Feeds:
Posts
Comments

Posts Tagged ‘বাংলা’

আপনার কথা আর গুগলের “জিবোর্ড’ দিয়ে কিভাবে লিখবেন, সেটা দেখুন এই ভিডিওতে। সম্ভব আপনার পুরানো ফোনেও! বাংলায় কনটেন্ট লিখুন আর বাংলাকে নিয়ে যান তার উচ্চতায়। নিজের যোগ্য জায়গায়। শেয়ার করুন, অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কিভাবে কাজ করতে হবে এই “জিবোর্ড” দিয়ে। টাইপিংএর যুগ শেষ হলো বলে!

বাংলা ভাষাভাষী অনেক হলেও সে হিসেবে বাংলা কনটেন্ট অনেক কম ইন্টারনেটে। আমি নিজে লেখালেখি করি অনেক কাল ধরে। ইংরেজিতে ‘ডিকটেশন’ দিয়ে লেখালিখির কাজ চললেও বাংলায় অনেকটা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিলাম অনেক কটা বছর।

তাই বলে যে চেষ্টা করিনি যে তা নয়। অনেকগুলো টুলের কোড দেখতাম বসে বসে – কি করে বানানো যায় বাংলার ‘টেক্সট টু স্পীচ’ <> ‘স্পীচ টু টেক্সট’ ইঞ্জিন। তবে, সবকিছুকে উড়িয়ে দিয়েছে গুগলের এই নতুন কীবোর্ড। এক কথায় অসাধারণ। মেশিন লার্নিংয়ের কায়-কারবার।

অনেকে বলেছিলেন – করবো কিভাবে? মানে, আমাদের ফোনে? তার উত্তরে এই ভিডিও। শেয়ার করুন, যাতে সবাই লিখতে পারেন মন খুলে। তৈরি করতে হবে অনেক অনেক বাংলা কনটেন্ট! টেক্কা দিতে হবে সবার সাথে। এই বাংলা নিয়ে!

Read Full Post »

“I got this story from someone who had no business in the telling of it.” ― Edgar Rice Burroughs, Tarzan of the Apes

২৭.

সমস্যা বটে, বড় সমস্যা। আগে যখন লিখতে বসতাম, শুরুতেই আসত কলমের সমস্যা। কলমের সমস্যা হয়তোবা সবসময়ের সমস্যা, কিন্ত তা আরো প্রকট হয় যখন লিখতে বসি। মোটা লেখা হচ্ছে না। অন্য সময়ে মোটা বা চিকন নিয়ে সমস্যা হয়না, কিন্ত ক্রিয়েটিভ কিছু করতে গেলে তা শুরু হয়ে যায়। এখন যেমন, ‘সমস্যা’ শব্দটা হাজার বার আসতেই থাকবে। লিখতে বসলে ল্যাপটপের হাজার সোশ্যাল নেটওয়ার্কএর নোটিফিকেশন লেখার পাট চুকিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো সারাদিন মোবাইলে আটকে রাখলেও ল্যাপটপ পর্যন্ত এর দৌরাত্ব্য অনেকদিনের। অন্য সময়ে এই নেটওয়ার্কগুলোতে কাজ না করলেও তার জন্য যতো মায়া আসে লেখার সময়। নোটিফিকেশনগুলো আপাততঃ ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।

২৮.

লেখতে বসতে গিয়ে স্বাতীর ডাক, গাড়ি জ্যামে রাস্তায় – কিছু জিনিস তা থেকে নামিয়ে আনতে হবে। জামা কাপড় পরতে হলো। আবার লিখতে বসতে যেয়ে চানাচুরের বাক্সে নজর পড়লো। চোখ নামিয়ে নিলাম। একলাইন লিখতে না লিখতেই দুটো কল, কলদুটো না ধরলে অনেক রাত হয়ে যাবে তা ব্যাক করতে করতে। কথা বললাম। বসলাম আবার। কিন্ত আর কতক্ষণ। ওই বাক্সে চোখ পড়ল আবার। এরপর কি করলাম সে ব্যাপারে না যেয়ে যেটা বলা যেতে পারে যে আমি সবসময় কিছু না কিছু করছি বা দেখছি। তাও আবার সবচেয়ে বেশী কাজ বের করার সময় বা প্রডাক্টিভ আওয়ারে।

২৯.

লেখক ব্রুস হল্যান্ড রজার্স, আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, এডিডি বা এটেনশন ডেফিসিট ডিজর্ডারের সাথে। মনোযোগ কার না ছোটে? তবে, তা বেশী মাত্রায় হলে ঝামেলা হতে পারে। এখনকার বাচ্চারা যারা টিভি বা ভিডিও গেমসে বেশী মনোসংযোগ করছে তারা এই সমস্যায় আছে এরইমধ্যে। আবার, সবকিছুতে মনোযোগ ছুটলে কিছুই করা যাবে না। আচ্ছা, বিয়ের সময় মনোযোগ ছুটলে কি হবে?

৩০.

আরেকজন, হার্টম্যান তার লেখায় এই ডিজর্ডারকে অন্য উপলব্ধিতে নিয়ে গেছেন। লোকজন যারা এটেনশন ডেফিসিট ডিজর্ডার নিয়ে আছেন, তাদেরকে ‘শিকারী’ গোত্রে ফেলা হয়েছে। আর বাকিরা ‘কৃষক’| তার ধারনায়, এই এডিডি গোত্রের মানুষের অন্যদের থেকে কিছু কম্পেটিটিভ সুবিধা বেশী পেয়ে থাকে। তিনশ-ষাট ডিগ্রী দৃষ্টি আর সবকিছুর উপর নজর থাকাতে ওর শিকার পেতে আর অন্যের শিকার না হতে সাহায্য করে। একদিকেই নজর দেয়া মানুষ শিকার না পেয়ে অন্যের শিকার হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

৩১.

বর্তমান জীবন ব্যবস্থায় আবার ‘কৃষক’শ্রেণী ভালো অবস্থায় আছে। একচোখা বা একটা জিনিস নিয়ে থাকার ফলে একই ফিল্ডে অনেক বিশেষজ্ঞ তৈরী হচ্ছে। সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে তাদের কাঁধে ভর করে। সামাজিক উচ্চতর নিরাপত্তার বলয়ে শিকারী হবার প্রয়োজন না হলেও আমাদের মতো সমাজে শিকারীর উত্থান দেখা যায়। আমার মতে এদুটোর শঙ্কর যেকোনো সমাজের জন্য ভালো। মনোযোগ ছোটা ভালো না খারাপ তা পরিস্থিতি বলে দেবে। শিকারীরা বলবেন, মনোযোগ সংযোগের কিছুক্ষেত্রে ব্যতয় হলে আমরা সবকিছু দেখার চেষ্টা করি, আর তা আমাদেরকে ‘কৃষক’শ্রেণী থেকে উপরে নিয়ে যায়।

অনেক কথা হলো। লেখকরা কোন গোত্রে পড়বেন?

এই লেখাটা শেষ করতে চাচ্ছি বেশ কিছুক্ষণ ধরে। বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। রাত বারোটা। ঘুরে আসব নাকি একবার এই বৃষ্টিতে? স্বাতী ঢুকতে দেবে তো আবার?

Read Full Post »