Again, you can’t connect the dots looking forward; you can only connect them looking backward. So you have to trust that the dots will somehow connect in your future. You have to trust in something — your gut, destiny, life, karma, whatever. This approach has never let me down, and it has made all the difference in my life.
– Steve Jobs
২০.
এই ব্যাপারটাই হচ্ছে ‘কানেক্ট দ্য ডট’। আর সেটা বুঝেছি চল্লিশের পর এসে। অথচ, সেটা বিশ বছর আগে বুঝলে হয়তোবা যেতাম অন্যদিকে। তার মানে এই নয় যে আমি যেখানে আছি সেখানে সাফল্য পাইনি। তবে, এখন বুঝি, মনের টান থেকে যা যা করেছি সেগুলোর শুরুটা অথবা মাঝপথে হাজারটা বিপদে পড়লেও উতরে গিয়েছি মনের টানে। আসলে সেটা মনের টান নয় বরং ওই জ্ঞানগুলো ‘কানেক্ট’ করে আমাকে নিয়ে গেছে নিয়ে গেছে সাফল্যের কাছে।
২১.
এটা ঠিক যে বিশ বছর আগে গিয়ে কিন্তু যুক্ত করা যেতো না কাজগুলোকে। কোন কাজগুলো আপনাকে সাফল্য দিয়েছে সেটা বোঝা যাবে পরে এসে – পেছনে ফিরে। আর সেকারণে আজ আমার বয়স বিশ হলে আমার মন যেটা টানতো সেটা নিয়েই পড়ে থাকতাম বছরের পর বছর। আজ বুঝি, যেটা ভালোবেসে ছিলাম সেটাই পেরেছি করতে। অনেক ঝামেলার পরও। হয়তোবা বিপদে পড়েছিলাম – কিন্তু সেটা একটা সময়ের জন্য। সাফল্য পাওয়া মানুষগুলোকে ‘অ্যানালাইসিস’ করেও দেখা গেছে একই গল্প। আমার সাফল্য তাদের তুলনায় নগণ্য হলেও ট্রেন্ড বুঝতে অসুবিধা হয়নি কিন্তু।
২২.
আমার একটা নিজস্ব থিওরি আছে এ ব্যপারে। জীবনটাকে ধরে নিয়েছি একটা ক্যানভাস হিসেবে। জন্মেই ক্লীন স্লেট। কথা বলা, হাটতে শেখা হচ্ছে এক একটা বিন্দু। যতো নতুন নতুন জিনিস শিখবো ততো নতুন বিন্দু যোগ হবে ওই ক্যানভাসে। যতো বেশি জিনিস শিখবো ততো বিন্দুগুলো চলে আসবে একে অপরের কাছাকাছি। নিজে থেকে ‘কানেক্ট দ্য ডট’ করার প্রয়োজন হবে না তখন। আবার, একেকটা বিন্দু অন্য বিন্দুর যতো কাছাকাছি হবে ততো সেগুলোর কনটেক্সচুয়াল ইনফ্লুয়েন্স বাড়বে। আর সেকারণে আশেপাশের কয়েকটা বিন্দুর জ্ঞান থেকে তৈরি প্রজ্ঞা সমাধান দেবে বাকি ‘আন-রিজল্ভড’ সমস্যার। মনে আছে ওই রিসার্চটার কথা?
২৩.
বড় বড় দুরূহ, অসম্ভব জটিল আর লম্বা প্রজেক্টগুলোকে চালানোর কৌশল শুরু হয়েছে এই বিন্দু থেকে। প্রথমে প্রজেক্টটাকে ছোট ছোট ভাগে (মাইলস্টোন) ভাগ করে ডিপেন্ডেন্সি দেখে নেয়া হয়। ধরা যাক, বিন্দু ‘ক’ থেকে ‘খ’, ‘গ’ থেকে ‘ঘ’ আর ‘ঘ’ থেকে ‘ঙ’ করতে যে প্রযুক্তি প্রয়োজন তা বর্তমানে উপস্থিত অথবা, সময়ের মধ্যে তৈরী করে নেয়া যাবে। কিন্ত, ‘খ’ থেকে ‘গ’ অংশটা কিভাবে হবে তার সমন্ধে কারো কোনো ধারণাই নেই। প্রজেক্ট শুরু হয়ে যাবে, ‘খ’ থেকে ‘গ’ অংশটা কিভাবে হবে তা বাকি প্রজেক্ট এর গতি কমাবে না। সবসময়ে দেখা যায় (পরীক্ষিত বটে), বাকি অংশগুলো হবার সময় যেহেতু প্রজেক্টটা বের করে নিতেই হবে, অন্য অংশের উপলব্ধিগুলো জড়ো হয়ে অজানা অংশটুকুও বের করে নিয়ে আসে।
আমি কি চাই, তা ঠিক মতো পিনপয়েন্ট করে – বিশ্বাস করে লেগে থাকলে তা পাওয়া যাবেই। বিশ্বাস করলেই করা যাবে সবকিছু। ‘কানেক্ট দ্য ডট’ থেকে এটা না শিখলে পরে পস্তাবেন অনেকেই।
[ক্রমশ:]