Any time people create a “black market” to avoid government regulation, they are engaged in, and promoting, free market economics.
― Dave Champion
৪৬১.
অনেক দেশে এই ব্যাকবোন ইনফ্রাস্ট্রাকচার খরচ বিভিন্ন ভাগে দেখানো হলেও এর খরচ নেহায়েত কম নয়। আমার ধারনায় দেশব্যাপী এর ইনভেস্টমেন্ট কখনই আটশো কোটি টাকার নিচে নয়। অথচ, এই টাকা কিছুই নয় যখন এটা ব্যবস্যা বাড়াবে কয়েক হাজার কোটি টাকার। মাল্টিপ্লায়ারের গল্পটা পড়েন নি এখনো? আমার কস্ট মডেলিংয়ের ধারনায় নিয়ে এলাম এই অংক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে এই টাকা আসবে কোথা থেকে? অন্য দেশগুলো কি করছে এখানে? অস্ট্রেলিয়া তো মরণ কামড় দিয়েছে তাদের এনবিএন নিয়ে। ‘ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক’ মানে এনবিএন করেই ছাড়ছে তারা। নিজের টাকায়। সেটার জন্য তাদের সরকারী কোম্পানি টেলস্ট্রাকে জবাই করে চলছে প্রতিনিয়ত। রেগুলেটরি ভাষায় ‘স্ট্রাকচারাল সেপারেশন’ হয়ে যাচ্ছে এর মধ্যে। মানে সরকারী কোম্পানি টেলস্ট্রা’র হোলসেল আর রিটেল বিজনেস হয়ে যাবে আলাদা। ব্যাকহল কোম্পানি হবে নতুন করে। খুচরা মানে মোবাইলের মতো গ্রাহক লেভেলের ব্যবস্যাও হয়ে যাচ্ছে আলাদা।
৪৬২.
মনে আছে ব্রিটিশ টেলিকমের ওপেনরীচ প্রজেক্টের কথা? ওদের রেগুলেটর ব্রিটিশ টেলিকমের ঘাড়ে ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোকে বাতলে দিয়েছে বিটি’র ওপর দিয়ে যাবার সহজ রাস্তা। দুহাজার দুয়ের এন্টারপ্রাইজ অ্যাক্টের আওতায় অফকম মানে ব্রিটিশ রেগুলেটর আন্ডারটেকিং নিয়েছিল এই বিটি’র কাছ থেকে। জনস্বার্থেই তো কাজ করবে রেগুলেটর। পাশের দেশ ভারতের মডেলটা একটু ভিন্ন। ধারণাটা পেয়েছিলাম এনালাইসিস ম্যাসন বলে এক কনসাল্টিং ফার্ম থেকে। গল্পটা ‘এসপিভি’ নিয়ে। অনেক ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানিতে ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকল’ বলে একটা গল্প সহজ করে দেয় অনেক বড় বড় আন্ডারটেকিং। দরকার দেশব্যাপী একটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার, যা বানাতেই যাবে বিলিয়ন টাকা – পয়সাটা দেবে কে? অনেক দেশ পয়সাটা দিচ্ছে নিজে। কারণ দরকার সেটা তার জনগনের।
৪৬৩.
গরীব দেশগুলোর জন্য গডসেন্ড হচ্ছে এই ‘এসপিভি’ মডেল। স্টেপ ওয়ান, ব্যাকহলের ওপর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি তৈরী করবে সরকার একটা। সরকারের বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করবে কতো শতাংশ তার স্টেক থাকবে ওই কোম্পানিতে। আলগা মাতবরি নয়। বাকি পয়সাটা ইনজেক্ট করবে অন্য এক্সেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো। দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক দরকার কার কার? আইএসপি, পিএসটিএন, ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস এক্সেস আর মোবাইল কোম্পানিগুলোর। বোর্ডে বসবে সবাই, সরকারসহ। নেটওয়ার্ক হবে একটা। সুবিধা নেবে সবাই। কোটি টাকা বেচে যাবে সবার। তৈরী করতে হচ্ছে না আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক সবার। নিজ নিজ নেটওয়ার্ক তৈরী করার পয়সার সিকি অংশ দিয়ে তৈরী হচ্ছে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক।
৪৬৪.
এই ‘এসপিভি’তে ম্যানেজমেন্ট একটাই। বোর্ডে বেসরকারী স্টেকহোল্ডার থাকাতে দক্ষ ম্যানেজমেন্ট না এসে যাবে কোথায়? এখন ক্যাপাসিটি অনুযায়ী ভাগ করে নাও কার কতো লাগবে। দুরদুরান্তের স্কুল আর সরকারী অফিসে যুক্ত হবার জন্য সরকারকে আর বসে থাকতে হবে না বিটিসিএল আর বেসরকারী অপারেটরদের ব্যাকহলের ওপর। ভাগাভাগিতে নিজের ক্যাপাসিটিও পেয়ে যাবে সে। সরকারকে করতে হবে ‘ডিমান্ড এগ্রিগেশন’। এটা একটা রেগুলেটরি ভাষা। সরকারের কোথায় কতো ব্যান্ডউইডথ দরকার সেটা আগে থেকে না জানলে কমানো সম্ভব নয় ওর খরচ। পুরোটাই খেলা ভলিউমের। আর সেটা বেসরকারী অপারেটর অথবা বিটিসিএল আগে থেকে না জানলে বিজনেস কেস করবে কে? আর সেকারণে এগুচ্ছে না কিছুই। ডিমান্ড না জেনে সাপ্লাই মডেল তৈরী অসম্ভব বটে। আগে জড়ো করেন সব ডিমান্ড, তারপর দেখেন কাজ হয় কিনা? সব কোম্পানি লাইন দেবে আপনার কাছে – কে দেবে কতো কমে। রেগুলেটরি ভাষায় ‘রিভার্স অকশন’ বলে এ গল্পটাকে।
তো সাত বছর করলেন কি আপনি? সে গল্প আরেকদিন।
[ক্রমশঃ]
[…] থাকবে ইনফ্রাস্ট্রাক্চার ফান্ড। আর এসপিভি। লাগবে এটাও। […]
LikeLike