Quis Custodiet Ipsos Custodes. -> Who will watch the watchmen.
— Juvenal, circa 128 AD
২৬.
দেখা গেছে ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অক্ষরগুলো হচ্ছে ‘E’, ‘T’, ‘A’, ‘O’ আর ‘I’। পর্যায়ক্রমে। সবচেয়ে কম ব্যবহার হয় ‘Q’, ‘Z’ আর ‘X’। আবার ব্যাঞ্জনবর্ণের জোড়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলে ‘TH’। ঠিক বলেছি কিনা বলুন? আর স্বরবর্ণের জোড়া? ঠিক বলেছেন। ‘EA’। বাকীদের কথা বললে আসে OF, TO, IN, IT, IS, BE, AS, AT, SO, WE, HE, BY, OR, ON, DO, IF, ME, MY, UP অক্ষরজোড়ার কথা। রিপিটেড অক্ষরজোড়ার মধ্যে SS, EE, TT, FF, LL, MM and OO চলে বেশি। তিন অক্ষরের ভেতরে দেখলে THE, EST, FOR, AND, HIS, ENT, THA নাম আসে আগে। বেশি বলে ফেলছি নাকি? আমাদের হিসেব বলে – যদি গুপ্ত মেসেজে অক্ষর ‘E’ এর পর ‘T’ বারংবার মানে বেশীরভাগ সময়ে আসে তাহলে সেটা ‘প্রতিস্থাপন’ সাইফারের মেসেজ নয়। সেটা বরং ‘স্থান-বিনিময়’ মানে ট্রান্সপজিশন সাইফার। ওমা, এটা আবার এলো কোথা থেকে?
২৭.
‘স্থান-বিনিময়’ সাইফারটা কি? গল্প নিয়ে আসি বরং! বাসার প্লাস্টিকের পানির পাইপ যোগাড় করুন – এক ফুট লম্বা। পেন্সিল হলে হবে, তবে সেটা কিছুটা ছোট হয়ে যাবে আমাদের কাজের জন্য। পাইপের ওপর দড়ি যেভাবে পেচিয়ে পেচিয়ে এগোয় সেভাবে স্কচ টেপ পেচান। স্কচ টেপ না থাকলে ওধরনের ‘চিকন করে কাটা’ কাগজও পেচাতে পারেন। পেচানোর পর এর ওপর দিয়ে কলম দিয়ে লিখুন আপনার মেসেজ। লেখার পর খুলে ফেলুন কাগজটা। এরপর পাঠিয়ে দিন বন্ধুর কাছে। বন্ধু যদি ওই একই ব্যাসার্ধের পাইপ নিয়ে একই ভাবে পেচান, তাহলেই রক্ষা। মানে, পড়তে পারবেন মেসেজটা। কাগজটা পুরোপুরি খুলে ফেললে হযবরল হয়ে যাবে অক্ষরগুলো। আগের মতো করে না পেচালে দুর্বোধ্যই থেকে যাবে মেসেজটা। অক্ষরের এই ‘স্থান-বিনিময়’এর জন্যই এর নাম ‘ট্রান্সপজিশন’ সাইফার। অনেক সময় এই মেসেজ লিখতে পারেন ‘কলাম’ ধরে। একেকটা অক্ষর একেকটা কলাম। পরে পাল্টে দিলেন কলাম ঘরগুলো।
২৮.
মজার কথা হচ্ছে এই ‘ফ্রিকোয়েন্সি অ্যানালিসিস’ ধরতে পারে অনেক গল্প। কোন ভাষা, সেটাও ধরতে পারে এই অ্যানালিসিস। এই ইংরেজি অক্ষর দিয়েই ভাষা আছে অনেকগুলো। ধারণাই করতে পারবেন না – এই রোমান আর ল্যাটিন অক্ষর ব্যবহার হয় কতো ভাষায়! পুরো মেসেজে যদি একটা অক্ষর ২০%এর বেশি আসে, তাহলে সেটা ‘জার্মান’ হবার সম্ভাবনা বেশি। জানেন তো জার্মানে ‘E’ অক্ষরের ব্যবহার অনেক অনেক লম্বা। ইটালিয়ান হলে তিন অক্ষরের আধিক্য ১০% এরও বেশি। ‘নয় অক্ষরে’র ফ্রিকোয়েন্সিও কম নয়। ক্রিপ্টগ্রাফার কাজও কিন্তু যায় বেড়ে। ‘প্রতিস্থাপন’ সাইফারে অনেক সময় লম্বা মেসেজ হলে ভালো। বড় হলে প্যাটার্ন ধরা যায় সহজে। কয়েকবার এক জিনিস আসলে যা প্রথমে ধারনা করেছিলাম সেটা পোক্ত হয় বেশি। ছোট মেসেজে ধারনা করতে হয় বেশি। এক অক্ষরের ‘প্রতিস্থাপন’ সাইফারে ‘A’ আর ‘I’ ছাড়া অন্য কিছু আসার কথা নয়। দুটোই বসিয়ে দেখতে হবে কোনটাতে মেসেজটা অর্থবহ হয়। তাই বড় মেসেজে সুবিধা বেশি।
[ক্রমশ:]