Feeds:
Posts
Comments

Archive for the ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ Category

ছোটবেলার একটা মুভি ভয়ঙ্করভাবে দাগ কেটেছিলো মনে। সেটার রেশ টেনে বেড়াচ্ছি এখনো। মুভিটার প্রোটাগনিস্ট ছিলো ‘হ্যাল’, একটা সেন্টিনেন্ট কম্পিউটার। ঠিক ধরেছেন, মুভিটার নাম ছিল ‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডেসি’। মানুষ আর ‘চিন্তা করতে পারা’ যন্ত্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আমরা দেখেছি ওই মুভিটাতে।

শত বছর ধরে ইন্টেলিজেন্ট মেশিনের খোঁজে মানুষের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা দেখছি অনেক কিছু। আইরনম্যানের জার্ভিস, টার্মিনেটর, নাইট রাইডারের ‘কিট’ পার্সোনালিটিগুলোর প্রতি আমাদের ব্যাকুলতা অথবা উৎসুক ভাব একটা পাওয়ারফুল আইডিয়া। যন্ত্র মানুষের মতো চিন্তা করতে পারছে কি পারছে না অথবা চিন্তা করতে পারার মতো যন্ত্র তৈরি হচ্ছে কি হচ্ছে না – সেটা থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে মানুষ হাল ছাড়ছে না এই আইডিয়া থেকে। আমিও ব্যতিক্রম নেই সেক্ষেত্রে। যন্ত্রের ওপর আমার অতিরিক্ত নির্ভরতা সেটার একটা বহিঃপ্রকাশ।

অবশ্যই আমরা চাইছি যন্ত্র যাতে আমাদের মতো করে চিন্তা করতে পারে। সেটার বহিঃপ্রকাশ দেখছি সেলফড্রাইভিং কার, লং হ্যল ফ্লাইট যেখানে অধিকাংশ সময় সিস্টেমের দেখভাল করছে রুল বেজড যন্ত্র, এর মানে হচ্ছে আমরা চাইছি যন্ত্র সহযোগী হিসেবে দাড়াক আমাদের পাশে। হাত লাগাক সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে। সাহায্য করুক সরকারি সার্ভিস ডেলিভারিতে। সময় কমাতে। ডাক্তারকে সাহায্য করতে সঠিক ডায়াগনস্টিকস দিয়ে। মানুষের সাহায্যে।

আমরা যেভাবে চিন্তা করি সেটার অনেক কিছুই দিয়ে দেয়া হয়েছে যন্ত্রকে। একটা এলিভেটর ঠিক কোন সময় পর্যন্ত কল নেবে, অথবা উপরে ওভারলোডেড হলে বাইরের কলে প্রতিটা ফ্লোরে দাড়াবে কিনা, অথবা অনেকগুলো এলিভেটর হলে কোন এলিভেটরটা প্রক্সিমিটি, কলের হিসেব ধরে আপনার ফ্লোরে সবচেয়ে কম সময়ে এসে দাড়াবে সেটা এখন নিত্যদিনের হিসেব।

যেহেতু থিঙ্কিং মেশিন, এর মানে ইন্টেলিজেন্সটা সিন্থেটিক – সেকারণে আমাদের আলাপের মূল বিষয় “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে, শুরুতে মেশিনকে শেখানোর ব্যাপারটা এখনো ধোঁয়াশা আছে এখনো। আর সেকারণে এই বই। সিরিজ হিসেবে।

বাংলায় ডিপ লার্নিং নিয়ে বই না থাকায় বইটার ব্যাপারে এক্সপেকটেশন বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। কমপ্লেক্সিটি ফেলে দিয়ে অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন গাইডলাইনের ভেতরে থাকতে চেষ্টা করেছি প্রথম সংস্করণে। অতিরিক্ত ইংরেজির ব্যবহার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


বইটা পাওয়া যাবে “রিড ফার্স্ট, বাই লেটার” কনসেপ্টে। পুরো বইটা আছে অনলাইনে

Read Full Post »

প্রচুর ‘লিফটে’ চড়তে হয় আমাদের। দেশের ‘স্পেস ম্যানেজমেন্ট’ করতে হলে অনেক অনেক তলার বাড়ি তৈরি হবে সামনে। সিঙ্গাপুর আর বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য সামান্য। বহুতলে যেতে হবে আমাদেরও। যতো তাড়াতাড়ি, ততো ভালো। আমাদের ওই ‘লিফট’, অনেকের ভাষায় ‘এলিভেটর’ হবে আমাদের জীবনের সঙ্গী। মানুষ কিন্তু বহুদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছে এই জিনিসের দ্বায়িত্ব। ছেড়ে দিয়েছে যন্ত্রের ওপর। বলেছে, লিফটম্যানের দরকার নেই আর।

এক ফ্লোরে দশটা লিফট থাকলেও এক বাটনে চলে সবকিছু। কোনটা আগে আসবে সেটা নির্ভর করে যন্ত্রকে শেখানো লজিকের ওপর। কাছের লিফটটাই যে আসবে সেটা নয় কিন্তু। বরং কোনটাতে কতো বেশি রিকোয়েস্ট আছে তার ওপর। এটা কিন্তু জানে না আর লিফটের সামনের মানুষগুলো। জানে লিফট।

কি হতো আগে? দশটা লিফট। সবার বাটন আলাদা। আমাদের মতো মানুষ চাপ দিয়ে রাখতাম সবগুলোতে। যেটা আগে আসে। অথচঃ চিন্তা করি না, আমার জন্য ওই দশটা লিফট থামছে ওই ফ্লোরে। একটাতে উঠলেও বাকি নয়টা বেশ বড় একটা সময় নষ্ট করলো বাকি ফ্লোরের মানুষগুলোর। কতো বড় ইন-এফিসিয়েন্সি।

আবার, লিফটম্যান ছাড়া এই মানুষ চড়তো না লিফটে। আমি দেখেছি নিজে। প্রথম দিকে। ভয় পেতো – যদি আটকে যায় লিফটে? যদি দরজা না খোলে? যদি চলে যায় পাওয়ার? যদি পড়ে যায় নিচে? এটাই স্বাভাবিক। শুরুর দিকে। যন্ত্রকে বিশ্বাস বলে কথা। এখনো দেখি লিফটম্যান এই বাংলাদেশে। কষ্ট লাগে তখন। আপনি বলবেন – কিছু তো করে খেতে হবে তাকে। আমার কথা, আছে তো আরো অনেক কাজ। যেখানে দরকার ‘স্কিলসেট’। যেখানে দরকার মানুষকে। মাথা খাটানোয়। ওভাবে চলে আসে – তাদের কথা। রিকশা চালাচ্ছেন যারা। রিহাবিলেটেশন করা দরকার তাদের। অন্য স্কিলসেটে। মানুষের মতো কাজে।

[…]

Read Full Post »

Constant kindness can accomplish much. As the sun makes ice melt, kindness causes misunderstanding, mistrust and hostility to evaporate.

— Albert Schweitzer

এটা ঠিক যে ট্রান্সপোর্টেশন ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে লাগাচ্ছে কাজে, সফলতা চলে এসেছে তাদের হাতের মুঠোয়। প্রায় পুরোপুরি। তবে ভেতরের কাহিনী কিছুটা ভিন্ন। প্রযুক্তি এগিয়েছে যতোখানি – মানসিকতা আগায়নি ততোটা। কথা বলছিলাম আমাদের মানসিকতা নিয়ে। মানুষের। ধরা যাক এই আমাকেই।

মাস কয়েক আগের কথা। সান-ফ্রান্সিসকোর এক রাস্তা। চালাচ্ছিলো আমার বন্ধু। হঠাৎ চোখে পড়লো পাশের গাড়ির ওপর। একটা সেলফ ড্রাইভিং কার। বসে আছেন মহিলা একজন। ড্রাইভিং সিটে। হাত তুলে সিগন্যাল দিলেন আমাদের। বোঝাতে। ওই ভিডিওটার মতো। ‘লুক মা, নো হ্যান্ডস!’ স্টিয়ারিং হুইল ঘুরছে নিজে নিজে। ভয় পেলাম বরং। দুটো গাড়ির গতি তখন বেশ বেশি। যা হয় ইন্টারস্টেটের রাস্তায়। চিন্তা হলো – যদি বাড়ি দেয় গাড়িটা? বন্ধুকে বললাম পিছিয়ে পড়তে। সেফটির চিন্তায়। হাসলো বন্ধু। এক্সেলেটর ছেড়ে দিলো কিছুটা। মানে হচ্ছে, সেলফ ড্রাইভিং কার প্রজেক্টে একটা বড় টাকা খরচ হবে মাইন্ডসেট পাল্টাতে। এই পুরোনো আমাদের।

যন্ত্রকে বিশ্বাস করা যাবে কিনা সেটা নিয়েই চলবে গল্প। বহুদিন ধরে। কিছুটা ‘ইগো’র ব্যাপার আছে এখানে। আমাদের মানুষের। যন্ত্রের ‘মোরাল ভ্যালু’ নিয়ে উঠবে কথা। ধরুন, গাড়িতে আছেন আপনি। চলছে গাড়ি। হঠাৎ করেই চলে এলো একজন মানুষ। গাড়ির সামনে। ক্রসিংয়ের লাল বাতি জ্বলার আগেই। ওই মানুষটাকে কাটাতে হলে আপনাকে টার্ন করতে হবে বাঁয়ে। অথচঃ বাঁয়েই আছে আরেকটা লরি। ওখানে লাগলে আপনার বিপদ। এখন কি করবে যন্ত্র?

আমার উত্তর – যেভাবে ওকে ট্রেনিং করাবেন মডেলের ডাটা দিয়ে। সেখানে মোরাল ভ্যালুর একটা কনস্ট্যান্ট থাকবে আগে থেকে। ওই ‘ফাইন লাইন’ থেকে কতোটুকু বিচ্যুতি নেবেন সেটা থাকবে মানুষের কাছে। আমার ধারণা, মানুষকে এই যন্ত্রকে বিশ্বাস করানোর জন্য বিশাল ক্যাম্পেইন চলবে অনেকদিন ধরে। সেখানে এখন আছে ইন্ডাস্ট্রি। ট্রান্সপোর্টেশন, অ্যাভিয়েশন, হাই-টেক সবাই মিলে। সরকার আসবে কিছু পরে। সরকার তো কিছু নয়, এর পেছনে আছে কিছু মানুষ।

ভয় কাটবে একসময়। মানুষ আর যন্ত্রের চালানোর হিসেব নিয়ে বসবে মানুষ। কার ক্ষয়ক্ষতি কেমন। স্বাভাবিকভাবেই চলে আসবে যন্ত্রের আধিপত্য। ভয় পাবার কিছু নেই এখানে। এটা হবেই। আমার কথা একটাই। যেখানে যার কাজ করার কথা, সেখানে কাজ করবে সেই। ‘ড্রাইভিং ট্রাইভিং’ যন্ত্রের কাজ। অনেক শহরের পাবলিক ট্রানজিট সিস্টেম চালায় মেশিন লার্নিং। শুরু হয়েছে ছোট ছোট মডেল দিয়ে। বড় বড় অ্যাভিয়েশন হাব চলছে ওই যন্ত্রের ওপর। লম্বা ফ্লাইটগুলো চলে গেছে অটো পাইলটে। সবাই জানে – মানুষের কাজ অন্য।

[…]

Read Full Post »

True love stories never have endings. – Richard Bach

কথা হয় অনেকের সাথে। এই সিরিজ লেখার পর থেকে। বিশেষ করে এই ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে। প্রশ্ন থাকে অনেকের। বেসিক কিছু বিষয় নিয়ে। একটা কমন প্রশ্ন নিয়ে বলি বরং। প্রশ্নটা কিছুটা এমন – ‘এআই’য়ের প্রসার বেশি কোন ‘ডোমেইনে’? বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক ‘ডোমেইন’য়ের ভাগটা আসে ওই একেকটা সেক্টর থেকে। অনেকের ভাষায় – ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ থেকে লাভ পাচ্ছে কোন ইন্ডাস্ট্রি? অথবা ‘এআই’য়ের সুবিধা নিচ্ছে কোন পার্টি? এই সময়ে?

চমৎকার প্রশ্ন। ‘কমিউনিকেশন সিকিউরিটি’ নিয়ে কাজ করি বলে এই জায়গার প্রসার চোখে পড়ে বেশি। আবার, পিছিয়ে নেই কিন্তু কম্পিউটার ‘গেমস ইন্ডাস্ট্রি’। আত্মীয় স্বজন ‘হেলথ কেয়ার’য়ে আছেন বলে শুনতে পাই ওদিকের হাজারো অ্যাপ্লিকেশনের গল্প। ওই ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে। এদিকে ফাটিয়ে দিচ্ছে ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ ইন্ডাস্ট্রি। প্রচুর অ্যানিমেশন, আরো কতো কি! নায়ক নায়িকার নিখুঁত চেহারা দেখলে ধক করে ওঠে বুক।

যে যাই বলুক, আমার মতে – দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে একটা ইন্ডাস্ট্রিতে। ব্যাপারটাকে ‘সিরিয়াসলি’ নিয়েছে হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিগুলো। ভেতরে ভেতরে চালানো টেস্টগুলোর ‘রেজাল্ট’ অভাবনীয়। আর তাই বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট আসছে মাইন্ডসেট পাল্টাতে। মানুষের। আমাদের রেগুলেটরদের। টেস্টগুলো দেখিয়েছে দুটো জিনিস। যন্ত্রের পারফরমেন্স ভালো আমাদের মতো মানুষ থেকে। আর, ওই যন্ত্রের কাছে ‘মানুষের নিরাপত্তা’ মানুষ থেকে অনেক ভালো।

ঠিক ধরেছেন। ট্রান্সপোর্টেশন ইন্ডাস্ট্রি। সেলফ ড্রাইভিং কার।

আর তাই শেখা হয়নি ড্রাইভিং। ভালোভাবে। চালানোর মতো। এই ঢাকার রাস্তায়। ড্রাইভিং হচ্ছে ‘লো-টেক’ কাজ। ওটা করবে যন্ত্র। আমাদের মতো করে। আর আমরা যাবো পৃথিবীর সমান ওই সাতটা গ্রহে। বেড়াতে। জানতে। উত্তর খুঁজতে – কেন এসেছি দুনিয়ায়?

সইছে না যে তর।

[…]

Read Full Post »

Real stupidity beats artificial intelligence every time.

— Terry Pratchett

চার বছর আগের ঘটনা। বাসার গাড়িটা সমস্যা করছে বেশ কিছুদিন ধরে। সমস্যাটা একটা চাকায়। ঠিক করলাম – ফেলবো পাল্টে। ফোন দিলাম দোকানে। চাকার ক্যাটাগরি/পার্ট নম্বর জানতে চাইলেন উত্তরদাতা। ঠিকই তো। জানা উচিত ছিলো আমার। পড়লাম বিপদে। গাড়ি তো এখন বাইরে। না ফেরা পর্যন্ত গেলাম আটকে। আগের বারও দোকানদার জিগ্যেস করেছিলেন এই জিনিস। আবছা করে মনে আসছে কিছু সংখ্যা। তবে, বলতে পারছি না সেটা নিশ্চিত করে।

খুব ভুলোমন আমার। মনে রাখতে পারি না আগের মতো। স্বাতী’র ওপর দিয়ে যায় তখন। আজকেও ঘটেছে একটা জিনিস। জুমা’র নামাজে যাবার আগের মুহূর্ত। একটা বই পড়ছিলাম সকাল থেকে। তখন থেকেই ঘুরছিলো জিনিসটা মাথায়। পাঞ্জাবি পরার জন্য মাথা না ঢুকিয়ে প্রায় পা তুলে ফেলেছিলাম তখন। ভাগ্যিস কেউ বোঝেনি ব্যাপারটা।

ভুলোমনের জন্য সাহায্য নিতে হয় প্রযুক্তির। দরকারী কাগজ, বিল, ভিজিটিং কার্ড, কার্ড স্টেটমেন্ট – হেন জিনিস নেই যেটা যায় না গুগল ক্লাউডে। একটা নির্দিস্ট পিক্সেলের জন্য আনলিমিটেড স্টোরেজ, ভাবা যায়? মনে পড়লো আগের ঘটনা। গাড়ি চাকা পাল্টানোর সময় তুলে রেখেছিলাম ছবি। আগের চাকার। তাও আবার ওই সময়ের মোবাইলে। নাম দিয়ে তো সেভ করিনি জিনিসটা। তো – বের করবো কি করে?

চালু করলাম ‘ফটোজ’ অ্যাপ। গুগলের নেটিভ সার্ভিস। তখনি ছিলো লাখ খানিকের মতো ছবি। লিখলাম ‘কার টায়ার’। মুহূর্তেই চলে এলো ২০০৯য়ের তোলা দুটো ছবি। গাড়ির চাকার। নম্বর সহ। সঙ্গে এলো আরো কয়েকটা ছবি। মনে পড়ল একটা তুষার ঝড়ের কথা। ওয়েস্ট কোস্টে থাকতে। গাড়ির চাকাতে লাগানো হচ্ছিলো স্নো চেইন। লাগাচ্ছিলো আমার বন্ধু। রাস্তাতে পিছলে যাবার ভয়ে। সেটার ছবি তুলেছিলাম ওই সময়ে। কোন জিনিস ভোলেনি গুগল।

চেষ্টা করতে পারেন আপনিও। চালু করুন ‘ফটোজ’ অ্যাপ। লিখুন ‘বার্থডে’। দেখুন, চলে এসেছে বাচ্চাদের নিয়ে সব ছবি। জন্মদিনগুলোর। পিক্সেলও বোঝে কোনটা কেক, কোনটা বেলুন। মোমবাতিসহ। জানে জিনিসগুলোর ‘আসপেক্ট রেশিও’। তাদের প্লেসমেন্ট। মজা আছে আরেকটু। সামনে ওই মোমবাতি গুনে আপনাকে জানাবে – কতো বয়সে পড়ল মেয়েটা আপনার। যারা বয়স মনে রাখতে পারে না তাদের জন্য এটা একটা লাইফসেভার! কেকের ওপর লেখাও মনে রাখছে সে। ওই ছবিতে থাকছেন কারা কারা? আর, কারা কারা থাকছেন প্রতিবছর? কেকটা কোন দোকানের, এবছর? আগের বছরগুলোতে? সেটাকে কাজে লাগাবে সামনে। আস্তে আস্তে। সত্যি!

ইমেজ প্রসেসিংয়ে কি তুলকালাম কান্ড ঘটছে সেটার কিছু ধারণা পাচ্ছেন সবাই ফেসবুকে। ছবি আলো আধারি – দাড়ি ছাড়া বা সহ, ক্যাপ সহ অথবা ছাড়া, সানগ্লাস সহ বা ছাড়া। কোনকিছুতেই চিনতে ভুল করছে না আপনাকে। এই ফেসবুক। এটা মাত্র ‘টিপ অফ দ্য আইসবার্গ’। তো পিচ্চি কালের ছবি? চিনবে তো? আপনার কি মনে হয়? মনে রাখবেন, ফেসবুক এমন কিছু করবে না যাতে ভয় পেয়ে যায় মানুষ।

[…]

Read Full Post »

A year spent in artificial intelligence is enough to make one believe in God.

– Alan Perlis

সমস্যার শুরুটা ওখানে। ওখানে মানে ওই আইভরি কোস্টে। পরিবার ছাড়া একলার সংসার। ইউ এন কম্পাউন্ডে। মাঝে মধ্যে চলে আসে অফুরন্ত সময়। বিশেষ করে উইকেন্ডে। কী করি, কী করি? দেখতে চাইতাম দেশটাকে। তবে, হটাৎ করেই চলে এলো হতচ্ছাড়া ইবোলা ভাইরাস। আটকে গেলাম কম্পাউন্ডের ভেতর। সে অনেক কাহিনী।

তড়িঘড়ি করেই বের করে ফেললাম কাজ। বেশ কয়েকটা। এদিকে আউটসোর্স করে দিলাম খুঁটিনাটি তবে ফালতু কিছু কাজ। যেমন ধরুন, রুমের সব বাতি আর এসি। গানের সরঞ্জামাদি। সব নিয়ে এলাম আলাদিন দৈত্যর আওতায়। অর্ডার করি বাতাসে, হয়ে যায় কাজ। মশারির ভেতর থেকে অর্ডার চলে আমার। কে নেমে হেঁটে যাবে সুইচে? বরং, হাই তুলে বলি – ‘মেইন লাইট অফ।’ ‘ডিম লাইট অন।’

ব্যাপারটা তেমন কিছু না। ‘জ্যাসপার’ নামে একটা প্ল্যাটফর্ম আছে ‘গিটহাবে’। হোম অটোমেশন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে নাম কুড়িয়েছে জিনিসটা বেশ। ‘ভয়েস রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার কথা শুনবে সে। যা বলবেন সেটার একটা ‘অর্থপূর্ণ’ আউটকাম দেখানোই তার কাজ। পুরোটাই করা পাইথনে। আর সেখানেই এর কারিশমা। আমাদের আয়রন-ম্যানের ‘জারভিস’য়ের মতো খানিকটা।

ভেতরে আর না যাই। ধরুন, বাসার মূল বাতিটা জ্বালাবেন। বললাম, ‘মিনা’। মিনা হচ্ছে একটা কীওয়ার্ড। নাম ধরে ডাকলে কান খাড়া করবে ইন্টারফেস যন্ত্র। পরের শব্দগুলো হচ্ছে আরেক যন্ত্রের নাম, আর ‘কি করতে হবে’। এক কথায় ‘অ্যাকশন ওয়ার্ড’। বললাম – ‘মিনা, মেইন লাইট অফ’। ঘরে আছে আরো কিছু বাতি। আর সেজন্য ধরলাম বড় বাতিটাকে। কি কাজ? অন, জ্বলো।

তবে, পুরো ব্যাপারটা কিছুটা স্ট্যাটিক। এখানে যন্ত্রের নাম, ‘কাজ’ আর তার সিকোয়েন্সগুলো না জানলে বিপদ। ধরুন, বন্ধু এলো ঘুরতে। আমার বাসায়। সে তো জানবে না কোন জিনিসটার কি নাম দিয়েছি। বা, ওই যন্ত্রগুলোকে। আর কাজের কি ধরনের কীওয়ার্ড। সে হয়তোবা জানে ‘মিনা’র ব্যাপারটা। সে বলে বসলো – ‘মিনা, টার্ন দ্য লাইট অফ।’

মিনা কি কিছু করবে?

অথবা –

মিনা, কুড ইউ প্লীজ সুইচ অফ দ্য লাইট?

বা,

মিনা, স্লীপ টাইম।

এমন হতে পারে এই প্রতিটা ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারে আমাদের ‘জ্যাসপার’। তবে, হ্যাঁ, কথা আছে একটা। যতো ধরনের কম্বিনেশন দরকার ওই কাজে, যদি সেটা দেয়া যায় ঢুকিয়ে। আগে থেকে। সেটা কোন ‘এফিসিয়েন্ট’ মডেল নয়। কেমন হতো – যন্ত্র যদি শিখতো নিজে থেকে? সময়ের সাথে।

[…]

Read Full Post »

The reader does not start by knowing what we mean. If our words are ambiguous, our meaning will escape him. I sometimes think that writing is like driving sheep down a road. If there is any gate opens to the left or the right the readers will most certainly go into it.

– C. S. Lewis

০১.

টেকনোলজি ভিত্তিক লেখালিখির চাহিদা বরাবরই কম। আবার, ব্যাপারটা এমন যে এটাকে ফেলে দিতে পারছে মানুষ একেবারে, সেটাও না। প্রতিদিন এটাকে কাজে লাগিয়ে সময় না বাঁচালে মানুষ সেটা ব্যবহার করবেই বা কেন? এদিকে ম্যানুয়ালের মতো রসকষহীন জিনিসটাকে একদম না পছন্দ মানুষের।

উপায় কী?

০২.

অনেক দেশ জিনিসটাকে ফেলে দিয়েছে মাঝামাঝি একটা জায়গায়। ডামিজের কথাই ধরুন। ‘এটা ফর ডামিজ’, ‘ওটা ফর ডামিজ’ – কোন বিষয়ের ওপর বই নেই ওদের? সেদিন একটা টাইটেল পেলাম, ‘সেলাই ফর ডামিজ’। যাব কোথায়? ওদেরই আছে প্রায় তিন হাজারের মতো টাইটেল। ‘কমপ্লিট ইডিয়ট গাইড’ সিরিজটা হচ্ছে আরেক পাগলের কারখানা। ‘টিচ ইওরসেল্ফ’ সিরিজটাও কিন্তু অনেক নামকরা। বইগুলো আপনাকে ডক্টরাল জিনিসপত্র না শেখালেও প্রাণহীন জিনিসকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় – সেটা চেয়ে দেখাও একটা আর্ট। ওই মুগ্ধতায় বইয়ের পর বই কিনি ওই আর্ট শিখতে। বিষয় কঠিন, কিন্তু উপস্থাপন দেখে মনে হবে লেখা হয়েছে বারো বছরের বালকের জন্য।

০৩.

বছরখানিক ধরে একটা বড় সুযোগ হয়েছিল ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে পড়ার। জন বিবর্জিত আফ্রিকার সময়টা পড়ার পাশাপাশি ভাবিয়েছে আমাকে বরং। প্রোগ্রামিং শিখলে সমস্যা সমাধানে যে বিশাল ‘আই-ওপেনিং’ হয় সেটা যারা জানেন তারাই বলতে পারবেন কতোটা এগিয়েছেন অন্যদের থেকে। পাওয়া জ্ঞান, মানে যেটা আছে এমুহুর্তে আর লজিক নিয়ে মানুষ কিভাবে ‘রিজনিং সিস্টেম’ থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় সেটা জানতে গিয়ে বোকা বনে গেলাম নিজে। আমাদের সরকারী-বেসরকারী হাজারো সংস্থায় অনেক কাজ ঝুলে থাকে সিদ্ধান্তহীনতায়। আবার আমাদের ‘কগনিটিভ বায়াস’ মানে ‘জ্ঞানীয় পক্ষপাত’ অনেক সিদ্ধান্তকে ফেলে দেয় পানিতে। প্রয়োজনীয় সব উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও। মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতা কিছুটা ধরতে পারছি বলে মনে হচ্ছে আমার। বিশেষ করে ইদানিং। একটা ভালো ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’ একটা দেশকে কোথায় নিতে পারে সেটা দেখা যায় ‘রেড ডট’কে দেখলে। অথচ, ওই দেশটা দুর্নীতিতে ছিল সেরা।

০৪.

নিউইয়র্কের একটা রাইটিং ওয়ার্কশপে গল্প শুনেছিলাম একটা। ওই ইনিয়ে বিনিয়ে বলা গল্পটার অর্থ হচ্ছে ‘যদি বেশি শিখতে চাও, তাহলে লেখা শুরু করো ব্যাপারটা নিয়ে।’ তবে এটা ঠিক যে যখনই শুরু করবেন লেখা, আপনার ‘মাইন্ডসেট’ আপনা আপনি ‘অ্যালাইন’ হওয়া শুরু করবে বিষয়টার সাথে। জিনিসটা বোঝার বাড়তি সক্ষমতা তৈরি হবে লিখতে লিখতেই। ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে প্রথমে শুরু হবে ব্লগপোস্ট। পরে সেটা বই হবে কিনা সেটা বলবেন আপনারা।
সমস্যা একটাই।

০৫.

সিরিজটার নাম নিয়ে। যেটার ‘রিফ্লেকশন’ গিয়ে পড়বে বইয়ের নামেও। ডামিজের মতো ‘বেকুবদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বললে চটানো হবে আমাদের। মানে পাঠকদের। ‘আমজনতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘বোকাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বললে একটাও বাড়ি পড়বে না মাটিতে সেটা আর না বলি।

এখন বলুন, কী নাম দেব সিরিজটার? একান্ত সহযোগিতা চাইছি আপনাদের।

[ক্রমশ:]

[আপডেট]

অনেকগুলো নাম পেয়েছি ফেসবুক থেকে। বিশেষ কিছু নিয়ে এলাম এখানে। এখনো আঁকুপাকু করছে মন। ধারনা করছি আরো ভালো কিছু নাম দেবেন আপনারা।

Mahbub Farid: আমাদের সময় ছিল, ‘মেইড ইজি’ – বাই এন এক্সপার্ট হেডমাস্টার..

Mahbub Farid: naveed used to do a show ‘ busy der easy’ show. so you can think in that line. instead of straight away insulting the intelligence of the readers, you can blame their ‘busy’ schedules, and then provide a solution they can grasp despite their preoccupation.

Humaid Ashraf: “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহজ/সরল পাঠ” – কেমন হয়?

Ragib Hasan: সিরিজের নাম দেয়াটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রশ্ন হলো আপনি এই সিরিজে কয়টি বই লিখবেন? আমার নিজের লেখাগুলা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা কাজ করার প্রকৌশল বলে আমার বইগুলার নামে “কৌশল” আছে, যেমন বিদ্যাকৌশল, মন প্রকৌশল এরকম। আপনি এই ক্ষেত্রে বিদেশী সিরিজের নামের আক্ষরিক অনুবাদ না করে বরং আপনার উদ্দেশ্য কী তার উপরে ভিত্তি করে নাম ঠিক করতে পারেন। যেমন ধরেন হতে পারে “সহজ সরল অমুক”। আমার পরিচিত ছোটভাই এবং শিক্ষক.কম এর একজন নামকরা শিক্ষক Jhankar Mahbub তার প্রোগ্রামিং এর বইয়ের নাম যেমন রেখেছে “হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং”। এভাবে ভাবতে পারেন।

Don Michel: আগ্রহীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

Iftekhar Hossain: “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অতিপ্রাকৃত চিন্তা”

Abu Abdulla Sabit: স্মার্টফোন পরবর্তী জীবনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ট্রিলিয়ন ডলার আইডিয়া সমূহ।

আমার মন বলছে আরো ভালো কিছু নাম অপেক্ষা করছে সামনে। বিস্মিত করুন আমাকে!

Read Full Post »