Feeds:
Posts
Comments

Posts Tagged ‘লিভ টু টেল’

If there weren’t such massive prejudice against Madonna’s display of her sexuality ‘Live to Tell’ would have probably been considered the greatest song ever written.

– Collected.

৩২.

ম্যাডোনার গান শুনতাম না বললে ভুল হবে। মিথ্যা বলা হবে বরং! আমার প্লে-লিস্টিতে ম্যাডোনার কয়েকটা গান থাকাতে বন্ধুদের অনেকে ‘মেয়েলি’ পছন্দ ঠাউরালেও ফেলতে পারিনি অ্যালবামটাকে। সত্যি বলতে – ম্যাডোনার এই অ্যালবামটাই আমার অনেক পছন্দের। বাকিগুলো কেন জানি টানেনি মনটাকে। শুরু হয়েছিলো কিন্তু টাইটেল ট্র্যাকটা দিয়ে। চমত্কার টেমপো, আহামরি ধরনের মিউজিক ভিডিও না হলেও দেখতে লাগতো ভালোই। ফিল্মফেয়ার আর রোজভ্যালি থেকে বন্ধুরা মিলে ভিএইচএস টেপ ভাড়া করে আনতাম সপ্তাহের জন্য। পছন্দের গানগুলো আবার ভিসিআরে রেকর্ড করে রাখতো বন্ধুরা। ছোটবেলার ‘ট্যাবু’র ধারণায় ‘লাইক আ ভার্জিন’ কিনিনি বাসায় আনতে পারবো না এই ভয়ে। অ্যালবাম কাভার বলে কথা। বর্ডারলাইনের ‘ইনট্রো’টা অন্য ধরনের হওয়াতে গানটা ছিলো পছন্দের মধ্যে। ওই ছোটবেলায়।

৩৩.

ওই বয়সে ‘পাপা ডোন্ট প্রিচে’র মতো মিউজিক ভিডিওটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় বলে লুকিয়ে দেখতে হতো না ওই অ্যালবামটার আরো কিছু গান। ‘ওপেন ইয়োর হার্ট’ গানটা পছন্দের হলেও ভিডিওটার জন্য ছিলো ওটা ‘নো নো’ লিস্টে। মানে দেখতে পারতাম না সবাই মিলে। তবে একটা গান শুনেছি হাজার বার, ওয়াকম্যানে টেনে টেনে। ছোটবেলার ওই প্রথম ওয়াকম্যানটাতে প্লে’র পাশাপাশি ছিল শুধুমাত্র ‘ফরওয়ার্ড’ অপশন। বুঝুন তাহলে! অ্যালবামটাও কেনা এই গানটার জন্য। আবার, মিউজিক ভিডিওটার জন্য সিনেমাটা দেখতে হয়েছে পরে। মুভিটার সাথে গানটা মিলেছিলো ভালো। তবে এই ব্যালাডটার জন্য যেই ভোকাল রেঞ্জ দরকার সেটা তৈরি হতে সময় লেগেছিল ম্যাডোনার। ওই সময়ে ম্যাডোনার গলায় এই গান – বিশ্বাস হচ্ছিলো না প্রথমে। ভিশন কোয়েস্ট মুভিতে ‘ক্রেজি ফর ইউ’ গানটা শোনার পর ভুল ভাঙতে থাকে আস্তে আস্তে।

৩৪.

আশির দশকে গান শুনেছেন অথচ স্যান পেদ্রো’র নাম শোনেননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর হবে বোধহয়। ধারনাটা ভুল কি? ‘লা ইসলা বনিতা’ শুরুই হয় এই জায়গার নামটা দিয়ে। স্বপ্নে যেখানে যাওয়া যায় যেই জায়গায় – সেটাই হচ্ছে স্যান পেদ্রো। স্প্যানিশ অর্থে দ্বীপের কথা বললেও এটা কোথায় সেটা বলেন নি কিন্তু ম্যাডোনাও। আইভরি কোস্টে আসার পর ম্যাপ নিয়ে বসতে গিয়ে পেলাম সাগর পাড়ের এই জায়গাটা। ওমা, একি! স্যান পেদ্রো দেখি এখানে। বেনিনের সহকর্মীর প্রশ্রয়ের হাসি। আইভরি কোস্টের প্রথম রাজধানী ছিলো এটা। ইবোলা ভাইরাসের জন্য মন খুলে মিশতে পারছি না মানুষের সাথে। তবে একটা জায়গায় যাবার সময় স্যান পেদ্রো’র ওপর দিয়ে যাবো জেনে মনটা ভালো হয়ে গেলো তখনি। শহরটার সাগরপাড়ে যেতেই মনে পড়লো গানটার কথা। হোয়াইট স্যান্ড বীচ। স্বপ্নের জায়গা বটে। আর স্বর্গের আবহাওয়ায় ভুলে গিয়েছিলাম কাজের কথা।

বাড়ি কিনবে নাকি এখানে?

সম্বিত ফিরলো স্হানীয় সহকর্মীর প্রশ্নে।

[ক্রমশ:]

Read Full Post »