To understand God’s thoughts we must study statistics, for these are the measure of his purpose.
― Florence Nightingale
জানতে চাইলাম বন্ধুর কাছে। বলতো, কি করছিস এই ‘মেশিন লার্নিং’ দিয়ে? মানে তোদের এই ডাটা সেন্টারে? বন্ধুর বন্ধুর বন্ধু কাজ করে ডাটা সেন্টারে। ওমা, অবাক হচ্ছেন? এটা তো নেটওয়ার্কিংয়ের যুগ। সবশেষে সবাই বন্ধু। যে যাই বলুক, আপনার থেকে আমার সম্পর্ক থাকবে ওই তিন ডিগ্রীতেই।
গিয়েছিলাম অ্যাশবার্ন বলে একটা শহরে। আরেক বন্ধুর কাছে। শহরটা পড়েছে নর্দান ভার্জিনিয়াতে। নিউ ইয়র্ক থেকে পৌঁছে দিয়েছিলো আরেক বন্ধু। ক্যাডেট কলেজের বন্ধু বলে কথা। গিয়ে পড়লেই হলো – বাকি চিন্তা তাদের।
শিকাগো থেকে নেমেছি ‘জেএফকে’তে। এয়ারপোর্ট থেকে তুলে বাসায় আমাকে খাইয়ে রওয়ানা দিয়েছি সবাই মিলে। পৌঁছেছি রাত একটায়। বন্ধুর বউ বলে কথা। ‘মুভিং হাউজে’ ওই রাতেই চব্বিশ ঘন্টার শপে বাজার করে খাওয়া দাওয়া। ছোট্টবেলার ঈদের দিনের মতো। এটাই হচ্ছে বন্ধুত্ব। বন্ধুর একটা কথা মনে কেটেছে বেশি। অতিথি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার ‘ব্লেসিংস’। সবাই পায় না। মানি কথাটা। এখন।
তবে বিপদ অন্যখানে। ওখানে যাবার আগে জানা ছিলো না – কি কারণে বিখ্যাত শহরটা। এখন জানি, ৭০ শতাংশের বেশি পৃথিবীর ইন্টারনেট ট্রাফিক যায় এই নর্দান ভার্জিনিয়া দিয়ে। এর কারণ বেশ কয়েকটা। দ্বিতীয় কারনটা জানে সবাই। আমাজনের ‘এডাব্লিউএস’ মানে আমাজন ওয়েব সার্ভিসের গোড়াপত্তন হয় এখানে। ২০০৬য়ে। এখন বলুন, কে নেই এই ‘এডাব্লিউএস’য়ে?
‘নেটফ্লিক্স’ই তো নিজেই খেয়ে ফেলেছে অনেক বড় স্পেস। আর, নেটফ্লিক্স চালায় মুভি, রিয়েলটাইমে। মানে আমাজনকে কতো বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে হাই-ডেফিনেশন মুভি মানুষের বাসায় ডেলিভারি দিতে। এখন বুঝি ‘এডাব্লিউএস’ বসে যাওয়া মানে পৃথিবীর অধিকাংশ ইন্টারনেট সাইটগুলো বসে যাওয়া। ইনস্টাগ্রাম, ইউনিলিভার, জিই অয়েল এন্ড গ্যাস, কেল্লগ, টিন্ডার, গিটহাব আরো কতো কি চলছে এই ক্লাউডে।
ইন্টারনেটের ‘হৃদয়’ হবার পেছনে ঘাটতে গিয়ে দেখা গেলো আরো অনেক কথা। বড় বড় ইন্টারনেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী হয়েছে এই শহরে। ওই আশির দশকে। মনে আছে এওল, আমেরিকা অনলাইনের কথা? ‘এমসিআই’ অথবা ‘ইউইউনেটে’র বিশাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার শুরু হয়েছে এই শহরে। শহরটা দেখতে কিছুটা গ্রামের মতো। তবে, রাস্তার বাঁকে বাঁকে পুরানো পুরানো বিল্ডিং। জানালা ছাড়া। তাও আবার রাস্তা থেকে বেশ দুরে দুরে। দেখতে কিছুটা পুরানো ওয়্যারহাউসের মতো। ওগুলোই সব ডাটাসেন্টার। হাজারে হাজার।
উত্তর পেলাম প্রশ্নের। মেশিন লার্নিংয়ের। আমাদের হার্ডড্রাইভ নষ্ট হলে কি মনে হয় আমাদের? তাহলে কি হবে ডাটা সেন্টারের? মিররিং – রেইড ৫, যতোই গল্প থাকুক না কেন, হার্ডড্রাইভ হচ্ছে হার্ডড্রাইভ। বদ জিনিস বদই। স্টোরেজ হিসেবে হার্ডড্রাইভগুলো কখন ঝামেলা করবে সেটার ‘প্রেডিকশন’ নিয়ে কাজ করে এই মেশিন লার্নিং। এখন হার্ডড্রাইভ মানে, ‘মরবি তো মর – জানান দিয়ে মর’। ওই মরার আগেই পাল্টানোর সময় জানিয়ে দিচ্ছে এই মেশিন লার্নিং।
প্রথম কারণ? আপনি বলবেন – না আমি?
[…]
Read Full Post »