Today you’ll be in negotiation with somebody in Africa and learn the man’s been to Oxford, Cambridge, and Harvard and speaks six languages. I barely speak English.
– Aidan Heavey, CEO, Tullow Oil (Ireland)
১৪৬.
কফি নিয়ে এসেছি দুটো –মনের ভুলে, নেবে নাকি একটা?
খানিকটা অবাক হয়েই তাকালো সে। ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না বলে মনে হলো। নিজের কথা গিলে খাওয়ার মতো অবস্থায় দাড়িয়ে গেল মনে হচ্ছে।
রিওয়াইন্ড করার মানে হয় না কোনো। র-সুগারের প্যাকেটটা এগিয়ে দিলাম বরং।
সুগার আলাদা করেই নিয়ে এসেছি – তোমার আন্দাজ জানা নেই আমার।
মেয়েটা দাড়িয়ে গেল হঠাত্ করে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই। এগিয়ে এলো কিছুটা। জিনিস দুটো আমার হাত থেকে নিলো সে।
আই উড লাভ টু, ধন্যবাদ তোমাকে। ইউ আর সো থটফুল! নিয়ে আসা উচিত ছিলো আমারই।
খাঁটি ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট, কিংস কলেজে পড়েছে সে।
১৪৭.
গতকাল থেকে কনফারেন্স শুরু হয়েছে আফ্রিকার একটা দেশে। একই টেবিলে বসছি আমরা। দুজনের এক টেবিল। টুকটাক হয়েছে কথা। গতকাল কার্ড বিনিময়ের সময় পেছনের ‘কিউআর কোড’ দেখে যে ভূয়সী প্রশংসা করলো তাতে মনে হলো কোডটা আমিই আবিস্কার করেছি।
ওয়াজ আই ব্লাশিং? ব্রেকে একটা ‘কিউআর কোড’ জেনারেটর বের করে দিতে হয়েছিলো ওকে।
আজ সকাল থেকে খুবই ব্যস্ত সে। একটা রিপোর্ট পাঠাতে হবে তার অফিসে। কেনিয়ান কমিউনিকেশন কমিশনে। কফি ব্রেকেও যেতে পারেনি সকাল থেকে। আভাস দিলো রিপোর্টটার ব্যাপারে, সাঁজিয়ে নিয়ে এসেছে প্রায়। কিছু কসমেটিক চেঞ্জ বাকি। এর মধ্যে দুটো কফি ব্রেক পার। ওঠেনি ল্যাপটপ ছেড়ে। সেকারণেই কফিটা আনা।
টাইমজোনে ঘাপলা হলেই হতচ্ছাড়া ঘুম যায় পালিয়ে। ভোর পাঁচটায় উঠে সব ই-মেইলগুলোকে সিসটেম করাতে ব্রেকে নেটওয়ার্কিং করা যাচ্ছে ভালো।
১৪৮.
একটা ক্রোসান্টও নিয়ে এসেছো দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য নাকি?
থতমত খেয়ে গেলাম এবার। আসলেই তাই। ওর জন্যই নিয়ে এসেছিলাম। কাঁচুমাচু মুখ করে এগিয়ে দিলাম ওকে। টুইস্টেড ক্লাসি ব্রেইডের চুলগুলোকে বেশ মানিয়েছে ওর হাস্যজ্জল মুখে।
এটা গছানোর জন্য কি বলবে বলে রিহার্সাল দিয়েছো, বলতো?
হাসলাম আমি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে সে।
রিপোর্ট শেষ, ফুর্তিতে আছ মনে হচ্ছে। এড়ানোর চেষ্টা করলাম।
বল না প্লিজ, অনুনয় করলো সে।
হাসতে গিয়ে গালে টোল ফেলে দিলো মনে হচ্ছে। চুল থেকে একধরনের গ্লিটারিং আভা তার আফ্রিকান ডিম্বাকার মুখটাকে আকর্ষনীয় করে রেখেছে।
রিহার্সাল শুরু করলাম, দ্বিতীয়বার।
ভাবটা এমন করবো যে ক্রোসান্টটা আমার জন্যই নিয়ে এসেছি আমি।
তারপর? চোখ বড় বড় করলো সে। যথেষ্ট ইমপর্টেন্স দেবার সিগন্যাল দিচ্ছে – আমার কথায়।
তারপর বলবো, ভুলেই গেছি যে ক্রোসান্ট খেয়ে এসেছি একটা, নেবে নাকি এটা?
মৃদু হাততালির অভিনয় করলো সে। ‘রিহার্সাল চমত্কার, আর তার থেকে চমত্কার তোমার অভিনয়। হলিউডে যাচ্ছ কবে?’
কেনিয়া: নির্ধারণ করেছে নুন্যতম গতি, স্কুল আর হেলথকেয়ার সিস্টেমকে নিয়ে এসেছে ভেতরে …
১৪৯.
এই গত জুলাই মাসে কেনিয়া সাহস করে বিশাল এক কাজে হাত দিয়েছে। তিনশো কোটি ডলারের কাজ। আমাদের টাকায় দুহাজার চারশো কোটি টাকা, ইন্টারনেটের স্পীড বাড়ানো আর ডিজিটাল সার্ভিসগুলোকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিভাবে নেয়া যায় সেটার জন্যই নেয়া হয়েছে এই নতুন ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজি। দুহাজার সতেরোর মধ্যে দেশব্যাপী ‘নির্ভরযোগ্য’ ইন্টারনেট আর ডিজিটাল সার্ভিসগুলোকে কিভাবে সেখানে নেয়া হবে সেটাই এখানে উপজীব্য। নিখুত প্ল্যান, এদিক ওদিক হবার জো নেই একেবারে।
ব্রডব্যান্ড ডেফিনেশন, স্বপ্ন দেখছে না কেনিয়া, বাস্তবে রূপান্তর করবে দুহাজার সতেরোর মধ্যে …
অতিনো হাত নেড়েচেড়ে বোঝাচ্ছিল ওদের ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজিটা, নিখুতই বলতে হবে। জ্বলজ্বল করছে ওর চোখ, মনেই হচ্ছে আত্মস্থ করেছে মন থেকে। মনে প্রাণে বিশ্বাস করছে মেয়েটা – কাজ করবেই এটা। আমাকেও বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছে এর মধ্যে।
১৫০.
মাঝ রাতে জন্ম নেয়ায় ওর নামের মর্মার্থ পেলাম দুপুরের খাবারের টেবিলে বসে। দুপুরে খুঁজে খুঁজে আমার টেবিল বের করেছে সে। কিন্তু কাছে এসেই ভড়ং।
তোমার সাথেই বসতে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত! ফাঁকা কেন তোমার টেবিল? টিপ্পনী কাটলো সে।
হাসলাম বরং। প্রশ্রয়ের হাসি। বয়সে অনেক ছোট সে।
সব টিপ্পনীর উত্তর দিতে নেই। ফলাফল পেলাম কিছুক্ষণের মধ্যে। খাবারের মাঝখান থেকে উঠে গেল সে। ফিরে এলো আরেকটা প্লেট নিয়ে। কিছু ফ্রাইড প্ল্যানটেনস পাশে রাখা। নিজের জন্য নিয়ে এলো বুঝি!
তোমার পছন্দ হবে এই মাছের ‘স্টু’টা। ওবোকুন মাছের সাথে টমেটো দিয়ে তৈরী কিন্তু। স্পাইস দেয়া। স্পাইস খাওতো তোমরা। ‘ওবেএজা তুতু’ বললেই হবে এখানে।
১৫১.
আছে কি ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজিটাতে? ‘স্টু’টা লাগছে চমত্কার।
দুহাজার সতেরোর মধ্যে পঁচাত্তর শতাংশ লোকাল বিজনেসকে অনলাইনে আনার অনেকগুলো অ্যাকশন পয়েন্ট দিয়ে শুরু করা হয়েছে এটা। অতিনোর শার্প রেসপন্স।
ফিস রোল চেখে দেখবে নাকি একটা? মাংসের পাইয়ের মধ্যে মাছের ফিলিং, ডিপ ফ্রাইড!
অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। চেখে দেখবো ‘খন। আর কি আছে স্ট্রাটেজিতে?
ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়েই অনেকগুলো অ্যাকশন পয়েন্ট আছে এখানে, প্রথম পাতাটা তুলে দিচ্ছি শুধু, পুরো রিপোর্টটা দিচ্ছি নিচে …
সরকারীভাবে যোগাযোগের সত্তুরভাগ জিনিসপত্র অনলাইনে আনতে হবে ওই সময়ের মধ্যে। চল্লিশ শতাংশ মানুষকে ডিজিটালি লিটারেট মানে ডিজিটাল সার্ভিস নেবার নুন্যতম শিক্ষার মধ্যে আনতে হবে একই সময়ে। এর জন্য যা যা করতে হবে তার সব কিছুই বলা আছে ওই স্ট্রাটেজিক পেপারে – অ্যাকশন পয়েন্ট আকারে। কেনিয়ান ওয়েবসাইটগুলোর নুন্যতম বিশ শতাংশ আনতে হবে আমাদের নিজস্ব ভাষায়।
মনে হলো পেপারটা পুরোই মুখস্ত ওর! ভালো লাগলো ওর আত্মবিশ্বাসে। মুখমন্ডল থেকে ঠিকরে বের হচ্ছে যেনো!
১৫২.
ডেজার্ট কোনটা পছন্দ তোমার? ‘চিন চিন’ না ‘পাফ পাফ’? হাসি লুকানোর চেষ্টা করলো না আর। রিদমিক শব্দের জন্য বোধহয়।
চেখে দেখলেই হাতে পাবে কিন্তু স্ট্রাটেজিক পেপারটা!
বলে কি, মেয়েটা! পড়ে ফেলছে আমাকে! মাইন্ডরিডার নাকি?
বেকায়দায় পড়লাম মনে হচ্ছে। দেখতে হয় যে চেখে!
ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজিকে বছর ধরে সাপোর্ট করার জন্য টাকাটা আসবে কোথা থেকে? আমার দেখা অনেক ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজির সীড ফান্ডিংয়ের পরে সাস্টেনিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন আসে অনেক।
ঠিক বলেছ হাসান। এই স্ট্রাটেজিক প্ল্যানকে সাপোর্ট করার জন্য বার্ষিক বাজেট থেকে পাঁচ শতাংশ চলে যাবে ওই ফান্ডে। এখন এটা আছে মাত্র ০.৫ শতাংশে! এছাড়াও টেলিকমিউনিকেশন অপারেটররা তাদের রেভিনিউয়ের একটা অংশ ছেড়ে দিচ্ছে লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটির জন্য, বিশেষ করে গ্রামের দিকে।
মাথা নাড়িয়ে সায় দিলাম। কথা বলতে দিলাম ওকেই।
সরকারও প্ল্যান করছে একটা ব্রডব্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড তৈরী করতে। সেটা তুলতে লাগবে চৌত্রিশ কোটি ডলার। এছাড়া এই ব্রডব্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিজে থেকে তুলবে উননব্বই কোটি ডলার।
স্মার্টফোনটা বের করলো সে। স্ট্রাটেজির ব্লুপ্রিন্টটা বড় করলো। সেটা বলছে, তুলে দিচ্ছি হুবহু;
The strategy provides a roadmap to transform Kenya into a knowledge-based society driven by reliable high-capacity nationwide broadband network.
আরেকটা পাতা, শিক্ষা আর হেলথকেয়ার খাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে এখানে …
১৫৩.
অনেকগুলো থিমেটিক এরিয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে স্ট্রাটেজি পেপারটা। প্রথমেই রয়েছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার, কানেক্টিভিটি আর ডিভাইস সংক্রান্ত বিষয়গুলো। পরের ধাপে রয়েছে কনটেন্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলো, উদ্ভাবনা, মানবসম্পদ তৈরী আর সচেতনতা বৃদ্ধির রোডম্যাপ। শেষে আছে সব গুরু বিষয় – নীতিমালা, লিগ্যাল, রেগুলেটরি, ফিনান্স আর বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির কিছু মাইলস্টোন।
টিং টিং করে আস্তে বেল বাজলো বারান্দায়। লাঞ্চের সময় শেষ। ফেরার পালা কনফারেন্সে। দুজনের কফি নিয়ে কনফারেন্স ভেন্যুতে যাবার দায়িত্ব নিলো অতিনো। আমি ছুটলাম কনফারেন্স প্রোডিউসারের কাছে। দেখা করতে বলেছে, দুমিনিটের জন্য। কার বক্তৃতা প্রক্সি দিতে হয় কে জানে!
১৫৪.
বিকেলের কফি ব্রেকে একজনের কার্ড নেবার জন্য দৌড় দেবার চেষ্টা করতেই আটকালো সে।
ওর কার্ড আছে আমার কাছে। কার্ডস্ক্যান অ্যাপ থেকে ট্রানসফার করে দিচ্ছি এখুনি।
তাই সই। গাইডেড ট্যুর দাও তোমার স্ট্রাটেজিক পেপারের ওপর। কালকের লাঞ্চ আমার উপর।
তাই নাকি? এশিয়ান, আফ্রিকায় এসে হোস্ট বনলো কবে থেকে? লাঞ্চ আমার উপর!
আমি অফার করেছি আগে! তোমাদের ব্রডব্যান্ডের নুন্যতম স্পীড কতো বলতো? সাবজেক্ট পাল্টানোর চেষ্টা করলাম।
স্ট্রাটেজিক প্ল্যান অনুযায়ী মানুষের বাসাবাড়িতে নুন্যতম সংযোগ গতি হবে পাঁচ মেগাবিট/সেকেন্ডের। এছাড়াও স্কুলের সব শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আইসিটি শিক্ষা করা হয়েছে বাধ্যতামূলক।
ন্যাশনাল ফাইবার ব্যাকবোন? সেটার কথা কি আছে কিছু? সন্দেহ ছুড়ে দিলাম ওর দিকে।
বলো কি তুমি? সরকার শুরু করেছে কাজ, সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে তিরিশ হাজার কিলোমিটারের ফাইবারের নেটওয়ার্ক। নুন্যতম আশি শতাংশ এলাকায় পৌঁছুতে হবে নেটওয়ার্কটাকে! সড়ক আর রেল বিভাগকেও বলা হয়েছে আইসিটির সম্পুরক ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী করতে। সরকারী সব এজেন্সীকে এর মধ্যেই তার কনটেন্টকে হোস্ট করতে হবে এই শেয়ার্ড নেটওয়ার্কে। গ্রামে ফাইবার নেবার জন্য দেয়া হচ্ছে ট্যাক্স ওয়েভার।
১৫৫.
কনফারেন্স শেষেই দৌড় দিতে হলো। হোস্ট আমার হোটেলে যাবার গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। ভেন্যুতে থাকা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল – খরচ বেশি বলে। রাতে এদেশের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় আমন্ত্রণ করেছে ওদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে – ফলোড বাই ডিনার। ভেন্যু, নতুন জায়গা।
হোটেলে ফিরে সময় পেলাম দেড় ঘন্টার মতো। মাথা ঘুরছে। টাইমার চালু করলাম, সাঁতার আধাঘন্টা।
কেনিয়ার ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজিক প্ল্যানের উপর ইন্টারনেট রিসার্চ – পয়তাল্লিশ মিনিট।
সাঁতার কেটে এলাম। দেহঘড়িকে এডজাস্ট করার নিজস্ব পন্থা। পিঠের ব্যথাটা বাড়লো মনে হচ্ছে।
ইন্টারনেট রিসার্চের ফলাফল ভয়াবহ। আইসিটি রেগুলেশন টুলকিট আর ব্রডব্যান্ড টুলকিটের গল্প বলেছিলাম আগেই। আইটিইউ, ওয়ার্ল্ডব্যাংক আর ইনফোডেভের রিসার্চ পাবলিকেশন্সে কেনিয়ার এই ব্রডব্যান্ড প্ল্যানের মাথা ‘ভিশন ২০৩০’ ফ্রেমওয়ার্ককে নিয়ে এসেছে কেসস্টাডি হিসেবে! মাথা খারাপ করা ফ্রেমওয়ার্ক, কাজ না করে উপায় নেই। গভার্নমেন্ট লেড এই প্রোগ্রামের ট্যাগলাইন পড়তে গিয়ে চোখে পানি এলো চলে। ‘বিল্ড ইট, দে উইল কাম’ কথাটার অন্তর্নিহিত মেসেজ অনেক ভেতরের। সাঁতারের পর চোখে পানি – অসম্ভব ব্যাপার।
১৫৬.
অতিনোকে চিনতেই পারিনি ডিনারে। টারকুইজ কালারের আফ্রিকান ফ্রেঞ্চ লেস স্কার্ট, সঙ্গে মাথায় চমত্কার একটা ‘আসো ওকে’র টপ।
মাফ করবেন, চিনতে পারছি না আপনাকে। হ্যাভ উই মেট বিফোর?
হাত বাড়িয়ে দিলো হ্যান্ডসেক করার জন্য, হাসি আটকাতেই পারচ্ছে না সে, কোনোভাবেই।
আফ্রিকায় থেকে যেতে হবে মনে হচ্ছে!
ভালো কথা – নিয়ে এসেছে ‘দ্য ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড স্ট্রাটেজি ফর কেনিয়া’র একটা কপি। নিজে থেকে মনে করে।
তোমার জন্যই কিন্তু। মনে করিয়ে দিলো সে, আবার।
আমার জন্য মানে দেশের জন্য, লিখবো দেশে গিয়ে। অসুবিধা হবে তোমার?
ঠিক আছে, পাল্টে দিও নামটা আমার। সেটিংটাও কিন্তু!
১৫৭.
খেতে বসে নতুন আইটেমগুলোর চেখে দেখার আবদারের মধ্যে ফিরে এলাম স্ট্রাটেজিক পেপারটাতে।
টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কের কি অবস্থা? দেশের এই লাইসেন্সটার প্রথম ড্রাফট তৈরী করেছিলাম বলে অন্যদেরটাও জানার ইচ্ছা হয় মাঝে মধ্যে।
শোনোনি তুমি সকালের সেশনটা?
না, অ্যাপের সেশনটায় গিয়েছিলাম আমি। সিমুলটেনাস সেশনের এই সমস্যা।
তানজানিয়া, জাম্বিয়া আর কেনিয়া মিলে তৈরী করছে ত্রিদেশীয় ফাইবার নেটওয়ার্ক। ইলেকট্রিসিটি মানে পাওয়ারগ্রিড কোম্পানির ঘাড়ে চড়ে এই নেটওয়ার্ক করতে লাগবে মাত্র পসট্টি কোটি ডলার।
থামলো সে। পরের প্রশ্নটা ছুড়ে দিলো আমাকেই।
বল দেখি, আইটিইউর রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মোবাইল ব্রডব্যান্ডের পেনিট্রেশন কার? আফ্রিকার রিজিওনের কথা বলছি।
সাউথ আফ্রিকা?
ভুল! ঘানা, দুহাজার এগারোর রিপোর্টেই ‘তেইশ শতাংশ’ ছিলো এই মোবাইল ব্রডব্যান্ডে। মাইন্ড ইট, কীওয়ার্ড ‘মোবাইল ব্রডব্যান্ড’।
সেই ঘানা আর ‘বারকিনা ফাসো’ নিজেদের টেরেস্ট্রিয়াল ফাইবার লিংকের কাজ ধরেছে এমাস থেকে।
দেখে নিও আমাদের ছুঁতে পারবে না কেউই।
ভুল হতে পারে আমার। ভেজা ভেজা লাগছে ওর চোখ।
ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা হচ্ছিলো প্রথমে। এমনিতেই। ‘আইনফুলঙস্যাম্যু’ জার্মান শব্দটাই মনে হচ্ছিলো বার বার। পরে যোগ হয় ইংরেজিতে। এম্প্যাথি।
এক্সকিউজ মি, দাড়িয়ে গেল সে। নতুন একটা ডেজার্ট দেখলাম, আনছি এখুনি, ভালো লাগবে তোমার।
* The preceding is a work of fiction. Any resemblance to persons living or dead is purely coincidental.
Read Full Post »