Vigilant and effective antitrust enforcement today is preferable to the heavy hand of government regulation of the Internet tomorrow.
– Orrin Hatch
৪৯০.
মনে আছে মাইক্রোসফট আর অন্য ব্রাউজার কোম্পানিগুলোর আইনি যুদ্ধের কথা? অপারেটিং সিস্টেম বানায় মাইক্রোসফট। সাথে দিচ্ছিলো তাদের নিজস্ব ব্রাউজার। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। সমস্যা কি? দিচ্ছিলো তো ফ্রি! লাভ তো জনগনের। ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস মামলা করলো মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে। স্বত:প্রণোদিত হয়েই। মনোপলিস্টিক অবস্থানের সুযোগ নিচ্ছে সে। গ্রাহকদের বাধ্য করছে নিজের জিনিসে আটকে রাখতে। কোম্পানিগুলো যারা শুধু ব্রাউজার বানায় – কি হবে তাদের? বিশাল আইনি যুদ্ধ চললো বছর খানিক ধরে। জাজমেন্ট এলো – ভেঙ্গে ফেল মাইক্রোসফটকে। অপারেটিং সিস্টেম বানাবে এক কোম্পানি। ব্রাউজারের মতো অন্য সফটওয়্যার বানাবে আরেকটা। কোর্টে ফেরৎ গেলো মাইক্রোসফট। বিশাল আন্ডারটেকিং দিতে হলো তাকে। যতোই বড় হোক না কেন, অন্যের ব্যবস্যা নষ্ট করতে পারে না সে। এটা তো আর ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ নেই আর!
৪৯১.
ব্যাপারটা কিছুটা এমন। জুতার কোম্পানি আমার। আবার মোজাও বানাই। বললাম – জুতা কিনলে আমার মোজা ফ্রি। হরহামেশাই হচ্ছে তো। কি সমস্যা, বলুন তো? সমস্যা অন্য জায়গায়। ভেবেছেন কি অন্যান্য জুতা বা মোজার কোম্পানিগুলোর সমস্যার কথা? সব জুতার দোকান তো বানায় না মোজা। বা মোজার কোম্পানি জুতা? পয়সা আছে বলে পেটে লাথি মারতে পারেন না আরেকটা কোম্পানির। ব্যবস্যা করতে মানা করছে না কেউ। খুলুন নতুন কোম্পানি। মেনে চলুন ‘একাউন্টিং সেপারেশন’ নীতিমালা। একটার লাভ নিয়ে ঢোকানো যাবে না আরেকটাতে। তারপর বানান মোজা। কিচ্ছু বলবে না কেউ।
৪৯২.
সরকারের কোম্পানীগুলো এধরনের কিছু বাড়তি সুবিধা নেয় তাদের সেবার ওপরে। বিশেষ করে তাদের প্রতিযোগীদের থেকে। বড় কোম্পানী হওয়াতে একাই অনেক সেবা দেবার কারণে প্রতিটা জিনিসের সন্মিলিত খরচ পড়ে অন্যের চেয়ে অনেক কম। এটাকে বলা হয় ক্রস-সাবসিডাইজেশন। যে কোম্পানি ব্যবস্যা করে চালের, সেতো পারবে না ওই কোম্পানির সাথে যে একাধারে ব্যবস্যা করছে চাল, ডাল, আটা আর চিনির। এখানে রেগুলেটরকে দেখতে হয় কোম্পানিটা তার উত্পাদন খরচ থেকে কমে বিক্রি করছে কিনা। এখানে সরকারী কোম্পানীগুলোই যে মনোপলিস্টিক পরিবেশ তৈরি করে সেটাও সত্য বলা যাবে না। অনেক সময় এক কোম্পানীর মার্কেট শেয়ার বাকী সব কোম্পানীর সম্মিলিত মার্কেট শেয়ার যোগফলের বেশি হলে সেই বেসরকারী কোম্পানীটাও তৈরি করে একটি মনোপলিস্টিক পরিবেশ। ফলে আগের মতো ওই বড় কোম্পানীর প্রোডাকশন কস্ট ছোট কোম্পানীগুলোর থেকে অনেক কম হওয়ায় ওই প্রোডাক্ট বাজারে একটি অসম প্রতিযোগীতা তৈরী করে।
[ক্রমশঃ]
[…] […]
LikeLike
সবচেয়ে বড় সমস্যা কাগজ কলমে আইন আছে কিন্তু সেটার যথাযোগ্য প্রয়োগ নেই। তাই সবাই মোনপলী ব্যবসা করে যাচ্ছে।
LikeLike
ঠিক বলেছেন।
LikeLike