The reader does not start by knowing what we mean. If our words are ambiguous, our meaning will escape him. I sometimes think that writing is like driving sheep down a road. If there is any gate opens to the left or the right the readers will most certainly go into it.
– C. S. Lewis
০১.
টেকনোলজি ভিত্তিক লেখালিখির চাহিদা বরাবরই কম। আবার, ব্যাপারটা এমন যে এটাকে ফেলে দিতে পারছে মানুষ একেবারে, সেটাও না। প্রতিদিন এটাকে কাজে লাগিয়ে সময় না বাঁচালে মানুষ সেটা ব্যবহার করবেই বা কেন? এদিকে ম্যানুয়ালের মতো রসকষহীন জিনিসটাকে একদম না পছন্দ মানুষের।
উপায় কী?
০২.
অনেক দেশ জিনিসটাকে ফেলে দিয়েছে মাঝামাঝি একটা জায়গায়। ডামিজের কথাই ধরুন। ‘এটা ফর ডামিজ’, ‘ওটা ফর ডামিজ’ – কোন বিষয়ের ওপর বই নেই ওদের? সেদিন একটা টাইটেল পেলাম, ‘সেলাই ফর ডামিজ’। যাব কোথায়? ওদেরই আছে প্রায় তিন হাজারের মতো টাইটেল। ‘কমপ্লিট ইডিয়ট গাইড’ সিরিজটা হচ্ছে আরেক পাগলের কারখানা। ‘টিচ ইওরসেল্ফ’ সিরিজটাও কিন্তু অনেক নামকরা। বইগুলো আপনাকে ডক্টরাল জিনিসপত্র না শেখালেও প্রাণহীন জিনিসকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় – সেটা চেয়ে দেখাও একটা আর্ট। ওই মুগ্ধতায় বইয়ের পর বই কিনি ওই আর্ট শিখতে। বিষয় কঠিন, কিন্তু উপস্থাপন দেখে মনে হবে লেখা হয়েছে বারো বছরের বালকের জন্য।
০৩.
বছরখানিক ধরে একটা বড় সুযোগ হয়েছিল ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে পড়ার। জন বিবর্জিত আফ্রিকার সময়টা পড়ার পাশাপাশি ভাবিয়েছে আমাকে বরং। প্রোগ্রামিং শিখলে সমস্যা সমাধানে যে বিশাল ‘আই-ওপেনিং’ হয় সেটা যারা জানেন তারাই বলতে পারবেন কতোটা এগিয়েছেন অন্যদের থেকে। পাওয়া জ্ঞান, মানে যেটা আছে এমুহুর্তে আর লজিক নিয়ে মানুষ কিভাবে ‘রিজনিং সিস্টেম’ থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় সেটা জানতে গিয়ে বোকা বনে গেলাম নিজে। আমাদের সরকারী-বেসরকারী হাজারো সংস্থায় অনেক কাজ ঝুলে থাকে সিদ্ধান্তহীনতায়। আবার আমাদের ‘কগনিটিভ বায়াস’ মানে ‘জ্ঞানীয় পক্ষপাত’ অনেক সিদ্ধান্তকে ফেলে দেয় পানিতে। প্রয়োজনীয় সব উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও। মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতা কিছুটা ধরতে পারছি বলে মনে হচ্ছে আমার। বিশেষ করে ইদানিং। একটা ভালো ‘ডিসিশন সাপোর্ট সিষ্টেম’ একটা দেশকে কোথায় নিতে পারে সেটা দেখা যায় ‘রেড ডট’কে দেখলে। অথচ, ওই দেশটা দুর্নীতিতে ছিল সেরা।
০৪.
নিউইয়র্কের একটা রাইটিং ওয়ার্কশপে গল্প শুনেছিলাম একটা। ওই ইনিয়ে বিনিয়ে বলা গল্পটার অর্থ হচ্ছে ‘যদি বেশি শিখতে চাও, তাহলে লেখা শুরু করো ব্যাপারটা নিয়ে।’ তবে এটা ঠিক যে যখনই শুরু করবেন লেখা, আপনার ‘মাইন্ডসেট’ আপনা আপনি ‘অ্যালাইন’ হওয়া শুরু করবে বিষয়টার সাথে। জিনিসটা বোঝার বাড়তি সক্ষমতা তৈরি হবে লিখতে লিখতেই। ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে প্রথমে শুরু হবে ব্লগপোস্ট। পরে সেটা বই হবে কিনা সেটা বলবেন আপনারা।
সমস্যা একটাই।
০৫.
সিরিজটার নাম নিয়ে। যেটার ‘রিফ্লেকশন’ গিয়ে পড়বে বইয়ের নামেও। ডামিজের মতো ‘বেকুবদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বললে চটানো হবে আমাদের। মানে পাঠকদের। ‘আমজনতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘বোকাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বললে একটাও বাড়ি পড়বে না মাটিতে সেটা আর না বলি।
এখন বলুন, কী নাম দেব সিরিজটার? একান্ত সহযোগিতা চাইছি আপনাদের।
[ক্রমশ:]
[আপডেট]
অনেকগুলো নাম পেয়েছি ফেসবুক থেকে। বিশেষ কিছু নিয়ে এলাম এখানে। এখনো আঁকুপাকু করছে মন। ধারনা করছি আরো ভালো কিছু নাম দেবেন আপনারা।
Mahbub Farid: আমাদের সময় ছিল, ‘মেইড ইজি’ – বাই এন এক্সপার্ট হেডমাস্টার..
Mahbub Farid: naveed used to do a show ‘ busy der easy’ show. so you can think in that line. instead of straight away insulting the intelligence of the readers, you can blame their ‘busy’ schedules, and then provide a solution they can grasp despite their preoccupation.
Humaid Ashraf: “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহজ/সরল পাঠ” – কেমন হয়?
Ragib Hasan: সিরিজের নাম দেয়াটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রশ্ন হলো আপনি এই সিরিজে কয়টি বই লিখবেন? আমার নিজের লেখাগুলা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা কাজ করার প্রকৌশল বলে আমার বইগুলার নামে “কৌশল” আছে, যেমন বিদ্যাকৌশল, মন প্রকৌশল এরকম। আপনি এই ক্ষেত্রে বিদেশী সিরিজের নামের আক্ষরিক অনুবাদ না করে বরং আপনার উদ্দেশ্য কী তার উপরে ভিত্তি করে নাম ঠিক করতে পারেন। যেমন ধরেন হতে পারে “সহজ সরল অমুক”। আমার পরিচিত ছোটভাই এবং শিক্ষক.কম এর একজন নামকরা শিক্ষক Jhankar Mahbub তার প্রোগ্রামিং এর বইয়ের নাম যেমন রেখেছে “হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং”। এভাবে ভাবতে পারেন।
Don Michel: আগ্রহীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
Iftekhar Hossain: “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অতিপ্রাকৃত চিন্তা”
Abu Abdulla Sabit: স্মার্টফোন পরবর্তী জীবনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ট্রিলিয়ন ডলার আইডিয়া সমূহ।
আমার মন বলছে আরো ভালো কিছু নাম অপেক্ষা করছে সামনে। বিস্মিত করুন আমাকে!
Read Full Post »