Feeds:
Posts
Comments

Archive for November, 2015

From creating powerful assessment models for identifying high-risk illegal housing conversions, to using the latest data and technology to combat property fraud and prescription drug abuse, the Policy and Strategic Planning Analytics Team has been at the forefront of our innovative problem-solving strategies.

– Michael Bloomberg, Mayor, City of New York

১০.

পৃথিবীর আদিমতম পেশা নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকলেও আমার উত্তর একটাই। ‘কনসাল্টিং’। ওই সময়ে সেটাকে পেশা হিসেবে ‘আইডেন্টিফাই’ না করতে পারলে আমারই বা দোষ কোথায়? ফিরে যাই ওই আদিম যুগে। পেটে ক্ষুধা, একে অপরকে ‘কনসাল্ট’ করছে – কি ধরা যায় এ মূহুর্তে? কি দিয়ে ধরলে ভালো? তারপরেই না শিকার ধরেছে তারা। বিশ্বাস হচ্ছে না এখনো? পরীক্ষা হয়ে যাক এমুহুর্তে। কাউকে ডেকে বলুন ‘আপনার মাথা ব্যথার কথা’। অথবা, কিছু একটা পারছেন না – জানতে চান কিভাবে করবেন জিনিসটা। আমার ধারণা, প্রশ্নটা করার জন্য নিজের হাত কামড়াবেন পরমূহুর্তে।

১১.

আমরা উপদেশ দিতে ভালোবাসি। সাহায্য করার প্রবণতা থেকে হয়তোবা। হাসছেন আপনি। কথা বলতে তো ট্যাক্স লাগে না – কি বলেন? তবে ‘কনসাল্টিং’য়ে লাগে সেটা। আর সেটাকে পুঁজি করে দাড়িয়েছে পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ‘এই’ ইনডাস্ট্রি। আর সেপথে হাঁটছি আমিও। নামতে গিয়েও বিপদ। হাজার ঘণ্টা পড়তে হচ্ছে জিনিসপত্র। মনে আছে ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েলের ‘দশ হাজার ঘন্টা’র গল্পটা? না নামার চেষ্টা করলে জানতামই না কতো ‘স্ট্রাকচারড’ এই ইনডাস্ট্রি। তুখোড় আর ‘স্ট্রীমলাইনড’। সবকিছুর কীওয়ার্ড – ‘সুপার অপ্টিমাইজেশন’। পৃথিবীর সরকারগুলো ওদের মতো ‘দক্ষ’ হলে বছরে বছরে বাঁচাতে পারতো হাজার কোটি ট্যাক্সপেয়ারদের টাকা। নতুন নতুন নাগরিক সেবায় ভেসে যেতাম আমরা। বিপদে পড়ার আগেই ছুটে আসতো সরকারী এজেন্সি। সুইট! শিখছি অনেক কিছুই। তবে, কি নিয়ে ‘কনসাল্টেসি’ করবো সেটা বলছি পরে।

১২.

‘অ্যাক্সেনচার কনসাল্টিং’ বিশাল একটা কাজ করেছে নিউ ইয়র্কের মেয়রের অফিসে। ‘ভবিষ্যত’ দেখে কাজ করার এই অফিসটাকে তুখোড় মনে হয়েছে আমার কাছে। কাজে নেমে ‘অপচয়’ করার আগেই ওই কাজের ‘আগের জ্ঞান’ আর ‘প্রজ্ঞা’ ব্যবহার করে সময় আর টাকা বাচানোর এই পদ্ধতি অভিনব। মেয়র অফিসের ভেতরের বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে অবাধ ‘তথ্য’ নেয়া দেয়া নিশ্চিত করতেই এই অ্যানালিটিক্সের আমদানি। সরকারী অফিসে কাজ করতে গিয়ে একটা কথা মনে হয়েছে বার বার। আহা, আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ‘তথ্য প্রবাহ’ নিশ্চিত করতে পারতাম? তাহলে বাঁচাতে পারতাম অনেক টাকা, সময় আর জ্ঞানের ‘অপচয়’। বছরের পর বছরের পুরোনো কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি হতো ‘ভবিষ্যত’ কাজের ধরণ। লোকাল নলেজবেজ। এটাই তো অ্যানালিটিক্সের কাজ। ফাইলনোট দিয়ে ইন্টার্নাল এজেন্সিদের মধ্যে তথ্য চাইতে হলে তো বিপদ। ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’ (ডিএসএস) তো চলে না এভাবে। মানুষ তো ঠেকে শেখেনা, শেখে দেখে। ‘উন্মাদে’ পড়েছিলাম অনেক আগে – ‘হ্যা, আমারো হবে গাড়ি একটা, যখন আমার প্রতিবেশীরা ইন্টার গ্যালাক্টিক ট্রাভেলে ব্যস্ত’।

১৩.

ধরুন, রাস্তা খুড়ছেন প্রতিটা সরকারী প্রতিষ্ঠান – নিজের মতো করে। গ্যাসের লাইন, বিদ্যুত্‍, পানি, ফাইবার অপটিক, সুয়ারেজ – পাঁচ বার গর্ত করছেন একই যায়গা। পাঁচগুণ টাকা খরচ করে। ওই এলাকার মানুষের ‘ম্যান আওয়ার’ নষ্টের হিসেব না হয় বাইরেই রাখলাম। গরীব দেশের টাকা বলে এর দামও কম। অথচ, ভেতরের এই এজেন্সিদের ইন্টার্নাল ‘তথ্য প্রবাহ’ চালু থাকলে ‘ইনফর্মড’ অপারেশনাল সিদ্ধান্ত নেয়া যেতো দক্ষতার সাথে। আগের বছরগুলোর ভুল থেকে শিক্ষা নিতো সবাই। বেঁচে যেতো অনেক অনেক টাকা। ‘ইনফর্মড’ অপারেশনাল সিদ্ধান্ত যে কি জিনিস সেটা ‘প্রাইভেট সেক্টরে’র প্রতিটা মানুষ জানেন ভালো করে। কারণ, তাদের চাকরি নির্ভর করে কে কতো দক্ষতা ‘ডেলিভার’ করলো সেটার ওপর। ভুলের মাশুল দিতে হয় চাকরি হারিয়ে।

১৪.

আমার বাসার সামনে দিয়ে পানির লাইন বিছিয়ে যাচ্ছে একটা এজেন্সি। পনেরো দিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখলাম ওদের কাজ। কিছু তো করতে হবে ছুটিতে! কথা বললাম ফাঁকে ফাঁকে। যে ইঞ্জিনিয়াররা তদারকি করছেন কাজগুলো। সচেতন নাগরিক হিসেবে জানতে চাইলাম তাদের কাজের পরিধির ভেতরের ‘বিগ পিকচার’। মনে হলো ‘দিন আনি – দিন খাই’ অবস্থা। তাদের দোষ দিচ্ছি না, এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। একবার বিছালেন চিকন পাইপ। আবার সেটা পাল্টে বিছালেন নতুন মোটা পাইপ। ‘হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং’ করার জন্য এখানে ওখানে গর্ত করে ওই নতুন পদ্ধতি থেকে যে ‘দক্ষতা’ পাবার কথা, সেটাই হয়তো বুঝতে পারছেন না তারা। প্রচুর গর্ত খুড়ে ফেলেছেন এর মধ্যে। হোমওয়ার্ক না করে মাঠে ‘এক্সপেরিমেন্টে’ নেমে সবার বেহাল অবস্থা। পাইপ আগে থেকে কেটে ফেলে আবার জোড়া দেবার ঘটনাও কম নয়।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »