Virtue is more to be feared than vice, because its excesses are not subject to the regulation of conscience.
– Adam Smith
৪৭৩.
টাকা কই? বাইরের টাকা আনতেও উন্মুক্ত করতে হবে টেলিযোগাযোগ খাত। পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে টেলিযোগাযোগ নীতিমালাতে। অনেক টাকা আয় ব্যয় হবে এই খাতে। ডাব্লিউটিও’র রেগুলেটরি প্রিন্সিপালস নিয়ে ‘টেলিকমিউনিকেশন রেফারেন্স পেপার’টা পড়লে পরিস্কার হবে আরো বেশি। দেশগুলোর প্রাইভেট ক্যাপিটাল যাতে অন্যদেশে ঢুকতে পারে সেজন্য এই চুক্তি। শুধুমাত্র দেশীয় কোম্পানি নয় – টেকনোলজি ট্রান্সফার হবে দেশগুলোর ভেতর। অভাবনীয় সার্ভিস নিয়ে একে ঢুকবে অন্যদেশে। কোন দেশ কবে কোন সেক্টরে বাইরের ইনভেস্টমেন্ট ঢুকতে দেবে সেটারও একটা টাইমলাইন দেয়া আছে ওখানে।
৪৭৪.
ফলে টেলিনর বা গুগলের মতো কোম্পানি বিভিন্ন দেশে তাদের ইনোভেশনগুলো নিয়ে আসছে অন্য মার্কেটে। ইনোভেশন হয়েছে হয়তোবা এক মার্কেটে, প্রয়োগ করছে অন্য জায়গায়। ভলিউমে খেলছে তারা। খরচ পড়ছে কম। এই কোম্পানিগুলোর স্ট্রাটেজি আর অপারেশন্স একদম আলাদা থাকার কারণে উঠছে ওপরে। দেখেছেন কি ‘সলভ ফর এক্স’ সাইটটা? ফিরে আসি ডাব্লিউটিও’র পেপারে। আরো অনেক সুন্দর গল্প আছে ওই চুক্তিনামায়। এর সাথে গ্যাটস মানে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেডস ইন সার্ভিসেসএর ক্রস-বর্ডার সার্ভিস সেটেলমেন্ট বড় করে থাকবে সামনে। করুন গুগল ‘ডাব্লিউটিও টেলিকম রেফারেন্স পেপার’, খারাপ হয়ে যাবে মাথা!
৪৭৫.
আর আছে ইন্টারনেট! কোনো দেশ এটাকে আনতে পারেনি বাগে। মানে এই প্ল্যাটফর্মকে। ইনোভেশনের চূড়ান্ত মাত্রা বলা যায় এটাকে। মানুষের যা ক্ষমতায়ন হয়েছে তার বড় একটা কৃতিত্ব পাবে এই ইন্টারনেট। সেটা হয়েছে অনেক কিছুর ডি-রেগুলেশন মানে উন্মুক্তকরনের ফলে। সরকারগুলো ইন্টারনেটের নীতিমালা নিয়ে অনেক গবেষণা করলেও এর টুঁটি চেপে ধরেনি অতটা। কোটি উদ্যোক্তা আজ বেঁচে আছেন এই ইন্টারনেটের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে। ডাটা ট্রাফিক যখন ছাড়িয়ে গেলো ভয়েসকে, প্রাইভেটাইজেশনই ছিলো এর এক্সিট রুট। দেশের অর্থনীতি চালায় কোম্পানিগুলো, আর নীতিমালাহীন ইন্টারনেট এর বিশাল পৃষ্টপোষক। ইন্টারনেটের বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর দেখভাল ছেড়ে দিয়েছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ওপর।
৪৭৬.
তবে শুরুটা ছিলো অনেক ঝামেলার। নাহলে তো প্রয়োজন হতো না এই রেগুলেশনের। দরকার হতো না টেলিযোগাযোগ নীতিমালা। টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে ঢুকতে গিয়ে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল সরকারের নিয়ন্ত্রিত টেলিযোগোযোগ খাত থেকে। এই প্রাইভেট সেক্টর। গ্রাহক তো সব সরকারের কাছে। শুরুতে টেলিযোগাযোগ সার্ভিস মানে ছিলো ল্যান্ডলাইন। আর বিটিটিবির লাইনই ছিলো মানুষের কাছে। প্রাইভেট সেক্টর যতোই আসুক না কেন আবার নতুন লাইন বসাবে কে? আর বসালেই কি নেবে মানুষ? দেখা গেলো প্রাইভেট সেক্টর পেরে উঠছে না সরকারী কোম্পানিগুলোর সাথে। আর পারবেই বা কেন? স্বল্প পুজি নিয়ে সরকারী কোম্পানির সাথে পারছিলো না প্রথম দিকে।
[ক্রমশঃ]
Leave a comment