিয়ে। তাকে খুঁজতে। জানতে তাকে। আরো ভালোভাবে।

যেতে হবে বহুদূর।

ঈদ মুবারক।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

God gave me you for the ups and downs
God gave me you for the days of doubt
And for when I think I lost my way
There are no words here left to say, it’s true
God gave me you

– Blake Shelton

ব্লেক শেলটনকে ভালো লাগার শুরুটা অনেক আগে থেকেই। প্রথম অ্যালবামটা অতটা না টানলেও পরেরগুলো মন ভালো করে দিচ্ছিলো আস্তে আস্তে। গলা সুন্দর। ভরাট। যুক্তরাষ্ট্রের সাদার্ন সাইডে থাকার বড় সুবিধা ছিলো একটাই। শত শত কান্ট্রি স্টেশন। রেডিও এয়ারপ্লে মানেই ‘কান্ট্রি ওয়েস্টার্ন’ আর ‘ক্রস-ওভার’। ক্লাসিক কান্ট্রি নয়। সময়ের সাথে মনও গেছে পাল্টে। ক্লাসিক টানে না আর।

‘ক্রস-ওভার’ হচ্ছে পপ আর কান্ট্রি’র মিশ্রণ। অন্যদের কেমন লাগে সেটা অতটা না জানলেও নিজের ভালো লাগে বলে সই। ব্লেকের সাথে পুরোনো রোমান্স ফিরে এলো ওর ২০১১এর অ্যালবামটা শুনতে গিয়ে। নামটাও অদ্ভুত। তবে সুন্দর। রেড রিভার ব্লূ। মজার কথা হচ্ছে আমার ছেলের পছন্দ কেমন করে জানি মিলে গেছে একটা গানে। আমার সাথে।

সুন্দর গান একটা। না শুনলে বোঝাতে পারবো না কী মিস করছেন আপনারা। ‘গড গেভ মি ইউ’ গানটার পেছনের গল্পটা আরো সুন্দর। যতদূর মনে পড়ে, এটা লিখেছিলেন ডেভ বার্নস বলে আরেকজন ‘ক্রিশ্চিয়ান’ ঘরানার গায়ক। ঠিক তাই। ডেভ বার্নস। গানটা লিখেছিলেন তার স্ত্রী’র কথা মনে করে। নতুন গায়ক হিসেবে জীবনের উঁচু নিচু রাস্তায় চলতে গিয়ে স্ত্রী’র পুরো সময়ের সাপোর্ট তাকে ভাবাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। শেষে একদিন লণ্ডনের রাস্তায় চলতে চলতে মনে এলো এর লাইনগুলো। সত্যিই তাই। গানের প্রতিটা পরতে পরতে ফুটে উঠেছে কৃতজ্ঞতা।

তবে, আর্টিস্টদের স্ত্রী’রা দজ্জাল হয় বেশি। সেটার আবার বেশীরভাগ হয় ওই মানুষটার কারণে। ভক্তদের ছোঁক ছোঁক করার কারণে হয়তোবা। ট্রেন্ড দেখলে বোঝা যায় ব্যাপারটা। ফিরে আসি হাঁটার প্রসঙ্গে। যতো লেখক আছেন, তাদের মাথায় সব আইডিয়া ঢোকে হাঁটতে হাঁটতে। কেউ হাঁটে রাস্তায়। কেউবা পার্কে। সব কিন্তু বাইরেই। বিশ্বাস হচ্ছে না? বড় বড় লেখকদের তাদের লেখা নিয়ে জানতে চাইলে হাঁটার কথাই বলেন।

বার্নসের গানটা প্রভাবিত করে শেলটনকে। গানটার কারণেই মিরাণ্ডা ল্যামবার্টকে প্রস্তাব দেন এই গায়ক। গার্লফ্রেণ্ড ল্যামবার্টকে চিনবেন সবাই। কান্ট্রি’র আরেক উজ্জল ‘নক্ষত্র’ গায়িকা। পিস্তল অ্যানিজ’এর তিনজনের একজন। তাদের বিয়ের আগের রাতের ফুটেজটা জুড়ে দেয়া আছে সেলটনের এই মিউজিক ভিডিওতে। মিরান্ডাকে এই বিয়েটাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী হবার কথা শোনা গিয়েছিলো অনেকগুলো ‘গসিপ’ ম্যাগাজিনে। শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেনি তারা। একসাথে।

Read Full Post »

But my favorite is the one I read once in a magazine or book whose name I can’t remember: there’s a house in a prairie, it’s dark outside and a violent storm is raging. Inside it’s bright and warm. Somebody opens a window and a bird flies in, crosses the room and flies out the other window, back into the night.

We’re this bird.

– Roberto Motta

০১.

মন ভালো না থাকলে লিখি। আলতু ফালতু। মনে যা আসে। ‘আ গ্রেট এস্কেপ ফ্রম ডিফিকাল্ট ওয়ার্ল্ড।’ কে কী বললো সেটা কেয়ার করলে সেটাও হতো না হয়তো। আমার ওয়াল, আমার জিনিস। আর ‘ওয়াল’ তো এলো অনেক পরে। আগে তো ছিলো ব্লগ। প্রথম ব্লগ পোস্টটা ছিলো দুহাজারে। আছে এখনো। আগেরগুলো হারিয়ে গেছে ওয়েব্যাক মেশিনে। ঠিক বলেছেন। ওটাই হচ্ছে আমাদের মানে প্রস্তরযুগের মানুষদের ‘ইন্টারনেট’ আর্কাইভ।

০২.

ফেসবুক নয়, বরং ‘কোরা’তে অ্যাডিক্ট আমি। নেই কোন ফ্রেণ্ডের ঝামেলা। কে যেন হুমকি দিলো, ‘রেকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট না করলে খুলে দেবো লুঙ্গি’। বললাম, ‘ভাই ওটা পরি না যে? কি হপে এখন?’ উত্তর যা আসলো সেটা অলেখ্য। এখন ম্যাসেঞ্জার খুলি না ভয়ে। ‘কোরা’ই ভালো।

০৩.

হাজারো প্রশ্ন করে মানুষ। প্রতিদিন। উত্তর পড়ে তারও বেশি। ব্যাপারটা অনেক ফুলফিলিং। মানুষ লেখে কম্যুনিকেট করতে। ইণ্টেলেকচুয়াল গ্রিডের সাপ্লাই বলেন অনেক। যাই হোক, অনেকে শুধুই পড়ে। উত্তরগুলো। যেমন আমি। বেশিরভাগ নিজেরই প্রশ্ন। অন্য কেউ করেছে। এই যা! মাথায় অদৃশ্য আলোর ঝিকিমিকি করে ওই সময়টাতে। বুঝি, অনেকের জন্য হয়তোবা ‘কমপ্লিট ওয়েস্ট অফ ইফোর্ট’।

০৪.

একজন লিখলো, আমার বেড়াল ভেগে গেছে পাশের বাড়ির বেড়ালীর সাথে। কী করবো? পুলিশে যাব? উত্তরও আসলো আরো অনেক বেগে। অনেকের অভিযোগ একই। বরং গুরুতর অভিযোগ এলো আরো কিছু। এক্সের সাথে চলে গেছে নিজের বেড়াল। ফ্রী কান্ট্রি। যে যার সাথে যাবে স্বেচ্ছায়। প্রাপ্তবয়স্ক বেড়াল বলে কথা। আর মতামত লেখার সময় ‘নো ক্যাট ওয়াজ হার্মড’।

০৫.

জীবনের ‘পারপাজ’ নিয়ে প্রশ্ন হয় অনেক। ওগুলো আরো মজার। পড়লে পাল্টে যায় জীবনের পার্সপেক্টিভ। উন্নত দেশগুলো কেন উন্নত সেটার কিছুটা আভাস পাওয়া যায় ওখানে। ‘মিনিমালিস্ট লিভিং’ নিয়ে পড়ছিলাম কিছুদিন। সুখী হবার অনেক উপকরণ নিয়ে আলোচনা শুনলে মুগ্ধ হতে বাধ্য। ‘হায়ার লিভিং’, মানুষ কী করলে অমরত্ব পেতে পারে সেটা নিয়েও অনেক আলাপ হয় ওখানে। আসল কথা, মানুষের মনের গভীরের অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে এই মর্তের মানুষ।

০৬.

হাই-টেক উত্তর আসে ওই ইনডাস্ট্রির মাথাগুলো থেকে। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কী ধরনের ব্যবসা এখন জনপ্রিয় সেটাও বলছেন অনেক বাঘা বাঘা লোকেরা। কোন ব্যবসা টিকবে আর কোনটা নয় সেটা ভালো বোঝা যায় ওখানে গেলে। দেশকে উন্নতির শিখরে নেবার অনেক উত্তরও লিখছে মানুষ। বছর ধরে। মানুষের মন কতো ক্রিয়েটিভ হতে পারে সেটা বোঝা যায় কোরা’তে গেলে।

[ক্রমশ:]

কোরা’র কন্সালট্যান্ট দরকার হলে যোগাযোগ করতে পারেন এখানে। ওহ, আচ্ছা। না। কোরা’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এখনো নিয়োগ দেয়নি ওরা। দেবে হয়তোবা। অসম্ভব কিছু নয় এযুগে।

#wideangle-rh

** শুনছিলাম: অ্যাশলী মনরো’র ‘দ্য ব্লেড’। ওই গানের ইনফ্লুয়েন্সে খারাপ হয়েছে লেখা। না শুনলে ভালো হতো আরো।

Read Full Post »