Feeds:
Posts
Comments

Archive for the ‘Programming’ Category

Most good programmers do programming not because they expect to get paid or get adulation by the public, but because it is fun to program.

– Linus Torvalds

ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়।

বিশাল একটা দিন আজ। ১২ই সেপ্টেম্বর। প্রোগ্রামারস’ ডে।

আমাদের প্রতিটা মুহূর্তকে এগিয়ে নিতে এই প্রোগ্রামারদের অবদান আমরা জানি সবাই। সামান্য লিফটের বাটন থেকে শুরু করে প্রতিটা রিমোট কনট্রোল, হাতের মুঠোফোন থেকে টিভি, জীবনরক্ষাকারী সব মেডিকেল ইকুইপমেণ্টের পেছনে রয়েছে শত থেকে হাজার লাইনের কোড। আমাদের এই মুঠোফোনের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিষ্টেমেই আছে দেড় কোটি লাইনের কোড। আর সেকারণে যন্ত্রটা যেকোন মানুষ থেকে ভালো চেনে আমাদের। আমাদের ভালোমন্দ – পছন্দ অপছন্দ জানে অনেকটাই। জানবে আরো বেশি। সামনে। কারণ একটাই। জিনিসটা আমাদের সাহায্যকারী একটা অংশ।

সৃষ্টিকর্তা তার গুণগুলোকে অল্প অল্প করে দিয়েছেন মানুষকে। এর মধ্যে ‘জিনিস তৈরি’ করার ক্ষমতাটা অতুলনীয়। উদ্ভাবন করার ক্ষমতা। সেইগুণ দিয়ে অনেকটাই অজেয় হয়ে উঠছে মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে প্রোগ্রামিংয়ে কিছুটা এক্সপোজড থাকার কারণে ভবিষ্যত দেখার ‘ছোটখাট একটা উইনডো’ তৈরি হয় আমাদের সামনে। তাও সবসময় নয়, মাঝে মধ্যে। খেয়াল করলে দেখবেন, মানুষ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবার অনেক ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে যন্ত্রের হাতে। আমিও চাই তাই। কয়েকটা লিফটের মধ্যে কোনটা ‘কতো তলায় থাকার সময়’ কোন কলে আপনার কাছে আসবে সেটাতো ছাড়িনি লিফটম্যানের হাতে। ‘লিফটম্যান’ বলে অপমান করা হয়েছে মানুষকে। আমাদের অনেক ‘অনেক’ কাজ রয়েছে সামনে।

চেয়ে দেখুন, সামান্য ড্রাইভিং থেকে শুরু করে বড় বড় উড়ুক্কযান চলে গেছে অটো-পাইলটে। সামনে আরো যাবে। সোজা হিসেব। মানুষ দেখেছে, একটা সীমার মধ্যে বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্তের ভেতরে “কী প্রেক্ষিতে কে কী করবে” সেটা আগে থেকে ঠিক করে দিলে যন্ত্র কাজটা করে নির্ভুলভাবে। মানুষের মধ্যে অনেক ‘বায়াসিং’ বিভ্রান্ত করলেও যন্ত্র সেটা করে ঠিক করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় কিছু নয় কিন্তু। মানুষের ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’কে ওয়ার্কফ্লোতে ফেলে যন্ত্রকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়তি কিছু জিনিস। তেমনি এই মানুষেরই তৈরি ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ দিয়ে নিজের কাজের ফীডব্যাক নিয়ে শিখছে নতুন নতুন জিনিস। মানুষকে চিনতে। আরো ভালোভাবে।

মানুষ এখনো অসহায় – অনেক কিছুর কাছে। জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, আর হাজারো রোগ আসবে সামনে। এগুলো ঠেলেই এগুতে হবে – আরো অনেক। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জ্ঞান দিয়েছেন ‘এক্সপ্লোর’ করতে। জানতে। যেতে হবে লাইট ইয়ার্স দূরের নতুন নতুন গ্রহাণুপুঞ্জে। যদি জানতাম আমরা, সৃষ্টিকর্তা কী অভূতপূর্ব জিনিস ছড়িয়ে রেখেছেন নক্ষত্রপুঞ্জে। আর সেকারণেই অফলোড করতে হবে আরো অনেক সময়ক্ষেপণকারী ‘সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা’। আমাদের সহায়তাকারী যন্ত্রের কাছে। দরকার কোটি কোটি … কোটি লাইন লেখার ‘উদ্ভাবনাশক্তি’ সম্পন্ন প্রোগ্রামার। সামনের দিনগুলোতে। যন্ত্রকে শিখিয়ে দেবার জন্য। ওর পর, শিখিয়ে দেয়া হবে মানুষের ভেতরের ‘সুপারভাইজড লার্নিং’ সিকোয়েন্স। যন্ত্রকে। যাতে, ও নিজে থেকেই লিখতে পারে কোড।

মানুষের কাজ অন্যকিছু। সেটা বের করবে এই মানুষই।

মোদ্দা কথা, যন্ত্রকে ভয় নেই। মানুষই মাত্রই ‘চিন্তা’ করতে পারে। যন্ত্র নয়। সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে তৈরি করেছেন ওই সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা দিয়ে। তাকে খুঁজতে। জানতে তাকে। আরো ভালোভাবে।

যেতে হবে বহুদূর।

ঈদ মুবারক।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

If you reveal your secrets to the wind, you should not blame the wind for revealing them to the trees.

— Kahlil Gibran

১২.

গুপ্তচররাই তথ্য লুকিয়ে ঘুরে বেড়ায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। মাঝে মধ্যে ওই ‘কাগজ’ অন্যের হাতে পড়লেও পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় না বলে দেখি আমরা মুভিতে। অথবা স্পাই-থ্রিলার বইগুলো পড়তে গেলে। সচরাচর ধারনা করা হয়, স্নায়ু যুদ্ধের পর ব্যবহার শেষ হয়ে গেছে এই ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’র। ‘কেজিবি’র ‘শ্লীপার এজেন্ট’দের নিয়ে পড়তে পড়তে আমরাও হয়ে যেতাম একেকজন গুপ্তচর। ওই ছোটবেলায়। ছিলো না খালি নায়িকা। কেউ ‘নায়িকা’ হলেও সে আবার মিলাতে পারতো না গুপ্তচরদের ‘খল’ নায়িকার চরিত্রে। গুপ্তচর হবার খায়েশ ওখানেই শেষ! ‘অ্যানা’কে কেন মরতে হলো ‘গানস অফ নাভারোণ’য়ে – সেটা নিয়েই জল্পনা কল্পনা। বছরখানেক। ‘গ্রেগরি পেক’ আবার হতেও দিলো ব্যপারটা? আর যাই হই – গুপ্তচর নয়। সৃষ্টিকর্তা বোধহয় হেসেছিলেন আড়ালে।

১৩.

সত্যিকার অর্থে, স্নায়ু যুদ্ধের পর ব্যবহার বেড়েছে ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’র। বরং হু হু করে। কোম্পানীগুলো একটার পর একটা সাইবার আক্রমনের শিকার হয়ে হারাচ্ছিলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। গ্রাহকের ‘পরিচয়’ চুরি করে এমন সব কাজ হতে শুরু করলো সেটাতে শুধু টাকা হারানো নয়, হাজারো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে থাকলো সাধারণ মানুষেরা। কে কবে কাকে কি ইমেইল লিখেছিলো সেটাও চলে গেল ওয়েব সাইটে। মানুষের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও চুরি করে বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’ মানে মানুষের ‘প্রাইভেসী’ নিয়ে চরম টানাটানি। বিটিআরসিতে ‘সাইবার সিকিউরিটি টীম’ চালানোর সময় মানুষের হয়রানি দেখে শিউরে উঠতাম নিজেই। সাত বছর – লম্বা সময়। মানসিকভাবে কষ্ট পেতাম মানুষের ‘অসহায়ত্ব’ দেখে। মানুষের চোখের পানির সামনে নিজেকে অসহায় মনে হতো আরো। ওই কষ্ট থেকে বইটা ধরা। মিলিয়ন ডলারের ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’ নিয়ে আলাপ করবো না আমি। ‘ওপেনসোর্স’ হাজারো ‘নিরাপত্তা প্রজেক্ট’ তৈরি হয়েছে মানুষকে সাহায্য করতে। এটা নয় আর রকেট সায়েন্স। অন্তত: আমাদের জন্য। তবে, সবার আগে – কেন দরকার এই ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’? আর, কিছুটা ব্যাবচ্ছেদ করবো – মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিকে।

১৪.

আমার অভিজ্ঞতা বলে – মানুষ সবচেয়ে বেশি ‘ওপেন’ মানে খোলামেলা হয় অনলাইনে গেলে। অনেকেই নিজের ভালো মানুষের খোলসটা ফেলে দিয়ে নেমে পড়েন দু:সাহসী কাজে। ‘কেউ দেখছে না’ মনে করে ইচ্ছেমতো সাইটে গিয়ে রেজিস্টার করছেন নিজের লুকানো নাম দিয়ে। ওই ইচ্ছেমতো সাইটগুলো শুরুতেই ঢুকিয়ে দেয় ‘ট্র্যাকিং কুকি’। আপনার কম্পিউটারে। আপনার দুর্দান্ত ‘প্রোফাইল’ তৈরি করে ফেলবে ‘ব্রাউজিং হিসট্রি’ ঘেঁটে। ইনিয়ে বিনিয়ে আপনাকে দিয়েই ডাউনলোড করিয়ে নেবে তাদের পছন্দের সফটওয়্যার। বাকি গল্প থাকছে সামনে। তবে, ওই ‘সাইবার সিকিউরিটি টীম’ চালানোর সময় কিছু শিক্ষিত(!), ভালো অবয়বের মানুষের ‘মানসিক বিকৃতি’ দেখে অবাক হয়েছি বেশি। সাধারণ মানুষের ‘কম্পিউটার নিরাপত্তার’ অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে হেয় করছে তাদের। সামাজিক ও মানসিক ভাবে। দেশছাড়া হয়েও মুক্তি পায়নি মানুষ।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

There are no secrets better kept than the secrets that everybody guesses.

— George Bernard Shaw

০৭.

পড়ে আছি আফ্রিকাতে। আগেও ছিলাম এখানে। আরেকটা দেশে। বউ বাচ্চা ছেড়ে। পৃথিবীব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ছাপ পড়েছে এখানেও। অফিসের কাজ শেষে ‘স্কাইপিং’ করি বাসায়। বিনামূল্যে। বাচ্চারা মায়ের ফোন নিয়ে ওপরতলা নিচতলা করতে থাকে প্রতিনিয়ত। পুরো বাসার ‘ট্যুর’ হয়ে যায় ওদের অজান্তে। কোন রুমের আসবাবপত্র কোন রুমে যাচ্ছে কোন কিছুই এড়াচ্ছে না আমার চোখ। আর্শিয়ার ‘ফ্রোজেন’ আর নাবিলের ‘বিগ হিরো ৬’য়ের পোস্টার কোথায় লাগবে সেটার শালিসিতেও বসতে হলো এখানে বসে। দরকার লাগলে ঢুকে যাই নিজের বাসার নেটওয়ার্কে। চালু করি বাসার কম্পিউটার বা ওয়াইফাই রাউটারটা। টেনে আনি দরকারী ফাইল। বাসার গাড়িটাকে নিয়ে এসেছি হাতের নাগালে। ‘ভার্চুয়াল ফেন্সে’র বাইরে গেলেই মাথা গরম হয়ে যায় ফোনের। সঙ্গে আমারো। এই আফ্রিকায় বসে। ফ্রীজটা বাকি। হয়ে যাবে সেটাও।

০৮.

ফিরে তাকাই পেছনের দিনগুলোতে। অথচ, দশ পনেরো বছর আগে পকেট ফাঁকা করে ফেলতাম কথা বলতে। এই আফ্রিকা থেকে দেশে। তাও শুধু দরকারী কথা। তখন বউ অবশ্য বলতো মিষ্টি মিষ্টি কথা। পাল্টেছে সময়। এখনো বলে। কম। ভাগ্য ভালো, আমার শহরে আছে থ্রীজি সার্ভিস। হাজার টাকায় পাওয়া যায় দুর্দান্ত গতির ইন্টারনেট। হিসেব করে দেখলাম – ইন্টারনেট হচ্ছে আমাদের লাইফলাইনের মতো। ‘ইন্টারন্যাশনাল কল’ করার সাহস করি না আমি। মনের ভুলেও। আমার ধারনা, বাকিদের একই অবস্থা। ধন্যবাদ ‘সিম্ফনী’ আর ‘ওয়ালটন’কে। তাদের সুবাদে – সবার হাতে স্মার্টফোন। ভুল বললাম। একেকটা মিনি কম্পিউটার। আবারো ভুল বললাম। একেকটা শক্তিশালী কম্পিউটার। আমার নিজের ফোনটাই ল্যাপটপ থেকে তিনগুণ শক্তিশালী। স্ক্যান করছে আমার ভাউচার, পোস্ট-ইট পেপার, হাতে লেখা নোট, দরকারী কাগজ, দোকানের বিলের মতো আরো কতো কি! মেডিক্যাল রেকর্ড? ব্যাংক স্টেটমেন্ট? ব্যক্তিগত ছবি তোলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাজারো কথা বলছি স্কাইপে। বন্ধুদের সাথে। যারা ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন টাইমজোনে। ইমেইলের পাশাপাশি ‘ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জারে’ রয়েছে হাজারো কথা। সবকিছুই যাচ্ছে পছন্দের ‘ক্লাউড’ সার্ভিসে। ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে অনেককিছুর পাসওয়ার্ড ইদানিং থাকে ‘ক্লাউডে’।

০৯.

আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনার ইমেইল অন্য কেউ পড়ছে কি না? আপনার ফোন দিয়ে ‘থ্রেট’ কল গিয়েছে কখনো? ‘ভয়েস সিন্থেসিস’ করে দেখা গেলো গলা আপনার! আপনার কম্পিউটারের দরকারী ফাইলটা আরেকজন পড়ে চুপটি করে রেখে দিয়েছে কি না? আপনার উইনডোজের ‘ক্রিটিক্যাল’ সিষ্টেম ফাইল পাল্টে যায়নি যে তার গ্যারান্টি কি? বছর খানেক ধরে আপনার কম্পিউটারে যা কিছু টাইপ করেছেন সেটার ‘কী-লগার’ ফাইল যাচ্ছে কোথায় – জানেন আপনি? আপনার ল্যাপটপের ‘মাইক্রোফোন’ আর ‘ওয়েবক্যাম’ আপনার অজান্তে চালু থাকে কি না? আপনার ফোনের ক্যামেরা দুটো আর মাইক্রোফোন? ইন্টারনেট হচ্ছে ওধরনের একটা ‘গ্লোবাল দেশ’ যেখানে ‘কেউ’ চাইলে নজরদারী করতে পারে আপনার প্রতিটা মুহূর্ত। যাচ্ছেন কোথায়, কি বলছেন, কি করছেন। সব।

হতাশ?

১০.

‘এভরি ক্লাউড হ্যাজ আ সিলভার লাইনিং’! আছে সুখবর। এই ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’ যেভাবে অন্যের পড়ার অযোগ্য করে দিতে পারে আপনার ফাইলকে, সেভাবে ‘নিশ্চিত’ করতে পারে আপনার ‘অনলাইন’ পরিচয়। মানে ‘থ্রেট’ ইমেইলটা করেননি আপনি। ভয়েস সিন্থেসিসে ‘সিগনেচার’ মিলেনি আপনার। কম্পিউটারের হাজারো ফাইলের (সিষ্টেম ফাইলসহ) যেকোন একটা পাল্টালে আগে জানবেন আপনি। আপনার প্রতিটা ডকুমেন্টকে রাখবে যথেষ্ট নিরাপত্তার সাথে। হাতের শক্তিশালী কম্পিউটার মানে স্মার্টফোনটা হাতছাড়া হওয়া মাত্র ‘মুছে’ যাবে সমস্ত ডাটা। অবশ্যই, আপনি চাইলে। ‘এনক্রিপ্ট’ করা থাকলে খুলতেও পারবে না – কি আছে ফোনে। খুশি তো? আপনি না জানলেও ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার খাতিরে অপারেটিং সিষ্টেম কোম্পানীগুলো নিজে থেকে উইনডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, ‘আইওএস’এর সাথে ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’ ব্যবহার করছে আগে থেকেই। তবে সেটার অনেকাংশ নির্ভর করে ব্যবহারকারীদের ওপর। আপনি কম্বিনেশন লক কিনলেন ঠিকই, তবে সেটা রাখলেন ‘ফ্যাক্টরি ডিফল্ট’ ০০০০। হবে কি কাজ? তালা দিয়ে দিয়েছে কোম্পানী, আপনি না লাগালে ওদের দোষ দিয়ে লাভ হবে কি? আর তারা তো দেবে বেসিক টূল, সেটা তো করবে না সব কাজ।

১১.

আমরা মানে ‘মর্টাল’রা ‘এনক্রিপশন’ আর ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’ শব্দগুলোকে যে যেভাবে পারি – ব্যবহার করি। হাজার হোক, ফ্রী কানট্রি! কার ঘাড়ে দুটো মাথা আছে আপনার সাথে তর্ক করার? দুটোর ব্যাপারটা আলাদা হলেও এটাকে সঙ্গায়িত করা যেতে পারে ব্যকরণ দিয়ে। আবার জুলিয়াস সিজার যেটা ব্যবহার করতেন সেটাকে আমরা বলতাম জুলিয়াস ‘সাইফার’। তাহলে শব্দ এসে দাড়ালো তিনটাতে। ‘ক্রিপ্টোগ্রাফী’ হচ্ছে ওই বিজ্ঞান যেটা আলোচনা করে ‘গোপন’ যোগাযোগ নিয়ে। এটা বিশেষ্য পদ। মানে নাম পদ। আমরা যদি ‘রুট’ওয়ার্ডে যাই, এটা হবে দুটো শব্দ। ‘ক্রিপ্টো’ আর ‘গ্রাফী’। ‘ক্রিপ্টো’ হচ্ছে গুপ্তকথা অথবা লুকানো কথা। আর ‘গ্রাফী’টা হচ্ছে ওই যোগাযোগটাকে লুকানোর একটা পদ্ধতি। মানে যেভাবে ওই গুপ্তকথাকে লুকিয়ে আরেকজনের কাছে পাঠানো হয় সেই বিজ্ঞানটাই আমাদের গল্প। আর ‘ক্রিপ্ট’ করাকে বলা হচ্ছে ‘এনক্রিপশন’। ‘এন’ মানে হচ্ছে ‘টু মেক’। তৈরি করা। তথ্যকে অন্যের জন্য ‘হিব্রু’ বানিয়ে ফেলা। নতুন গল্প দিচ্ছি না তো আবার? এন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড?

[ক্রমশ:]

Read Full Post »

The first rule of any technology used in a business is that automation applied to an efficient operation will magnify the efficiency. The second is that automation applied to an inefficient operation will magnify the inefficiency.

– Bill Gates

২১৮.

কম্পিউটার রকিব না?

শুনেছি কথাটা অনেক অনেকবার! মেনেও নিয়েছি। সত্যি কথা বলতে – সিনিয়রদের কাছ থেকে শুনলে খারাপ লাগতো না কিন্তু। বরং, স্নেহের একটা প্যাকেজিং থাকতো ওর মধ্যে। কম্পিউটারের হাজারো সমস্যা? ডাকো ওকে। সলভ করার জন্যই তো আমি। বন্ধুদের ডাকে খোঁচা না থাকলে আর বন্ধুই বা কেন? আবার, আমারো দোষ না থাকলে এই নাম কেন? অফ-লাইন ইন্টারনেটের যুগ থেকেই ব্যবহার করছি এই কম্পিউটার। এফটিপি মেইল দিয়ে ব্রাউজ করতাম নেট – ওই অফলাইনেই! পুশ পুল এসএমএস তো দেখছেন এখন! ওই পুশ পুল মেইল দিয়ে ব্রাউজ করতাম নেট! জেদ করে সব কাজেই ব্যবহার করতে চাইতাম কম্পিউটার।

২১৯.

নব্বইয়ের দিকে কম্পিউটার মানে টাইপের যন্ত্র, সে ধারনা থেকে বের করার জন্যই আমার ওই প্রানান্তকর চেষ্টা। কম বকা খাইনি ওর জন্য। ধরা যাক জরুরি একটা ফ্যাক্স পাঠাবার কথা আমার, মোডেমের ড্রাইভারের সমস্যার কারণে সেটা পাঠানো যায়নি গত কয়েক ঘন্টায়। ফ্যাক্স মেশিন কিন্তু পড়ে আছে আমার রুমে। জিদ চেপেছে – পাঠাবো এই নচ্ছার কম্পিউটার দিয়েই। যাবি না মানে – তোর বাবা যাবে, এই মটো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ছুটিটাই বাতিল হয়ে গেলো! অবহেলা করেছি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্সটা। চাকরি চলে যাবার কথা! মাঝখান দিয়ে সাত দিনের ছুটিটা নট্ হয়ে গেলো।

২২০.

কিসের মন খারাপ, কিসের কি? রাত তিনটে বাজিয়ে ওই ফ্যাক্সের আরেকটা কপি পাঠিয়ে ঘুমুতে গেলাম। লিনাক্স কার্নালটা ওটা সাপোর্ট করছিলো না। কম্পাইল আর রি-কম্পাইল করেই মিটলো ঝামেলাটা। সাড়ে পাঁচটায় আবার পিটি। আহারে দিনগুলি! কোনো কিছুই অসম্ভব মনে হয়নি তখন! শরীরের চেয়ে বড় হৃত্পিণ্ড নিয়ে আমার সিনিয়ররা আগলে ছিলেন আমাকে। কম্পিউটার রকিব, ও একাজ না করলে করবেটা কে আর? সামওয়ান হ্যাজ টু ডু দ্য ইনোভেশন, লেট হিম ইনোভেট!

২২১.

আমার রুটি রোজগার রেডিও যোগাযোগের সূত্রে বাঁধা থাকলেও কম্পিউটার কমিউনিকেশনে পড়ে ছিলো বুকভরা ভালবাসা। উপায় কি? ওদের বিয়ে না দিয়ে উপায় আছে আমার? ইংরেজিতে ম্যারিং আপ বলে কথাটা ওটার জন্য একদম সত্যি! এইচএফ (হাই ফ্রিকোয়েন্সি) রেডিওর সাথে কম্পিউটারের ডুপ্লেক্স সাউন্ডকার্ড আর লিনাক্সের বেসব্যান্ড এন্টেনা টিউনারের সঙ্গে দরকারী সফটওয়্যার! বেশি নয়, বছরখানিক লেগেছিলো মাত্র। তিনশো বউড পার সেকেন্ডের রেডিও মোডেম বানাতেই সময় লেগেছিলো এই যা।

২২২.

সবকিছুতে কম্পিউটার কেন? ভালো প্রশ্ন। ছোটবেলা থেকে অটোমেশনের ওপর একটা দুর্বলতা জন্মে গিয়েছিলো। ওর কারণও ছিলো। ওয়েস্টার্ন সিনেমার নায়কের মতো বন্দুকের নল কামড়ে না বড় হলেও ক্রিস্টাল ডায়োড আর ট্রানজিস্টর কতো চিবিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। তবে সেটা একটু বড় হয়ে – রাগের মাথায়, সার্কিট ঠিকমতো কাজ না করার কারণে। অফিসের একঘেয়ে রিপিটেটিভ কাজগুলো ফেলে দিতাম প্রসেসে। করতো মানুষই। তবে, একটা প্রসেসের মধ্যে। প্রসেসের মধ্যে হিউমান ইন্টার-অ্যাকশন লুপহোল তৈরী করলে – প্রসেসটার কয়েকটা চেক এন্ড ব্যালান্সে ধরা পরত জিনিষটা।

২২৩.

আমার ধারনায় – বড় কাজকে ছোট ছোট মাইলস্টোনে ভাগ করে কয়েকজনের মধ্যে দিলে – অটোমেশনের মতোই কাজ করে। সবার আউটপুট কানেক্টেড আপনার সাথে। যাবে কোথায়? সেমি-অটোমেটিক। শেলস্ক্রিপ্টের মতো। খানিকটা ‘ফর লুপ’এর ধারণা থেকেই। সামরিক বাহিনীর সব কাজের জন্য একেকটা এসওপি – ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ আমার কাজের মূল প্রেরণা। কাজ না হবার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না – এসওপি আছে না? ফলে ডিসিশন মেকিং প্রসেসটাও – ‘ডিএমপি’ কাজ করে দ্রুত। ম্যানাজেমেন্টের জন্য বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ ম্যাগাজিনটাও অনেককিছু নিয়েছে সামরিক বাহিনী থেকে। চেখে দেখুন নিজেই স্পেশাল কালেকশনের কিছু অংশ।

২২৪.

ভাবতাম অটোমেশনে জোর দিলে কাজ বের হবে তাড়াতাড়ি। সেটা কাজও করেছে অনেক জায়গায়। প্রচুর অটোমেশনের কাজও করানো হয়েছে আমাকে দিয়ে। প্রথম দিকে কাজও হয়েছে ভালো। আমি অন্য জায়গায় চলে গেলে সেটা পড়েছে মুখ থুবড়ে। ভালো ডকুমেন্টেশন থাকা সত্ত্বেও না কাজ করার পেছনে ওই প্রজেক্টের পরবর্তী ওনারশীপ দায়ী থাকে কিছুটা। এখন কাজ করছি নলেজ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। সমস্যা একটাই। মানুষ চলে গেলে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রজেক্ট। সেকারণেই কাজ করছি নলেজ ‘কন্টিনিউটি’ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে।

২২৫.

এই ‘কন্টিনিউটি’ অংশটাই সমস্যা কাটাবে আসা করি। নতুন আইডিয়া বটে, আমাদের জন্য। প্রতিদিন কাজের একটা স্ন্যাপশট থাকবে সবার কাছে। সবার কাজের খতিয়ান সবাই দেখতে পারবে বছর ধরে। সপ্তাহের এক দিন সবাই দেখবে বিগ পিকচারটা। কোথায় এগুলো তার কাজ আর বাকি সবার। মানে বড় কাজটার কোন মডিউলে কাজ করছিলো সে। আর না হলে হাতির কান দেখার মতো অবস্থা হবে ওদের। প্রতিযোগিতা তৈরী হবে আউটপুটে। খাওয়া দাওয়াও হতে পারে সেদিন! ওয়েল ডিফাইন্ড প্রসেস তৈরী করতে সময় নিলেও করতে হবে সবকিছু ফেলে। প্রসেসটা ক্লায়েন্টও জানবে। সরকারের ক্ষেত্রে জনগণ। একবার দাড়িয়ে গেলে বস প্রতিদিন না থাকলেও অসুবিধা নেই। কাজ থাকবে না মানুষ ডিপেন্ডেন্ট হয়ে। ওটা হবে প্রসেস ডিপেন্ডেন্ট। অমুক নেই তো হবে না কাজ – সেদিন যাচ্ছে চলে। কাজের তদারকি করবে ক্লায়েন্ট, পরোক্ষভাবে। সরকারের ক্ষেত্রে ওই জনগণই।

২২৬.

তবে সব জায়গায় ‘চলো করি অটোমেশন’ ভাবার আগে বিল গেটসের কথাটা মনে রাখবেন। হাটুন কিছুটা পেছনে, মানে সমস্যাটা থেকে বেরিয়ে এসে। প্রসেসটা দক্ষ বা কার্যকর না হলে ব্যাকফায়ার করতে পারে। ভালো দিক হচ্ছে – অটোমেশন অকার্যকর প্রসেসকে আরো আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয়। এফিসিয়েন্ট প্রসেসটাই সবকিছুর মূলে। আবার, দরকার মতো – উই হ্যাভ টু স্ট্রিমলাইন দ্য ওয়ার্কফ্লো! বছর লাগলেও কষ্ট করে তৈরী করুন একটা ‘কার্যকর’ প্রসেস ওয়ার্কফ্লো। বিয়ের রাতে বেড়াল মারার মতো। শান্তি চলে আসবে কাজে। আমি মেরেছিলাম কিনা? বলেন কি ভাই? ভয় ডর কি নেই আমার?

২২৭.

সামনের দিনগুলোতে কিভাবে কোম্পানিগুলোর বাজেট কাট হবে সেটার জন্য বসে থাকতে হবে না আরেকটা বছর। টাকা কম, ভালো কাজ আর স্বচ্ছতা; অটোমেশন ছাড়া গতি নেই সামনের দিনগুলোতে। এফিসিয়েন্ট আর কার্যকর অটোমেশন করার আইডিয়া নিয়ে আসছি সামনেই। ওয়ার্কফ্লোসহ! মাইন্ডম্যাপ? ওটা বোনাস! এই প্রাকটিসটা সবার মধ্যে ঢুকে গেলে আসবে ভালো কাজ আর স্বচ্ছতা। কত মানুষ আমাদের, খাওয়াতে হবে না সবাইকে? আনবো ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ধারণা। সবার জন্য স্বাস্থ্য আর দুরের স্বপ্ন নয়। টাকা নেই – ভুল কথা। হেলথকেয়ার ইন্ডাস্ট্রির ‘কার্যকর’ প্রসেস ওয়ার্কফ্লো তৈরীই আছে পাশের দেশ থাইল্যান্ডে। দেশের জন্য ‘কাস্টমাইজেশন’ আর দরকারী ‘ম্যাপিং’ না করতে পারলে বিশ বছর কি শিখলাম তাহলে? ফেরৎ দিতে হবে না?

দেশের জন্যই তো! থাকছেন তো সাথে?

Read Full Post »

“We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.” — Randy Pausch

১.

পকেট হাতড়ে আরো কিছু দিনার খুজলাম, চেষ্টা বৃথা গেল। অগত্যা কয়েকটা বই নামিয়ে রাখতে হলো। বাদামী চামড়ার মানুষের সমস্যা সহজেই বুঝে গেলেন মহিলা বিক্রেতা কর্মী। এই বইটাও ছিল তার মধ্যে। মনোকষ্ট বাড়তে থাকলো পরে, আস্তে আস্তে। বোর্ডিং ব্রিজের কাছে যেয়ে আরেকটা বই পাল্টে ওটা নিয়ে আসার কথা মনে হতে আর ফিরতে পারলাম না।

 ২.

বাইরের ইউনিভার্সিটিগুলোতে ‘শেষ বক্তৃতা’ নামে একটা চল প্রচলিত আছে। ছাত্ররা তাদের প্রিয় ফ্যাকাল্টির একটা বক্তৃতা শোনার জন্য ভার্সিটিকে অনুরোধ করে। বক্তৃতা দেবার সময় প্রফেসরদের ধরে নিতে বলা হয় জীবনের শেষ বক্তৃতা হিসেবে (কাল যদি আর না আসে, তাহলে কি উপদেশ রেখে যেতে চাইবেন), যাতে উনারা সারা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপদেশগুলো সংযোজন করেন। প্রফেসররা অনেক সময় তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা আর স্মৃতি রোমন্থন করতে যেয়ে আবেগঘন পরিবেশ তৈরী করে ফেলেন।

 ৩.

কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রান্ডি পাউশের ক্ষেত্রে এরকম ধরে নেবার কিছু ছিলনা। তার হাতে সময় ছিল না বললেই চলে। টার্মিনাল ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। প্রথম ক্যান্সারের আক্রমন থেকে পালাতে পারলেও পরেরটা আর ক্ষমা করেনি। এই কয়েক মাসের সীমিত টাইমলাইনে আগের দেয়া ‘শেষ বক্তৃতা’ সিডিউলটা রাখবেন, না পরিবারের সাথে শেষ কয়েকদিন কাটাবেন – দ্বিধায় পড়লেন রান্ডি পাউশ। তার অবর্তমানে স্ত্রী ‘জে’ আর তিন অবুঝ সন্তানের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করতেও হবে এর মধ্যে। ছোট মেয়ে ক্লয়ীর বয়স মাত্র বারো মাস।

 ৪.

“‘শেষ বক্তৃতা’র সিডিউলটা থেকে আমাকে ছেড়ে দেবে ইউনিভার্সিটি”, রান্ডি স্ত্রী ‘জে’কে বললেন, “তবে” দ্বিধান্বিত গলা, “আমি কাজটা করতে চাচ্ছিলাম।”

‘জে’ আর রান্ডি বাচ্চাদের নিয়ে পিটসবার্গ ছেড়ে ভার্জিনিয়াতে চলে এসেছে যাতে রান্ডির মৃতুর পর ‘জে’ তার সন্তানদের নিয়ে ‘জে’র পরিবারের কাছে থাকতে পারে। ‘জে’ রান্ডিকে ছাড়তে চাচ্ছিলেন না এই বক্তৃতার জন্য, কারণ তাকে যেতে হবে পিটসবার্গে, আবার।

“স্বার্থপর বলো আমাকে”, ‘জে’ বললেন, “এমুহুর্তে তোমাকে সবসময়ের জন্য চাচ্ছিলাম। যতটুকু সময় এই বক্তৃতা তৈরির পেছনে যাবে তা তো আর পাচ্ছি না আমি আর বাচ্চারা। রান্ডি বুঝে নিয়েছিলেন পুরো ব্যপারটা। সেজন্য, অসুস্থ হবার পর থেকেই সবার অলক্ষে অনেক রাত না ঘুমিয়ে ‘জে’ আর সন্তানদের ভবিষ্যত সহজতর করার চেষ্টা করছিলেন – যখন উনি আর থাকবেন না। রান্ডি শেষ পর্যন্ত সেই ‘শেষ বক্তৃতা’ দিলেন তার সন্তানের দিকে চেয়ে। অবুঝ বাচ্চাগুলোর জন্য বড় হবার উপদেশ রেখে গেলেন সবার মাঝে। অন্য পিতা মাতার মতো রান্ডিও চেয়েছিলেন তার অবর্তমানে সন্তানগুলো মানুষের মত মানুষ হয়।

৫.

মৃত্যুপথযাত্রী রান্ডি তার শেষ বক্তৃতাতে মৃত্যুর বিষয়টা সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। তার বদলে, অনেক মজার মজার গল্পের মধ্য দিয়ে শৈশবের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের পথ দেখালেন। শুধুমাত্র নিজের নয়, অন্যের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অলিগলি দেখাতে গিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে (বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে গেলেও) উপভোগ করার পদ্ধতি বাতলে দিলেন। নিজের পরিবার, ইউনিভার্সিটির সহকর্মী, ছাত্র আর যাদের সাথে কাজ করেছেন, তাদের সবার প্রতি আলাদাভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শৈলী দর্শক মনে রাখবে অনেকদিন।

৬.

বক্তৃতার তিন মাস পর ভিডিওটা ইউটিউবে পোস্ট করে কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটি। পুরো পৃথিবী হুমড়ি খেয়ে পড়ে দেখেছে তার মজার (উনি যতই মজা করেন, দর্শকরা ততই চোখ মোছেন), অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন, আবেগঘন ভিডিওটা। দেড় কোটিবার দেখা হয়েছে এ পর্যন্ত। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, রিডার্স ডাইজেস্ট থেকে শুরু করে সব নিউজ মিডিয়া তাকে “পারসন অফ দ্য উইক” বানালেও বই লেখার জন্য সাত মিলিয়ন ডলারের ‘বুক ডিল’ তার বক্তৃতাকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। টাইম মাগাজিনের  দুহাজার আট সালের একশ ‘মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল’ এর মধ্যে নাম চলে আসে রান্ডির। কম লোকই আশা করেছিল, বইটা উনি দেখে যেতে পারবেন।

৭.

বইটা বের হয়েছে। বইয়ের প্রচ্ছদটা তার শৈশবের স্বপ্নকে এমনভাবে দেখিয়েছে, বইটা হাত থেকে নামাতে কষ্টই হবে। ‘শেষ বক্তৃতা’ তার কর্মজীবনকে বেশি টানলেও বইটিতে তার নিজস্ব ধারণাগুলো আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। রান্ডি এক জায়গায় বলেছিলেন যে বইটাতে তার জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু গল্প আর তার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা সন্তানদের জন্য রেখে যেতে চেয়েছেন। বক্তৃতার সময়ে স্টেজে এই একান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আসলে, আবেগকে ধরে রাখা বেশ কষ্টকর হতো।

‘শেষ বক্তৃতা’র আট মাস পর রান্ডি পাউশ চলে যান পৃথিবী ছেড়ে।

তার তৈরী বিশ্বখ্যাত সিমুলেশন সফটওয়্যার ‘এলিস’ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার একটা অনন্য টুল। পরবর্তী প্রোগ্রামিং প্রজম্মের জন্য তৈরী এই টুল বিনামূল্যে দেবার জন্য ওরাকল, ইলেকট্রনিক আর্টস (ইএ), সান মাইক্রোসিস্টেমস, ডারপা, ইন্টেল, মাইক্রোসফট, ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন আরও অনেকে সাহায্য করছে।

Read Full Post »

Design Process, Explained!

To say that Dan and Didier are talented is to say Iceland is cold — Dave Shea, on Budget Design

Yes, I was reading Budget Design from Sinelogic. This 17 pages booklet is about producing quality interface (site design) under tight deadlines and low budget. Well, these two catch words are really very persuasive for developing creative work in weeks! For me, that’s sounds impossible. Cause, when I design something, or writing for techno magazines or code in CSS/C/C++, I leave it for days … and get busy doing something else. Yes, I know you might call it procrastination. Okay, I’ll leave that for another posting. Good example for procrastination? You tell me!

n595343771_748725_3081

This booklet is amazing even for the beginner. It’s all about discovering the clients needs, planning what and for whom you are developing for. Setting expectations for the time frame as client dictates and at the same time, clever recycling of design elements really speeds up the whole process of designing. The misconception starts from the time when you fire-up your graphics software not even consulting that plain old technique, a pencil and paper. Yes, it works so well that it can save a week time for the designers/coders for making css and what graphics to be used and those to be repeated or not. The whole designing process should start on paper, let others to talk about it, getting feedback from people around you (non techies are better) will lead to new revamp design. This book says it all!

I’m sure you can fill in the final word for the KISS acronym (“Keep It Simple Stupid” for those not indoctrinated with web designer’s talk). I do believe on that. Best would be, using CSS to replace huge graphics, cause it takes minutes to load, at least for dial-up users … and soothing and subtle design make visitors to stay little longer. Need some examples? Start here at stop design, simple bits and zeldman! My favourites, guys! But, wait, don’t dare clicking anywhere until you see this, this, this and this!

Read Full Post »

Personally, I don’t like robots, cause I’m close to that. Some might suggested being me an android, well, do I really care?

Yesterday, my brother Ehsan who is studying in UBC (University of British Columbia, Canada) has sent 3 HexBugs. While showing the working procedures to my children, I found the “Charlie Bug” wasn’t working. If I recall my daughter’s version, it is dead. One of her legs also got flatten due to the fact long haul flight’s luggage handling. This one [pink version] was destined for my daughter. I looked at her. The next thing I know, I have to fix it by night.

I googled for an hour or two, I could get the diagram and reassembled the clutch chassis to get it working right. But it opened up other possibilities what other HexBug hackers had been doing it. Well, all you need is an 8 pin, Microchip PIC microcomputer, might be few millimeters at length! Assembly codes?

Basic HexBug comes with limited “personality” or behavior to lower the cost. This tiny little six-legged robot will move forward until its antennae bump something, then it backs up and turns left. You will see loads of “bump and forward” toys, but it has real time legs, where it has to decide things.

The best part, you can add more personalities with a help of a micro-controller and numerous sensors to behave differently.

The possibilities are:

  • You can add a light detector, and can be programmed to get to the brightest place in your room.
  • The HexBug could eventually ‘go to sleep’ when it’s dark, and can always be active when it is morning.
  • The HexBug would be able to check its own battery voltage, and ‘Cry’ for newer batteries when it is hungry, or when it is running out of batteries.
  • This HexBug could get to ‘hibernated’ mode like our laptops instead of just being awake all the time. During sleep mode, the microcomputer barely uses any power.
  • It can talk if you add a piezo-buzzer, depending upon the environment you are making it to go through.
  • It can sing songs on your birthday and all Eid days!
  • If you could add a tiny solar cell, which is available, it can walk up to a brighter location to recharge when it finds out low voltages in its batteries.
  • If you could add an IR-control module, it can even talk to a TV remote!
  • You can add some programming to seek out a ‘gas/charging station’ that uses an IR transmitter to locate the station and recharge its batteries.
  • If you add IR Proximity sensors, it will never fall down from your table. Edge detection is pretty much required here.
  • Adding a GPS can add the functionality to send it to your friend’s house to deliver cards.

Actually, you can do almost everything using modern world electronics and sensors, welcome to the world of robotics!

Please feel free to visit this HexBug Hack site! If you ask my recommendation, Robotics Site at NASA should be the first one!

And, how about this?

Read Full Post »

Radio Goes Digital!

[Imported from my older radio programming blog, first published in 06/05/2004]

An unexamined life is not worth living. — Aristotle

I love listening to radio mosly when I’m out of Dhaka. Hmm, where haven’t I gone? Nilphamari*, Bandarban*? Glad you asked. Yes, that’s the beauty of my job … Hell, no! I love my job, cause it allows me reaching out almost all over Bangladesh and beyond and those cool expierences money can’t buy. Wherever I get to, my Sony ICF 7600 makes my day.

I’m still into shortwave listening for some beautiful stations covering our planet … mostly, Radio Netherlands, Deutsche Welle, CBC and BBC! Well, (sigh) I’ve tried those DAB (digital audio broadcasting) and DRM ( Digital Radio Mondiale) in Britain, Frankfurt and Singapore regions. Well, for the techies, you’d say, there is no point falling back and listen to FM radio. The difference between DAB and FM is what would be in AM and FM. I used to listen 3C, Continuous Cool Country, country music station in North East England and JK pop in Singapore (MediaCorp Radio, sg). They did a wonderful job connecting Nashville songs from there.

Software based DRM reciever …

However, DAB tuners are expensive, but if want to know what DAB can be at its best, tune into BBC Radio 3 where you won’t be able to tell the difference between a broadcast and a CD! True, guys!

And for DRM, … not those junk words like windows mediaplayer’s digital right management :-), when one considers that the DRM signal is on shortwave and uses the same radio spectrum as a conventional AM signal, then the results are really impressive. It does whole lot of compression in comparison to DAB (Eureka 147) and still sounds good. I must thank them for making a non-proprietary system for a universal digital system for the AM broadcasting bands below 30 MHz — shortwave, mediumwave and longwave.

IF Mixer, modified …

It has got a software radio project which will have the radio ready to provide a suitable output to your PC for decoding DRM. Like, if you have a old Sony ICF-7600 series short wave reciever like me, the receiver has a PLL synthesized tuning basis, but largely relies on analog circuitry for AM reception, using double conversion with IF1 = 55.845 MHz and IF2 = 450 kHz. So, you need to integrate the widely used DRM down mixer manufactured by Sat Schneider.

Yes, it is possible to install the DRM mixer circuit, hook up an output jack and install an external antenna connector and that 12 kHz DRM output signal will be hooked to the “line out” jack socket. The original audio output signal will be disconnected, as it is not of much use anyway. The signal is far below specs for “line out”. You will get all the modification instruction in this link. See … what are they saying about shortwave and reaching global? The beauty of shortwave! Period.

 

The world’s leading international broadcasters are part of DRM, so the early focus will be on HF bands. The great thing about the HF bands is that, potentially, the transmissions can go worldwide. Broadcasters such as BBC World Service, Radio Netherlands, Deutsche Welle, and Radio Canada International/CBC are already making pilot transmissions. National broadcasters will follow on the MF and LF bands.

DRM medium-wave and long-wave test and development networks already exist in Berlin and Halle, Germany and Dorset, UK.We do have the capability to respond to demand, if there is a lot of interest from a particular county, we can put on test transmissions for that country (that’s the beauty of short-wave!)This is why it is useful to us if you register on this site, so we can plan which areas of the world we need to make test transmissions to.

Well, I’ll be back with loads of detail on digital radio transmission pretty soon, specially, DRM on shortwave. Yes, I love shortwave. Until then happy DRMing!

* They are the farthest cities of Bangladesh

Read Full Post »

Basic Turns 40!

[Imported from my older programming blog, first published in 6/7/2004]

Make your life extraordinary. — Dead Poets Society

Remember BASIC? Recently, Computer world had talked about Basic, originally an acronym for Beginners’ All-purpose Symbolic Instruction Code, which turned at the age 40. Good heavens! I still remember those commodore days (yes, it was my friend’s C64, he was a games fanatic! Still he is!) … doing some games programming using GOTO, PRINT, LIST, SAVE, RUN, END etc.

I used to get perplex with those “SYNTAX ERROR” prompts practicing with a basic manual supplied with his commodore. BASIC’s GOTO’s were somehow easy to relate to when I was a computer newbie. It is just like “go to step X” or “see page X” in those sound and graphics programming. Of course, getting hooked on BASIC was not a good outcome. We used to fight all day! What was the year then? 1984-86? My friend texted me back without replying my query.

The commodore manual has some exciting programming samples like turning C64’s keyboard into synthesizer, creating chopper’s sound … etc, etc! It was really a cool machine! “Hmm, was BASIC easy?” I hear you saying that. Okay, here is a sample gw-basic code which produce the blast-off sound of a rocket! Well, you don’t have to be a rocket scientist for coding this silly 4 lines!

10 REM ****** Rocket Blastoff ********
20 FOR FREQ% = 50 TO 1150 STEP 50
30 SOUND FREQ%,.5
40 NEXT FREQ%
50 END

Read Full Post »

Perhaps, it was beginning of 2003 and felt like dying to come home. Six l-o-n-g months in US was surely difficult, when you had left two months daughter back home in Bangladesh. I had to do something right to pass evening time! Then, I thought of indulging myself developing a full-text search engine using MySQL and PHP libraries. That was the point where I actually needed Google’s limited search capability from and within my scripts. And to my utter surprise, the same year, Google opened up it’s core engine for developers using it for every possible imaginable things!  This has been done through Google’s web API. [“API” stands for Application Programming Interface]

This actually means that we all can develop scripts accessing the Google search engine in real-time. At that time, Google had more than 3 billions data indexed. For example, I could query all pages containing “raqueeb hassan”, and output the page-count. You can try every other things.

I could successfully pass the scripting test with this write-up as by product. There was a time, when I tend to write my heart’s out, to share beautiful things as I’m exposed to.

There was a time when I used to code couple of years back and … I still live for those moments when everything falls into place and just works beautifully and I know that I created it.

Here follows one of my write-ups; it was published in Computer Tomorrow by the end of year 2003 or early days of 2004.

Google Web API [Primary]
Google Web API [Mirror]

[Most of my Bangla write-ups were drafted before 2006, I didn’t have much time converting the older fonts to unicode compliance mode, but you can always view this supplied scribd document, fonts are embedded]

Read Full Post »