Feeds:
Posts
Comments

Posts Tagged ‘একাউন্টিং সেপারেশন’

When I give food to the poor, they call me a saint. When I ask why the poor have no food, they call me a communist.

– Dom Helda Camara

৫৩৪.

আজকাল সবকিছু ডিজিটাল হওয়াতে ভয়েস ভিত্তিক সার্ভিসের পাশাপাশি সবধরনের সার্ভিস দিতে পারছে বড় বড় কোম্পানিগুলো। সেক্টর স্পেসিফিক রেগুলেটর পড়ে তখন বেকায়দায়। এক মোবাইল কোম্পানি যদি মোবাইল টিভি, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, লটারি আর ওটিটি (ওভার দ্য টপ) সার্ভিস দেয় – তাহলে সে একাই বাংলাদেশ ব্যাংক, তথ্য মন্ত্রনালয়, বিটিআরসি আর এনবিআরের আওতায় যাচ্ছে পড়ে। ‘একাউন্টিং সেপারেশন’ না থাকলে বুঝবেন কিভাবে ও অপব্যবহার করছে না ওর ক্ষমতা? চার রেগুলেটরের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে এটা বোঝা সম্ভব নয়। আবার, সমন্বয়হীনতা সবচেয়ে কষ্ট দেয় কোম্পানিগুলোকে।

৫৩৫.

‘একাউন্টিং সেপারেশন’ নিয়ে কাজ হয়েছে হাজারো রেগুলেটরি এজেন্সীতে। টেলিকম হচ্ছে একটা ছোট অংশ। ধরা যাক মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নিয়ে খুব ভালো করছে একটা কোম্পানি। সেটার লাভ দিয়ে যদি মোবাইল টিভি সার্ভিসটাতে দাম কমিয়ে দিলে বিপদে পড়বে অন্যরা। সেটার ‘প্রটেকশন’ দেবে রেগুলেটর। কীওয়ার্ড, একাউন্টিং সেপারেশন। আবার, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের কাঁচামাল হচ্ছে ‘ইউএসএসডি’। নিজের কোম্পানির জন্য ওই সার্ভিসটা নিতে গেলে যে দাম নেয়া হবে – একই দাম (টার্মস এন্ড কন্ডিশন) দিতে হবে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে। সিঙ্গাপুরের রেগুলেটরের এই গাইডলাইনটা ধরে শুরু করেছিলাম আমার কাজ। ‘হোয়াই রিইনভেন্টিং দ্য হুইল?’ দুহাজার চারের রিভিশন হলেও চমকে দেবে আপনাকে। সার্ভিস দেবার ক্ষেত্রে নিজের ডাউনস্ট্রিম অপারেশন মানে নিজস্ব সার্ভিস প্রোভাইডার আর তার প্রতিযোগী কোম্পানির টার্মস/কন্ডিশন এক না হলে খবর আছে ওই অপারেটরের।

৫৩৬.

বাজার ভাগ করা হয়েছে কি আগে? ক্রস-ফান্কশোনাল ব্যাপারগুলোতে এজন্যই চলে আসছে ‘বিশেষায়িত’ কম্পিটিশন এজেন্সীর কাজ। না থাকলে দেখবে সেটা রেগুলেটর। দাম না কমে যাবে কোথায়? একারণে রেগুলেটরে অর্থনীতিবিদ রাখার কথা বলেছিলেন আমার পরিচিত কনসালটেন্ট। আগে ভাবতাম বড় কোম্পানি – পয়সা বেশি, সেতো বাজার দখল করবেই। সাত বছরে ধারণাটা পাল্টেছে অনেক। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে যেটা ‘এন্টি-ট্রাস্ট’ সেটা অন্য সব জায়গায় ‘এন্টি-কম্পিটিটিভ’ ব্যবহার। বড়জন ছোটদের বাজারে প্রবেশাধিকারে বাধা বা বাজার এক্সপ্যানশনে সমস্যা তৈরী না করে সেটা দেখবে রেগুলেটর। আমরা ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টে’ তো নেই আর!

৫৩৭.

ইন্টারনেটের দাম কমাবে কে? ঠিক বলেছেন। ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছেন যারা। আমাদের দেশে ফিক্সড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ওই পরিমান তৈরী না হওয়াতে বিশাল ভাবে তাকিয়ে থাকতে হয় মোবাইল আর ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অপারেটরদের ওপর। সেক্টরটা মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকার কারণে এর ইনভেস্টমেন্ট সাইকেল অস্বাভাবিক ভাবে বেশী। মানুষের হাতে আলাদিনের চেরাগের মতো মোবাইল থাকায় সব সার্ভিস দেয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। হাজারো সার্ভিস এক পোর্টালে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী, স্পেকট্রাম কিনতে প্রয়োজন অনেক টাকার।

৫৩৮.

অনেক সময় এতো টাকা তোলা যায় না দেশের ভেতর থেকে। আমাদের মতো দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে যে ক্যাপিটাল দরকার সেটার জন্য অনেক সময় তাকাতে হয় বাইরের ইনভেস্টরদের দিকে। টাকাটা আসে দু ভাবে। মোবাইল সেক্টরটা ধরি উদাহরণ হিসেবে। বাইরের কেউ যদি টাকা দিয়ে মোবাইল কোম্পানিটাকে কেনে তাহলে সেটা আসবে ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ মানে এফডিআই হিসেবে। তবে কেউ কোম্পানিটাকে না কিনে তার ফিনান্সিয়াল অ্যাসেট মানে শেয়ার কেনে – সেটা ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্টে পড়ে। এর নাম হচ্ছে এফপিআই।

[ক্রমশঃ]

Read Full Post »