Feeds:
Posts
Comments

Archive for September, 2023

আমার চোখের সামনে বেশ দ্রুতই অনেকগুলো কাজই অটোমেট হয়ে যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে এই কাজগুলোকে আমরা আগে হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির অংশ হিসেবে জানতাম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এখন চলে আসছে অনেক “লো এন্ড” ডিভাইসে। তাহলে যারা এই মুহূর্তে কাজগুলো করছেন তাদের কি হবে?

এ ব্যাপারে আমি প্যানিক হবার কিছু দেখি না। আগে যেভাবে টাইপিস্ট পদ নিজে থেকেই কম্পিউটার অপারেটরে কনভার্ট হয়েছিলেন, সেই হিসেবে বর্তমান নলেজ ওয়ার্কাররাও রি-স্কিলিং এর আওতায় সামনের ভবিষ্যতকে সামলাবেন। তবে নতুন স্কিল অর্জন করা অনেকটাই “মাইন্ড গেম।” ট্রাস্ট মি!

AI will not replace individuals. But, people effectively utilizing AI as a tool to replace certain functions or roles will replace humans who don’t. নেটওয়ার্কের “লো হ্যাংগিং ফ্রুট” (বেসিক) কাজগুলো যেহেতু অটোমেশনের মধ্যে চলে যাবে, তখন অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়বে। এর অর্থ হচ্ছে একটা জব চলে যাবে, সেই জায়গায় আরো কয়েকটা জব তৈরি হবে। সেই জবের জন্য আমরা তৈরি তো?

* নেটওয়ার্ক অটোমেশন নিয়ে আমার আট নম্বর বই আসছে সামনে। সঙ্গে যোগ হবে প্রচুর ভিডিও “রোড টু হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি” সিরিজে।

একটা প্লেলিস্ট

Read Full Post »

সরকারে থাকার সময়ে ‘উন্নততর’ প্রযুক্তির জন্য একরকম প্রায় চষে ফেলেছিলাম প্রযুক্তিতে শীর্ষে থাকা দেশগুলোকে। তখন একটা ‘রিয়েলাইজেশন’ এলো, উন্নত বিশ্বের জন্য উন্নততর প্রযুক্তি যতটুকু দরকার, তার থেকে বেশি দরকার আমাদের দেশে। একমাত্র উন্নততর প্রযুক্তিই পারবে আমাদের সমসাময়িক সমস্যাগুলো মেটাতে। উন্নতর প্রযুক্তি এখন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান, কারণ মানুষই তৈরি করেছে ‘উন্নততর বুদ্ধিমত্তা’ যাতে মানুষের ভুলে সিস্টেমের যাতে ক্ষতি না হয়।

মানুষকে বের করে আনতে হবে ‘সার্ভিস লুপ’ থেকে। মানুষ কখনোই আরেকজন মানুষকে উন্নত ধরনের সেবা দিতে পারবেন না (বৃদ্ধ মানুষ ছাড়া)। সেটাই সত্য। উন্নত বিশ্বে ‘মধ্যম’ প্রযুক্তি (যেখানে এখনো কিছু মানুষ আছেন) থেকে যেই মাইগ্রেশনটা লাগছে, সেটা আমাদের দরকার পড়ছে না। এটাই ‘লিপ ফ্রগিং’ এর বড় সুবিধা। এছাড়া সবারই প্রযুক্তি জানার প্রয়োজন নেই, প্রযুক্তি জানবেন ডিজাইনাররা। বাকিরা হবেন প্রযুক্তির ব্যবহারকারী। জনগণ কথা বলবেন (সেবা গ্রহণ করবেন) সিস্টেমের সাথে। মানুষের সাথে নয়। মনে পড়ে, কবে শেষ দিয়েছিলেন আপনার ডিজিটাল ব্যাংকে?

আমাদের বিশাল জনশক্তিকে বিশাল স্কেলে, সময় মত সার্ভিস দিতে চাইলে উন্নততর প্রযুক্তি ছাড়া গতি নেই। উন্নত বিশ্বে পুরো দেশে যত মানুষ, তার থেকে বেশি মানুষ থাকেন আমাদের একটা শহরে। উন্নততর প্রযুক্তি ছাড়া সময় ক্ষেপন করা কাগুজে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এত মানুষের সেবা প্রদান সম্ভব না। যেকোনো এক মানুষের মর্জির উপরে বসে থাকতে হবে না একটা সেবা পাবার ক্ষেত্রে।

একজন মানুষ রাষ্ট্রের কাছে কি চান? ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন সেটার যোগান তৈরি করে রাখবে রাষ্ট্র। সেগুলোকে শেষ বয়সে যোগান দিলে আবার হবে না, দিতে হবে সময় মতো। অন্ন, অস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থাৎ মধ্যম একটা লিভিং স্ট্যান্ডার্ড ‘মেনটেইন’ করার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেবে রাষ্ট্র। যারা আরো বেশী কষ্ট করবেন তারা এগিয়ে থাকবেন মধ্যম স্ট্যান্ডার্ড থেকে।

সেই সুযোগের দশটা ‘এলিমেন্ট’ নিয়ে আমি লিখেছিলাম ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র’ বইটা। বিশ্বাস করুন, উন্নত প্রযুক্তির প্রায় সবগুলো এলিমেন্টই আছে আমাদের দেশে। দরকার ‘বুঝদার’ সমন্বয়ের। দরকার একজন ডিজিটাল আর্কিটেক্টের, যিনি “ওরকেস্ট্রেট” করবেন এই ম্যাসিভ ডিজাইন। তবে শুরুতেই দরকার সব কিছুর সাথে ‘ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশনে’র ইন্টিগ্রেশন। ম্যাজিক টাচ বিগিন্স হিয়ার। দেশকে চালাবে বিশালাকার সফটওয়্যার, যেটা মানুষের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন।

• বইটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ‘ওপেনসোর্স’ ডোমেইনে। লিংক কমেন্টে। ডিজিটাল ফরম্যাটে ডাউনলোড করে পড়তে পারেন এখনই। নীতি নির্ধারণীতে থাকা আপনার প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন প্রিন্ট বইটা, যেটা পাওয়া যায় রকমারিতে।

__

ওপেনসোর্স বই: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র | Government Service Delivery Enhancement using Data

ডাউনলোড লিংক: https://lnkd.in/gytwaaHi

Read Full Post »